ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ
প্রশাসনিক কর্তাদের বক্তব্য, কর্মবিরতি সত্ত্বেও সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা ‘স্বাভাবিক থাকার’ দাবি করা হয়েছিল আন্দোলনকারীদের তরফে। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা বাবদ স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের খরচ বেড়ে যাওয়ার পরিসংখ্যান উল্টো কথাই বলছে। অর্থাৎ, সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা প্রবলভাবে ব্যাহত হওয়ার বাস্তব নিয়ে কোনও সংশয় নেই। মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা বারবার কর্মবিরতি প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছেন, কিন্তু কাজ হয়নি। ভুগতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। গোটা পরিস্থিতির উপর ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী নিজেও কিন্তু এই সময়কালে বেসরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রের ব্যবসা ‘ফুলেফেঁপে’ উঠেছে বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন।
এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার কালীঘাটে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ও স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের সঙ্গে হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকের পরেই হাসপতালগুলিতে সিসিটিভি বসানো, ওয়াশরুম, রেস্টরুম সহ অন্যান্য পরিকাঠামো ব্যবস্থা উন্নয়নের অগ্রগতি নিয়ে একটি রিপোর্ট স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। আজ, শুক্রবার নবান্নে স্বাস্থ্যসচিব সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে মুখ্যসচিব একটি বৈঠক করবেন বলেও সূত্রের খবর।
রিপোর্ট বলছে, ১০ আগস্টের পর এক এক দিনে স্বাস্থ্যসাথী স্কিমে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে চিকিৎসার জন্য প্রায় ৯ কোটি টাকা পর্যন্ত দিয়েছে রাজ্য। বাংলার একাধিক প্রকল্পের টাকা মাসের পর মাস আটকে রেখেছে কেন্দ্র। তার জন্য এমনিতেই রাজ্যের কোষাগারে চাপ কম নয়। তার উপর এই অতিরিক্ত খরচ। অর্থনীতিবিদরা সিঁদুরে মেঘই দেখছেন। তবে নবান্নের শীর্ষ মহলের বক্তব্য, রাজ্যের কোষাগারে চাপ বেড়েছে ঠিকই। কিন্তু কঠিন সময়ে রাজ্যের বহু প্রান্তিক মানুষ চিকিৎসা পেয়েছেন। এটাই প্রাপ্তি। তবে কর্মবিরতি না চললে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য রাজ্যকে এই অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হতো না। আম জনতাকেও ঘটিবাটি বিক্রি করে এবং স্বাস্থ্যসাথীর ভরসায় বেসরকারি হাসপাতালের দুয়ারে হত্যে দিতে হতো না। তাহলে এবার কি সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানিতে বাড়তি খরচের বিষয়টি জানাবে রাজ্য সরকার? সেটাই দেখার।