মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
কী নেই সেই তালিকায়? হরেক রকমের চাল, ডাল থেকে শুরু করে মাশরুম, মাছ, পোলট্রির মুরগি, কড়কনাথ মুরগি, কচি পাঁঠার মাংসও। প্যাকেটজাত হয়ে বিক্রি হচেছ আউটলেটগুলিতে। তবে সিএডিসি উৎপাদিত জৈব সারের শাকসব্জি এখনই সুফল বাংলার স্টলের মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে না। সল্টলেক ও নিউটাউনে সেই শাকসব্জি বিক্রি করা হচ্ছে ফ্রিজার গাড়ি করে। সারা রাজ্যে সিএডিসি’র নিজস্ব ২২টি খামার রয়েছে। সেখানেই জৈব সারের মাধ্যমে নানারকমের চাষ হয়। মেশিনে ছাঁটা চাল, ঢেঁকি ছাঁটা চাল, কালো চাল, নানা ধরনের ডাল, শাকসব্জি, মশলাপাতি, ঘি, মাখন, মধু সহ আরও অনেককিছু। বর্তমানে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আড়াইশোর বেশি স্বনির্ভর গোষ্ঠী। তিন হাজারের মতো মহিলা সেখানে কাজ করছেন। উৎপাদিত দ্রব্য বাজারজাত করে তাঁদের আর্থিক মানোন্নয়ন করাই লক্ষ্য পঞ্চায়েতের। তবে, শুধু শহর কলকাতায় নয়, একাধিক জেলাতেও ‘সুফল-বাংলা’র আউটলেটে এইসব পণ্যসামগ্রী বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি, সল্টলেক ও নিউটাউন এলাকায় বাড়ি বাড়ি বিক্রির জন্য কেনা হয়েছে তিনটি টোটো এবং তিনটি সোলার মার্কেটিং ফ্রিজার ভ্যান। বাতানুকুল যন্ত্র থাকায় এই গাড়ির মাধ্যমে শাকসব্জি হোক কিংবা প্যাকেটজাত কাঁচা মাছ-মাংস, সবই বিক্রি করা সম্ভব হচেছ। দুই উপনগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করা হচেছ ‘খাঁটি’ জিনিস, দাবি নিগমের। এই ধরনের গাড়ির সংখ্যা আগামীদিনে আরও বাড়ানো হবে বলেই দাবি নিগম কর্তাদের।
এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত দপ্তরের যুগ্ম সচিব তথা সিএডিসি’র প্রশাসনিক সচিব সৌম্যজিৎ দাস বলেন, মূল লক্ষ্য গ্রামের মহিলাদের আর্থিক উন্নয়ন। নিগম নিজস্ব খামারে জৈব সার প্রয়োগে ফসল ফলাচেছ। পাশাপাশি আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা নানা ফসল, আনাজপাতি, হাঁস, মুরগি, কোয়েল, ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট বা কচি পাঁঠার মাংস সরবরাহ করছেন। তাঁদের আর্থিকভাবে আরও স্বাবলম্বী করতেই এই উদ্যোগ।