শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ ইস্যুতে গোটা দেশে কেন্দ্রীয় সরকার তথা শাসক দল বিজেপিকে চাপে রাখতে চাইছেন তৃণমূল নেত্রী। কেন্দ্রীয় সরকার যে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির বিলগ্নিকরণ করতে চাইছে, তার মধ্যে এই রাজ্যের বেশ কয়েকটি নামী সংস্থা আছে। তাই এই ইস্যুটি নিয়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করলে বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যে বিজেপিকে বেশ চাপে রাখা যাবে বলে তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিনের সভায় বলেছেন, এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার প্রয়োজন থাকলেও অন্য কেউ এগিয়ে আসতে চাইছেন না। তাই আমাদেরই সক্রিয় হতে হচ্ছে। আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বাইরের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্মীদের তাতে শামিল হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের প্রসঙ্গ টানেন। কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বড় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে মিশিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ও ব্যাঙ্কগুলিকে নিয়ে ‘হযবরল’ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ব্যাঙ্কগুলিকে মিশিয়ে দেওয়ায় রাজ্য সরকারের সমস্যা হচ্ছে। ইউবিআই রাজ্যের লিড ব্যাঙ্ক। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। ডাক বিভাগের কাজকর্ম এখন শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচারের ব্যাবস্থা করা বলেও মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন।
মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বেঙ্গল কেমিক্যাল থেকে শুরু করে কোল ইন্ডিয়া, এয়ার ইন্ডিয়া, রেল, অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি, সেইল, এলআইসি, কলকাতা ও হলদিয়া বন্দর প্রভৃতির খারাপ অবস্থার কথা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কিছু করতে চাইলে সেটা করতে দেওয়া হচ্ছে না। জেসপ ও ডানলপ কারখানা অধিগ্রহণ করার জন্য বিধানসভায় বিল পাশ করানো হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকার একটা সই করে দিলে এটা কার্যকর করা যেত। কিন্তু কেন্দ্র তিন বছর ধরে তা ঝুলিয়ে রেখেছে।