ছোট ও মাঝারি ব্যবসার প্রসার ও বিক্রয় বৃদ্ধি। অর্থাগম ক্রমশ বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা। ... বিশদ
বিষ্ণুবাবুর পরিবার বহু বছর আগে বিহার থেকে বাংলায় চলে এসেছেন। মনেপ্রাণে ষোলোআনা বাঙালি। তিনি বলেন, ‘এখানে মনে হতে পারে, বিহার বা উত্তরপ্রদেশের সব বাসিন্দাকে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে। তা একেবারেই নয়। কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী এবং দালালই বিহার বা উত্তরপ্রদেশের নাম খারাপ করছেন। বিহারি হিসেবে আমার তা ভালোও লাগছে না।’ তিনি ইতিমধ্যেই ভুয়ো সার্টিফিকেট ইস্যুতে জনস্বার্থ মামলা করেছেন। নানা তথ্য দিয়েছেন সিবিআইকেও। তার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি কয়েকজনকে চিহ্নিত করেছে। স্বাভাবিকভাবেই বঙ্গ বিজেপির দুই শীর্ষনেতার কাছে এনিয়ে প্রমাণ সহ চিঠি পাঠিয়েছেন বিষ্ণুবাবু। অভিযোগ, তারপরেই বিভিন্ন মহল থেকে তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এও বলা হয়েছে, ভিন রাজ্যের এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আত্মীয় এই দুর্নীতির অন্যতম চাঁই। তিনি নিজেও আধা সেনায় কর্মরত। তাই এটা নিয়ে সিবিআইয়ের কাছে মুখ খোলা যাবে না।
সম্প্রতি স্টাফ সিলেকশন কমিশনের জেনারেল ডিউটির (এসএসসি জিডি) পরীক্ষা ছিল। সেই উপলক্ষ্যে শিলিগুড়িতে এসেছিল দুই ভিন রাজ্যের ছাত্র। ভুয়ো ‘ডোমিসাইল’ বা পশ্চিমবঙ্গে স্থায়ী বসবাসের সার্টিফিকেট সহ তাঁদের ধরে ফেলেন বাংলা পক্ষের দুই নেতা। সংগঠনের শীর্ষ কমিটি সদস্য রজত ভট্টাচার্য এবং শিলিগুড়ির সম্পাদক গিরিধারী রায়। তাঁদের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই সক্রিয় হয়ে ওঠে শিলিগুড়ির হিন্দিভাষী মহলের একাংশ। রাজ্যের নেতা-নেত্রী, পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের ফোন করতে থাকেন ভিনরাজ্যের একাধিক প্রভাবশালী নেতা। সূত্রের খবর, সেই তালিকায় ছিলেন ওই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। এসবের জেরে গ্রেপ্তার করা হয় ‘বাংলা পক্ষ’-এর ওই দুই নেতাকে। এদিন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘ওঁরা কেউ দাগী অপরাধী নন। বেআইনিভাবে বাংলার ছেলেমেয়েদের বঞ্চিত করে চাকরি লুট ঠেকাতে গিয়েছিলেন।’ এদিন শিলিগুড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন গর্গ চট্টোপাধ্যায়, সংগঠনের অন্যতম শীর্ষনেতা কৌশিক মাইতি। তাঁদের বক্তব্য, প্রশাসন জালিয়াতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ‘হুইসল ব্লোয়ার’দের হেনস্তা করছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং নেতাদেরও চ্যালেঞ্জ ছুড়েছে ‘বাংলা পক্ষ’— প্রহৃত দুই যুবকের ডোমিসাইলের বৈধতা প্রমাণ করুন!