ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ
এদিন ২২ ক্যারেট গয়না সোনার দর ছিল ১০ গ্রাম পিছু ৭৩ হাজার ৪৫০ টাকা। এদিকে দিল্লিতে এদিন সোনার সর্বোচ্চ দর যায় ৭৯ হাজার ৩৫০ টাকা। একদিনের তফাতে সেখানে হলুদ ধাতুর দাম বেড়েছে ৪৫০ টাকা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৮০ হাজারের সীমা পেরনো এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
সোনার উপর আমদানি শুল্ক কমানোর ফলে দাম ৭০ হাজার টাকার নীচে নেমে এসেছিল মাস তিনেক আগেই। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে নানা অস্থিরতায় দাম বাড়তে থাকে ধীরে ধীরে। আমেরিকার সুদ বৃদ্ধির ঘোষণা, প্রাশ্চাত্যের যুদ্ধ-আবহ এবং ডলারের দরের অস্থিরতা সোনার দামে আগুন লাগায়। আমদানি শুল্ক কমোনার আগে ভারতীয় বাজারে এই ধাতুর যে দর ছিল, বর্তমানে তাকে অনেক দূরে ফেলে এসেছে হলুদ ধাতুর দর।
বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পণ্য বা কমোডিটি এক্সচেঞ্জে সোনার দাম দিন কয়েক আগেও কম ছিল। সেই দর ভারতীয় বাজারে যেমন কমেছিল, তেমনই আন্তর্জাতিক এক্সচেঞ্জগুলিতেও নীচের দিকে ছিল। অন্যদিকে মার্কিন ডলারের দর উপর দিকে ওঠায়, তার জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম চাপে ছিল। কিন্তু সেই পরিস্থিতিরও পরিবর্তন হয়েছে। পণ্য কমোডিটি এক্সচেঞ্জেগুলিতে যেমন দাম চড়তে শুরু করেছে, তেমনই ইউরোপে সুদের হার কম হওয়ার পূর্বাভাসে ফের দোলাচল শুরু হয়েছে বাজারে। ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক এবং ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ড সুদ কমানোর পথে ফের হাঁটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। লগ্নির বাজার অস্থির হলে, নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনার চাহিদা বাড়ছে। তার জের এসে পড়ছে ভারতীয় সোনার বাজারেও, দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি ভারতে সোনার দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হল খুচরো বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি। যেহেতু উৎসবের মরশুম চলছে এবং সামনেই বিয়ের মরশুম, তাই স্বর্ণকাররা সোনা মজুত করছেন। তার জের এসে পড়ছে বাজারে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।