শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ
একজন নির্বাচিত, অন্যজন মনোনীত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাদবপুরে যেতে নিষেধ করেছিলেন রাজ্যপাল ধনকারকে। নিষেধ শোনেননি তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার করে এনেছিলেন ক্যাম্পাস থেকে। রাজভবনের যুক্তি, দীর্ঘ চার ঘণ্টা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বিক্ষোভকারীরা ঘেরাও করে রেখেছিল, উপাচার্য নীতিগত কারণেই ক্যাম্পাসে পুলিস ঢোকাতে অস্বীকার করেছেন, এই অবস্থায় গত্যন্তর ছিল না। শাসকদলের তরফে তৃণমূলের মহাসচিবের পাল্টা যুক্তি, একটি নির্বাচিত রাজ্য সরকারকে উপেক্ষা করে রাজ্যপাল সংবিধানকেই অস্বীকার করেছেন। দু’পক্ষের এই চাপানউতোরের মধ্যেই এদিন মুখ্যমন্ত্রী দলের এক শ্রমিক সমাবেশে বলেন, যাদবপুরে গায়ের জোরে সব কিছু করছেন। মনে রাখবেন গায়ের জোরে সব কিছু করা যায় না। পাশাপাশি যাঁকে ঘিরে যাদবপুর কাণ্ডের সূত্রপাত, সেই বাবুল সুপ্রিয়ের নির্বাচনী কেন্দ্র আসানসোলে একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা সঙ্কটে, অথচ তা নিয়ে মন্ত্রীর কোনও হেলদোল নেই, দাবি করেন মমতা।
রাজ্যপাল যেমন তাঁর এবং মুখ্যমন্ত্রীর সাংবিধানিক দায়বদ্ধতার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন, তেমনই তাঁদের ব্যক্তিগত পরিচিতির স্মৃতিচারণা করেছেন মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এর মহিলা উদ্যোগীদের অনুষ্ঠানে। রাজ্যপাল বলেন, তিরিশ বছর আগে তিনি যখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন, তখন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী নেত্রী হিসেবে আন্দোলন করতে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি হিসেবে তখন তিনি তাঁকে দেখতে এসেছিলেন। সম্প্রতি, রাজ্যে রাজ্যপাল হয়ে আসার পর মমতার সঙ্গে তাঁর প্রথম সাক্ষাতে তিনি সেকথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন। ধনকার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত দয়ালু প্রকৃতির মানুষ। তাঁর স্ত্রীকে শাড়ি উপহার দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, দু’জনেই সংবিধানের শপথ নিয়ে কাজ করছি।
এদিন কলকাতা প্রেস ক্লাবে কংগ্রেস বিধায়ক সুখবিলাস বর্মার একটি বই ও লোকসঙ্গীতের সিডির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। প্রাক্তন আমলার সঙ্গীত অনুরাগ নিয়ে প্রশংসার পাশাপাশি বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সম্পর্কে তাঁর আগ্রহের কথা বলেন। কথাপ্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, কোনও বিষয়ে কিছু গ্রহণ করার মতো হলে, আমি নিজেই তা গ্রহণ করব। তার জন্য উচ্চস্বরে কথা বলার প্রয়োজন হয় না। তিনি আইনজীবী হিসেবে আদালতে অনেক সময় উঁচু স্বরে কথা বললেও রাজ্যপাল হিসেবে তা করবেন না।