স্বদেশের বা বিদেশের নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যালাভের সুযোগ পেতে পারেন। সব কাজে কমবেশি সাফল্যের যোগ। আয় ... বিশদ
পুরসভা সূত্রে খবর, অভিজাত ক্লাব, ছোট-বড় হোটেল, রেস্তরাঁ, পানশালা মিলিয়ে ৩০০-র বেশি সংস্থা করখেলাপির তালিকায় রয়েছে। বকেয়ার মোট পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি টাকা। এই সংস্থাগুলিকে বিনোদন করের বিল নিয়মিত পাঠানো হলেও বছরের পর বছর ধরে তারা কোনও টাকা মেটাচ্ছে না। ইতিমধ্যে বিবাদীবাগ, চাঁদনি চক, ধর্মতলা, পার্ক স্ট্রিট, কাঁকুড়গাছি, উল্টোডাঙা ও বাইপাস সংলগ্ন এলাকার হোটেল, বার, রেস্তরাঁকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। হোটেলের বাইরে পোস্টারও সাঁটানো হয়েছে কিছু ক্ষেত্রে। পুরসভার এই সক্রিয়তায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও খবর। পুরসভার বিনোদন কর বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, ‘এক-একটি সংস্থার কয়েক লক্ষ টাকা কর বকেয়া রয়েছে। বছরের পর বছর এক টাকাও মেটানো হয়নি। এই সব ক্লাব, হোটেল কিংবা বারে বছরের বিভিন্ন সময় নানা অনুষ্ঠান (ইভেন্ট) লেগেই থাকে। উৎসবের মরশুমে পার্টি আরও বেশি হয়। এসব আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ প্রচুর অর্থ উপার্জনও করলেও পুরসভাকে বিনোদন করের নির্দিষ্ট টাকা মেটাতেই চায় না তারা। কিন্তু এভাবে তো অনন্তকাল চলতে পারে না। তাই এবার কড়াকড়ি শুরু হয়েছে।’
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের হোটেল, ক্লাব, বার ও রেস্তরাঁগুলিকে বিভিন্ন গ্রেডে ভাগ করে বিনোদন কর নির্ধারণ করা হয়। বড় ক্লাব কিংবা হোটেলের ক্ষেত্রে ‘এ’ গ্রেডে বার্ষিক বিনোদন কর প্রায় এক লক্ষ টাকা। ‘বি’ গ্রেডের মধ্যে পড়লে বছরে প্রায় ৫০ হাজার টাকা বিনোদন কর গুণতে হয়। বার্ষিক এই কর আদায়ের ক্ষেত্রে কিছু জটিলতাও অবশ্য তৈরি হয়েছে। বকেয়া কর মেটানোর নোটিস পেয়ে কেউ কেউ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন। পুরসভা সূত্রে খবর, সম্প্রতি একটি অভিজাত ক্লাব কর মেটানোর নোটিস পেয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছিল। তারা মামলা জিতেও যায়। অগত্যা পুরসভা ওই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।