বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
পঞ্চায়েতের রাজস্ব আদায়ে তিনটি পদ তৈরি করা হয় বহু বছর আগে। সেক্রেটারি, ট্যাক্স কালেক্টর এবং চৌকিদার। বাম আমলে এই তিন পদের মধ্যে সেক্রেটারি এবং চৌকিদারকে পঞ্চায়েত কর্মী হিসেবে নিযুক্ত করার ব্যবস্থা করা হয়। তাঁদের যথাক্রমে গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীর মর্যাদা দেওয়া হয়। ট্যাক্স কালেক্টরদের অভিযোগ, তাঁদের কোনও মর্যাদা দেওয়া হয়নি। এদিকে, বাম আমলের শেষ লগ্নে বলা হয়, ট্যাক্স কালেক্টরের বয়স ১৮ থেকে ৪৫ বছরে মধ্যে এবং তাঁর অন্তত ছ’বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে তিনি গ্রুপ ডি’র পরীক্ষায় বসতে পারবেন এবং তাঁদের জন্য চাকরিতে সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। বামেদের ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ জন্মায় অপেক্ষাকৃত বয়স্ক কর আদায়কারীদের মধ্যে। কেন তাঁরা বঞ্চিত হবেন, ওঠে সেই প্রশ্নও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পরও পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি বলেই দাবি করছেন কর আদায়কারীদের একাংশ।
পশ্চিমবঙ্গ গ্রাম পঞ্চায়েত কর আদায়কারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অমলকুমার বাপলি বলেন, আমাদের রোজগার যে জায়গায় ঠেকেছে, তাতে সংসার চালানো দায়। আমরা সরকারের থেকে মাসে মাত্র ৬০০ টাকা করে পাই। পাশাপাশি কর আদায়ের উপর একটি কমিশন আমাদের পাওনা হয়। ওই দৈনিক মজুরি এবং কমিশন মিলিয়ে আমাদের বেশিরভাগ কর্মীরই আয় মাসে দু’থেকে আড়াই হাজার টাকার বেশি নয়। নিয়ম হল, কোনও পঞ্চায়েত যদি কর বাবদ আগের বছরের থেকে বেশি টাকা আদায় করতে পারে, তাহলে বছরে ৫০ লক্ষ টাকা অনুদান মেলে। ফলে সেই অনুদানের ক্ষেত্রেও ট্যাক্স কালেক্টরদের উপর ভরসা করতে হয় পঞ্চায়েতগুলিকে। অথচ আমাদের প্রাপ্তি নামমাত্র।
অমলবাবুদের দাবি, সরকার তাঁদের পঞ্চায়েত কর্মী হিসেবে স্বীকৃতি দিক। যে বঞ্চনা বাম আমলে করা হয়েছিল, তা শুধরে নিক সরকার। তাতে যদি বিলম্ব হয়, তাহলে সরকার চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে ন্যায্য সম্মান ও প্রাপ্য মেটাক, এমনটাই চাইছেন অমলবাবুরা। তাঁরা বলছেন, অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যে টাকা চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের পাওনা হয় সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, তা দেওয়া হোক। অবসরকালে তিন লক্ষ টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করুক সরকার। এই দাবিগুলি ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পেশ করেছে সমিতি। এখানকার প্রেসিডেন্ট বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ বিষয়টি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীকেও। আগামীকাল বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসবেন পরিবহণমন্ত্রী। সমস্যা মিটবে, আশায় কর আদায়কারীরা।