কর্মলাভের যোগ রয়েছে। ব্যবসায়ী যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা দুযবে। ... বিশদ
ঝাড়গ্রামে আটকে পড়েছেন মুর্শিদাবাদের ৭০-৮০ জন শ্রমিক। লকডাউনের জেরে বন্ধ সমস্ত ধরনের যাত্রী পরিষেবা। এমতাবস্থায় শ্রমিকদের সটান ফোন ‘দিদিকে বলো’তে। তড়িঘড়ি সমস্যার সমাধান। উত্তরাখণ্ড এবং বারাণসীতে আটকে পড়া পর্যটককুল। ‘দিদিকে বলো’য় ফোন করে হল ঘরে ফেরার ব্যবস্থা। এছাড়াও, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র কিংবা দিল্লি, রাজস্থান সহ একাধিক রাজ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বাংলার লাখো পরিযায়ী শ্রমিক। ফোনে ফোনে জেরবার ‘দিদিকে বলো’র হেল্পলাইন। শেষমেষ ত্রাতার ভূমিকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি লিখলেন ১৮ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের। সেখানে আটকে পড়া বাংলার বাসিন্দাদের দেখভালের আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে, লকডাউনের অনেক আগে থেকেই করোনা নিয়ে তথ্য পেতে আসা ফোনে হিমসিম খেয়েছে ‘দিদিকে বলো’র টিম। করোনা প্রতিরোধে কী করব, কীভাবে থাকব, কী ধরনের সতর্কতামূলক পন্থা গ্রহণ করব— এমন নানা প্রশ্ন ‘দিদি’র কাছে জানতে চেয়েছে জনতা।এমনিতেই গত বছরের ২৯ শে জুলাই থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি যথেষ্ট সফল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। এই কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে লাখো লাখো মানুষের একদিকে যেমন নানা ধরনের সমস্যার সমাধান হয়েছে, ঠিক তেমনভাবে দলের পুরো সংগঠনকে মাঠে নামিয়ে তৃণমূলস্তর পর্যন্ত জনসংযোগ আরও নিবিড় করতে সফল হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু গত ১০-১৫ দিনে এখন শুধুই এই মহামারি নিয়ে উদ্বেগের ফোন আসছে বলেই জানা গিয়েছে। করোনা নিয়ে আতঙ্ক, ভয় গ্রাস করেছে সকলকেই। ‘দিদিকে বলো’তে তারই প্রতিফলন। ফোনের আর্জি সামলাতে সদা সতর্ক ‘দিদিকে বলো’র টিম। যা ফোন আসছে প্রয়োজন মতো নথিভুক্ত করে তা সরাসরি ট্রান্সফার করে দেওয়া হচ্ছে রাজ্য প্রশাসনের কাছে। সেইমতো নেওয়া হচ্ছে পদক্ষেপ। পাশাপাশি, করোনা সংক্রান্ত নানা ধরনের পরামর্শের ক্ষেত্রে বিভিন্ন চিকিৎসকদের গাইডলাইন থেকে শুরু করে নানা করমের সরকারি ‘সাজেশন’ বা সতর্কতামূলক তথ্য বাতলে দেওয়া হচ্ছে ফোন করা ব্যক্তিকে। এভাবেই গত সপ্তাহ দুই ধরে করোনা নিয়ে উদ্বিগ্ন আমজনতাকে ভরসা যোগাচ্ছে ‘দিদিকে বলো’।