কর্ম নিয়ে স্থানান্তর গমনে সাফল্যের যোগ। কর্মে স্থানগত বা সংস্থাগত পরিবর্তন অসম্ভব নয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে ... বিশদ
শুক্রবার হাওড়া শহরের তিনটি বাজারে স্থানীয় থানার পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে হানা দেন জেলা কৃষি বিপণন দপ্তরের তিন আধিকারিক। প্রথমে তাঁরা কদমতলা বাজার ও কালীবাবুর বাজার ঘুরে দেখেন। এরপর যান শিবপুর বাজারে। সেখানে পাইকারি ও খুচরো বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। ভরা শীতের মরশুমেও সব্জির দাম বেশ চড়া। । তার উপর এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে আলু মজুত করে বাইরে পাচার করছে বলেও অভিযোগ। সব মিলিয়ে নাকাল অবস্থা মধ্যবিত্তের। এই বিষয়গুলি নিয়েই গত বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তখনই তিনি বাজারগুলি নিয়মিত পরিদর্শনের নির্দেশ দেন। এদিন বাজার পরিদর্শন করার পর কৃষি বিপণন দপ্তরের আধিকারিক সৌমজিৎ চৌধুরী বলেন, ‘হাওড়ার বাজারগুলোয় আলু, পেঁয়াজ কিংবা অন্যান্য সব্জির দাম নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। মূলত হুগলি, বাঁকুড়া ও উত্তরপ্রদেশ থেকে এই জেলায় আলু আমদানি হয়। পর্যাপ্ত আমদানির কারণে আলুর দামও সীমা ছাড়িয়ে যায়নি।’ হাওড়ার প্রতিটি বাজারে বর্তমানে জ্যোতি আলু ২৬ থেকে ২৮ টাকা ও চন্দ্রমুখী আলু ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কিছুদিন আগে বেগুন ও পেঁয়াজের দাম মাত্রাতিরিক্ত বাড়লেও বর্তমানে তা অনেকটাই কমেছে। এদিন শহরের তিনটি বাজারেই ৩০ টাকা কিলো দরে বেগুন বিক্রি হয়েছে।
সকাল থেকে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের হৃদয়পুর, হরিতলা, কাছারি ময়দান ও হেলাবটতলা বাজার পরিদর্শন করেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ক্রেতাদের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা। মূল্য তালিকায় যাতে সমস্ত সব সব্জির দাম উল্লেখ থাকে, সে ব্যাপারে সতর্ক করা হয় ব্যবসায়ীদের। জানা গিয়েছে, জেলার পাঁচটি জায়গায় সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে বিভিন্ন সব্জি ক্রয় করেছে ‘সুফল বাংলা’। বনগাঁ, বাগদা, গাইঘাটা, দেগঙ্গা ও দত্তপুকুর সরকারি বাজারে কৃষকদের কাছ থেকে কেনা হয়েছে ক্যাপসিকাম, বিনস, ফুলকপি, সহ প্রায় ১১৫০ কেজি শীতকালীন সব্জি।