শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ
কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার বিলগ্নীকরণের প্রতিবাদেই তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন এই সভার আয়োজন করেছিল। ভাষণের শেষ পর্বে এনআরসি প্রসঙ্গে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ফের জানিয়ে দেন, পশ্চিমবঙ্গে তো বটেই, দেশের আর কোনও রাজ্যেই এনআরসি লাগু হবে না। অসমের বিষয়টি অন্য। সেখানে একটা চুক্তি ছিল। তিনি বলেন, এনআরসি করব বললেই সেটা করা যায় না। এটা করার জন্য রাজ্য সরকারের মেশিনারিকে ব্যবহার করতে হবে। আমরা তা করতে দেব না।
বিজেপি’র কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতারা বেশ কিছুদিন ধরেই এনআরসি’র পক্ষে জোরালো সওয়াল করছেন। খোদ বিজেপি সভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, গোটা দেশেই এনআরসি চালু করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন এই ইস্যুতে বিজেপি’র কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, বিজেপি নিজেদের রাজনৈতিক প্রয়োজনে এনআরসি’র কথা বলে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। সংবাদমাধ্যমের একাংশ এটা নিয়ে তাদের টিআরপি বাড়াতে প্ররোচনা দিচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। এসব বন্ধ করতে ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যম ও রাজনৈতিক নেতাদের বলা হয়েছে। এনআরসি’র কারণে আতঙ্কিত হয়ে রাজ্যে ছ’জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনাগুলিকে দুঃখজনক আখ্যা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অসমেও এই কারণে মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তিনি মনে করেন, এই লজ্জা ঢাকার জায়গা নেই। যেখানে এই মৃত্যুর ঘটনাগুলি হয়েছে, সেখানে সেই সব পরিবারকে নিয়ে তৃণমূল প্রতিবাদ সভা করবে বলেও তিনি জানিয়ে দেন। এনআরসি ইস্যুতে সিপিএম কেন চুপ, সেই প্রশ্নও তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি’র সমালোচনা করে তিনি বলেন, ওরা আবার এনআরসি নিয়ে হিন্দু-মুসলিম করছে। এটা করতে গিয়েই অসমে এনআরসি তালিকা থেকে ১৩ লক্ষ হিন্দুর নাম বাদ পড়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, কে বলেছে ১৯৭১ সালের কাগজ বের করতে হবে? যারা বলছে, তাদের কথা শুনবেন না। গ্রামে-গঞ্জে অপপ্রচার চলছে। রাজনৈতিক কারণেই এটা করা হচ্ছে। আমার মায়ের জন্মের সার্টিফিকেট যদি দিতে বলা হয়, তাহলে কোথা থেকে দেব? আমি নিজেও তো মাটির ঘরে জন্মেছি। স্কুলের সার্টিফিকেট চাইলে দিতে পারি। আমজনতাকে ভরসা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের উপর ভরসা রাখুন। কোনও চিন্তা করবেন না। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, সেখানেও এনআরসি হবে না। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় এনআরসি হলে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীর নাম তাতে থাকবে তো, প্রশ্ন তোলেন মমতা।