শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ হাওড়ার সাঁকরাইলের পোদরা এলাকায় একটি পার্লারে গিয়েছিলেন জয়ন্ত পাল। পার্লারটি তাঁরই তরুণী বান্ধবীর। এরপর তাঁরা একটি ফ্ল্যাটে যান। সেখান থেকে বেরিয়ে তাঁরা যান হাওড়ার একটি শপিং মলে। সেখানে বান্ধবীকে প্রায় ২৩ হাজার টাকার জিনিসপত্র কিনে দেন ওই পুলিস আধিকারিক। তখন থেকেই দু’জনের মধ্যে বচসা চলছিল। রাত পৌনে বারোটা নাগাদ একটি ব্যক্তিগত নীল রঙের চারচাকা গাড়িতে চেপে নৈশবিহারে বেরনোর পর চাপানউতোর আরও বাড়ে। গাড়িতে এই দু’জন ছাড়া শিবপুরের বাসিন্দা দুই যুবক ও বেলঘরিয়ার এক রূপান্তরকামীও ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। নেতাজি সুভাষ রোডের ঘোষপাড়া পেট্রল পাম্পের কাছে গাড়িটি দাঁড়ায়। নেমেই পাশের একটি গলিতে ঢুকে যান প্রত্যেকে। ফুটেজে দেখা গিয়েছে, গলি থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বেরিয়ে গাড়ির সামনে এসেই রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন চণ্ডীতলা থানার আইসি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে পথচলতি একটি গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যান বাকিরা। এরপরই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় শিবপুর থানার পুলিস ও হাওড়া সিটি পুলিসের গোয়েন্দারা। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে সেভেন এমএম পিস্তলের একটি গুলি।
পুলিস জানিয়েছে, শপিং করাকে কেন্দ্র করেই বান্ধবীর সঙ্গে জয়ন্তবাবুর বচসা শুরু হয়। ঘটনার সময় আকণ্ঠ মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন আইসি। আচমকাই পকেট থেকে পিস্তল বের করে নিজেরই বাঁহাতে গুলি চালিয়ে দেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত তার বান্ধবী সহ চারজনকেই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে গাড়িতে করে তারা কোথায় যাচ্ছিলেন? কেন আইসি নিজেই নিজের উপর গুলি চালালেন? এইসব এখনও স্পষ্ট নয়। গোটা ঘটনার তদন্তের জন্য হুগলি গ্রামীণ পুলিসের অ্যাডিশনাল এসপির নেতৃত্বাধীন চারজনের একটি সিট গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি তদন্ত চলাকালীন ওই পুলিস আধিকারিককে আপাতত সাসপেন্ড করা হবে বলেই খবর। হাওড়া সিটি পুলিসের এক কর্তা বলেন, ‘ওই পুলিস আধিকারিক আদৌ নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালিয়েছিলেন? নাকি অন্য কোনও পিস্তল ব্যবহার করছিলেন, সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’