ছোট ও মাঝারি ব্যবসার প্রসার ও বিক্রয় বৃদ্ধি। অর্থাগম ক্রমশ বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা। ... বিশদ
জানা যাচ্ছে, আর জি করে ধর্ষণ ও হত্যা এবং তৎপরবর্তী সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাট সহ বেশ কিছু অসঙ্গতির সূত্র মিললেও, সাযুজ্যপূর্ণ এভিডেন্স সংগ্রহ করা যায়নি। তাই বহুলাংশে পারিপার্শ্বিক এবং পরিস্থিতিগত তথ্যপ্রমাণের উপরই ভরসা করতে হচ্ছে। অর্থাৎ সারকামস্ট্যান্সিয়াল এভিডেন্স। কিন্তু আদালতে সর্বদা সারকামস্ট্যান্সিয়াল এভিডেন্স গুরুত্বপূর্ণ মামলার ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য হয় না। বিশেষ করে ধর্ষণ, হত্যা এবং তথ্যপ্রমাণ লোপাটের ষড়যন্ত্র— এই তিনটি প্রধান অভিযোগ হলে। সিঅিবাই সূত্রে জানা যাচ্ছে, উদ্ধার হওয়া এবং বাজেয়াপ্ত করা বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোনের কল, মেসেজ এবং হোয়াটস অ্যাপ মেসেজকে অন্যতম প্রামাণ্য তথ্য হিসেবে ধরে তদন্তের অগ্রগতি হচ্ছে। টেক্সট মেসেজ এবং হোয়াটস অ্যাপ মেসেজের আদানপ্রদানের মধ্যে অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে কিছু ক্ষেত্রে।
সিবিআই মনে করছে যে মোবাইল ফোনগুলি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে, সেখানে মেসেজ মুছে ফেলা হয়েছে কিছু ক্ষেত্রে। নির্যাতিতার মোবাইল, সঞ্জয়ের মোবাইল, সন্দীপ ঘোষের মোবাইলের কল এবং মেসেজ রেকর্ড ট্র্যাক করে সিবিআই ইতিমধ্যেই কিছু জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছে। তবে রাত ১২ টার পর কিছু মেসেজর আদান প্রদানের ভাষ্য সন্দেহজনক। সিবিআই কর্তারা তদন্তকারী টিমকে নির্দেশিকা দিয়েছেন, যাতে পর্যাপ্ত এভিডেন্স জমা দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা করা হয়। পাশাপাশি যে বিষয়টি নিয়ে সিবিআইয়ের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে, সেটি হল, সাক্ষী তালিকা তৈরি করা। এক্ষেত্রে উদ্বেগ ও দ্বিধার কারণ হল, আগামী দিনে শুনানির সময় সাক্ষীদের মধ্যে কেউ যদি জেরায় যা বলেছেন, আদালতে বলতে রাজি না হন, তাহলে সেই দায় আসবে সিবিআইয়ের। কারণ, উইটনেস হোস্টাইল হওয়া সিবিআই কিংবা যে কোনও তদন্তকারী সংস্থার কাছে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা। সেই কারণে সাক্ষীর সংখ্যা বাড়াতে চায় সিবিআই।