শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ
এদিন তৃণমূল সাংসদ মামুদপুরে আত্মঘাতী কালাচাঁদ মিদ্যার বাড়ি গিয়ে তাঁর মা, স্ত্রী ও চার কন্যার সঙ্গে দেখা করেন। মৃতের পরিবারকে তিনি নিজস্ব তহবিল থেকে ক্ষতিপূরণ দেন। তিনি ঘোষণা করেন, কালাচাঁদবাবুর চতুর্থ শ্রেণীতে পড়া এক মেয়ের আজীবন পড়াশোনার দায়িত্বও তিনি নেবেন।
এদিন সভা থেকে তিনি নাগরিকপঞ্জি ইস্যুতে সিপিএম ও বিজেপিকে তুলোধনা করেন। বলেন, বিজেপি আর সিপিএম একে অপরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলায় এনআরসি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি করছে। এরপরই তিনি হুমকির সুরে বলেন, আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অত উদার নই। ফলতায় এই মৃত্যুই যেন প্রথম ও শেষ মৃত্যু হয়। আমার লোকসভা কেন্দ্রে এমন আর একটা ঘটনা যদি ঘটে, তাহলে এই জেলায় বিজেপি আর সিপিএমের রাজনীতি করা চিরতরে বন্ধ করে দেব। তিনি বলেন, অসমে এনআরসিতে মুসলমান তাড়াতে গিয়ে ১২ লক্ষ হিন্দু ভোটারের নামও বাদ পড়েছে। পদ্মে ভোট দিয়ে এখন তাঁদের পদ্মানদীর ওপারে চলে যেতে হচ্ছে। আমি আশ্বস্ত করছি, এ বাংলায় তা হবে না।
এদিকে, এদিনই বারুইপুরের ফুলতলায় বিডিও অফিসের কাছে বারুইপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে গণঅবস্থান ও সত্যাগ্রহ অনুষ্ঠান পালন করা হয়। সেখানে রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ তথা জেলা তৃণমূলের সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, বিলগ্লীকরণে নেমেছে ভারত সরকার। ছোট ছোট কোম্পানিগুলি উঠে যাবে। এই বাংলায় রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ, রামকৃষ্ণ, বিদ্যাসাগরের জন্ম। যাঁরা ভারতের নব জাগরণের স্বপ্ন দেখাতেন। নাগরিকপঞ্জির মাধ্যমে বিদেশি চিহ্নিত করে যাঁদের ভারত থেকে বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে তাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে, তাঁদের বলছি, নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। প্রতিটি অঞ্চল এর বিরুদ্ধে গর্জে উঠবে।
এদিন ফলতায় ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ বলেন, কালাচাঁদ মিদ্যার মৃত্যু অত্যন্ত বেদনাদায়ক ঘটনা। ওঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে জানতে পারলাম, কালাচাঁদবাবু টিভি দেখে এনআরসি নিয়ে আতঙ্কে ছিলেন। ১৯৭১ সালের আগের নথিপত্রও খুঁজে পাননি তিনি। তাই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। কিন্তু এভাবে নিজেদের জীবন শেষ করবেন না। বাংলায় এনআরসি করা অত সহজ কাজ নয়। কেন্দ্রীয় সরকার বলল.আর এরাজ্যে এনআরসি হয়ে গেল, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও ঘোষণা করে দিয়েছেন, বাংলায় এনআরসি হচ্ছে না। এরপর সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, ভারতবর্ষের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম যদি অমিত শাহ হয়, তবে বাংলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় আছেন, ততদিন এনআরসি’র একটা ‘ফর্মও’ এ বাংলায় প্রবেশ করতে দেব না। এটাই প্রথম ও শেষ কথা।