ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরের বাসিন্দা নিতাই বিভিন্ন জায়গায় দাবি করতেন, কেপিসি মেডিক্যাল কলেজ সহ রাজ্যে যে কোনও মেডিক্যাল কলেজে কোটায় ভর্তি করিয়ে দিতে পারবেন। এর জন্য ৭০ থেকে ৮০ লক্ষ টাকা দিতে হবে। একইসঙ্গে তিনি বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞাপন দিয়ে দাবি করতেন, ডাক্তারিতে ভর্তি হতে চাইলে অনায়াসে সুযোগ মিলবে। যোগাযোগের জন্য দেওয়া থাকত মোবাইল নম্বর। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের প্রথম ধাপে চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা নেওয়া হতো বলে অভিযোগ। পুলিস সূত্রে খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরের চার ব্যক্তি তাঁদের সন্তানদের কোটায় মেডিক্যালে ভর্তির জন্য বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিচ্ছিলেন। কেপিসি সহ বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে তাঁরা যাতায়াত করছিলেন। সেই সুবাদে কেপিসির বাইরে তাঁদের সঙ্গে পরিচয় হয় নিতাইয়ের। চলতি বছরে অ্যাডমিশন করিয়ে দেবেন বলে নিতাই ৪৮ লক্ষ টাকা নেন বলে দাবি প্রতারিতদের। কিন্তু কাউকে ভর্তি করতে পারেননি। যে চারটি পরিবার টাকা দিয়েছিল, তাঁরা যোগাযোগ করলে বিভিন্নভাবে নিতাই ঘোরাতে থাকেন। ভর্তির জন্য নেওয়া ৪৮ লক্ষ টাকা কীভাবে ফেরত দেওয়া হবে তা নিয়ে আলোচনা করতে তিনি বুধবার সকলকে কেপিসির সামনে ডেকে পাঠান। পশ্চিম মেদিনীপুরের রসুলপুর থেকে চারজন হাজির হন যাদবপুরে। বেশকিছু কথাবার্তা চলার পরেও টাকাপয়সা না মেলায় চার অভিযুক্ত গাড়িতে তুলে নিতাইকে অপহরণ করে নিয়ে যান পশ্চিম মেদিনীপুরের রসুলপুরে। চার অপহরণকারী নিতাইয়ের পরিবারকে ফোন করে জানান, টাকা না দেওয়ায় অপহরণ করা হয়েছে। দ্রুত তা মেটাতে বলা হয়। এরপরই তাঁর পরিবার যাদবপুরে এক আত্মীয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। জানা যায়, নিতাই কেপিসি মেডিক্যাল কলেজে গিয়েছিলেন। এরপরই যাদবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। অপহরণের মামলা রুজু করে পুলিস।
তদন্তে নেমে পুলিস নিতাইয়ের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশেন ও চার অপহরণকারীর মোবাইলের টাওয়ার মিলিয়ে দেখেন, তাঁরা পশ্চিম মেদিনীপুরে রসুলপুরে রয়েছেন। এরপরই একটি টিম সেখানে রওনা দেয়। রসুলপুরে একটি হোটেলে হানা দিয়ে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।