ছোট ও মাঝারি ব্যবসার প্রসার ও বিক্রয় বৃদ্ধি। অর্থাগম ক্রমশ বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা। ... বিশদ
এদিন দার্জিলিংয়ের লরেটো কনভেন্ট স্কুলের কাছে, সুখিয়াপোখরি, বিজনবাড়ি, কার্শিয়াং ও মিরিকের প্রায় ১২টি জায়গায় ধস নেমেছে। ধসের জেরে বাতাসিয়া ১১০ নম্বর জাতীয় সড়ক, লিংছে-বিজনবাড়ি রাস্তা বিপর্যস্ত। কালিম্পংয়ের অবস্থাও একই। ধসের থাবায় গোরুবাথানের রংবো, পোখরেবং, কাহাল এবং পেডংয়ের সাকিয়ং। চিত্রের রাস্তা ধস বিধ্বস্ত। সেগুলি দিয়ে যান চলাচল বন্ধ। গত ২৪ ঘণ্টায় দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে বৃষ্টির পরিমাণ যথাক্রমে ১৬০.৬ এবং ১৩০ মিলিমিটার। লাগাতার ভারী বৃষ্টির জেরেই পাহাড়ে ধসের দাপট বেড়েছে। বিশেষ করে সিকিম ও কালিম্পংয়ের লাইফ লাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। কারণ ধস-বিধ্বস্ত ওই রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ইতিমধ্যে ৫৫০ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে।
সমতলেও বৃষ্টি অব্যাহত। চারদিন ধরে শিলিগুড়িতে সূর্যের দেখা নেই। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পরিমাণ ২১৩.৪ মিলিমিটার। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলার অবস্থাও একই। গত ২৪ ঘণ্টায় জলপাইগুড়িতে ১৬৩.৭ এবং কোচবিহারে ৫৩.৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। পাহাড় ও সমতলে বৃষ্টির জেরে তিস্তা, মহানন্দা, বালাসন, চামটা, পঞ্চনই প্রভৃতি নদী ফুঁসছে। অসংরক্ষিত এলাকায় তিস্তার জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। ইতিমধ্যে তিস্তার জলে কালিম্পংয়ের তিস্তাবাজার, জলপাইগুড়ির লালটং, চমকডাঙি, বোয়ালমারি, চ্যাংমারি, টাকিমারি, ধর্মপুর, মণ্ডলঘাট প্রভৃতি এলাকা প্লাবিত। এই অবস্থায় পাহাড়ে এনএইচপিসির বিভিন্ন ড্যাম থেকে অবাধে জল ছাড়া হচ্ছে। যার জেরে এদিন তিস্তা ব্যারেজ থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৭৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়তে হয়েছে।
এদিকে, মালদহ জেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে এলাকায় যান পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর ফোনের মাধ্যমেই দুর্গতদের পাশে থাকার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।