শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিসের পাশেই রয়েছে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। যত দিন যাচ্ছে, এখানে ততই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে খাবারের দোকানের সংখ্যা। ঠেলাগাড়ি বা অস্থায়ী দোকানঘর বানিয়ে খাবার বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ছোট-বড় সব ব্যবসায়ীকেই খাবার বিক্রির জন্য লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশন করাতে হয়। এর জন্য খরচ ন্যূনতম। কিন্তু বারাসত হাসপাতাল চত্বরে বা আশপাশে যাঁরা এভাবে বিভিন্ন রকমারি খাবার বিক্রি করছেন, তাঁদের কারওরই নথি নেই বলে অভিযোগ। ফলে খাদ্য সুরক্ষা বিধি মানা হচ্ছে না। রাস্তার ধারে ধুলোর মধ্যেই ফল কেটে দেদার বিক্রি চলছে। এমনকী, পেট ভর্তি ভাত, রুটি থেকে ফলের রস— কি না, বিক্রি হচ্ছে। কোথাও মানা হয় না বিধি। খোদ স্বাস্থ্যদপ্তরের অফিসের পাশেই যদি এই ঘটনা হয়, তাহলে অন্যত্র পরিস্থিতি কী, তা সহজেই অনুমেয়। বারাসত হাসপাতালে আসা এক রোগীর পরিবারের সদস্য সন্তু মাল বলেন, সব দোকানেই একই পরিস্থিতি। করারও কিছু নেই। তাই বাধ্য হয়েই ওই খাবারই আমাদের খেতে হচ্ছে। খাবার একেবারে নিম্নমানের। যেভাবে খোলা রেখে বিক্রি করা হয়, তাতে মানুষ অসুস্থ হবেই।
জেলার অন্যান্য সরকারি হাসপাতালগুলির আশপাশের দোকানেও এমন পরিস্থিতি। শুধু তাই নয়, স্ট্রিট ফুড থেকে ফলের দোকান— কোনও ব্যবসায়ীর সেই অর্থে লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশন নেই। ফলে খাবারের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন থেকেই যাচ্ছে। এ নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সমুদ্র সেনগুপ্তকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে, দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মাঝে মধ্যে অভিযান চালানো হয়। প্রশিক্ষণও দেওয়া হয় ব্যবসায়ীদের। বারাসত জেলা হাসপাতালে এভাবেই খাবার বিক্রি করা হচ্ছে। - নিজস্ব চিত্র