ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ
উৎসব মরশুমে হোটেল বা রেস্তরাঁগুলি খাবার তৈরির নিয়মকানুন কি সঠিকভাবে মেনেছে? তা যাচাই করতে দুর্গাপুজোর সময় আচমকা বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালায় খাদ্যসুরক্ষা বিভাগ। দোকান থেকে একাধিক খাবারের নমুনা সংগ্রহ করেন আধিকারিকরা। সে খাদ্য পরীক্ষা করে বিস্তর অনিয়ম সামনে এসেছে। একাধিক দোকান অস্বাস্থ্যকর উপায়ে খাবার তৈরি করে তার প্রমাণ পান আধিকারিকরা। তারপর দোকানদারদের সতর্ক করা হয়। চালানো হচ্ছে সচেতনামূলক প্রচারও।
সোনারপুর, ঠাকুরপুকুর-মহেশতলা, বজবজ ইত্যাদি অঞ্চলে রাস্তার ধারের দোকান থেকে শুরু করে ঝাঁ চকচকে রেস্তরাঁ—অধিকাংশই নিয়ম মানছে না বলে অভিযোগ। সেখানে তৈরি বিভিন্ন খাবারের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে খাদ্য বিভাগ। সেই রিপোর্ট আসার পর দেখা গিয়েছে, ভোজ্য তেল নিয়ে একাধিক দোকান নিয়ম মানেনি। এইসব জায়গায় বিভিন্ন খাবার রান্না হয়েছে পোড়া তেল ব্যবহার করে। অর্থাৎ, রান্নার আগে কড়াইয়ে যে ভোজ্য তেল ঢালা হয়েছে তা না পাল্টে বারবার ব্যবহার করে গিয়েছে দোকানগুলি। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, তিনবারের বেশি একই তেলে রান্না করা উচিত নয়। কিন্তু রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, নিদেনপক্ষে পাঁচবার, অধিকাংশ তার থেকেও বেশিবার রান্না করেছে একই তেলে।
এছাড়া অনেকে কাবাব, চিকেন তন্দুরি ইত্যাদি ঝুলিয়ে রেখেছিল দোকানে। সেখান থেকেও নমুনা নিয়ে পরীক্ষা হয়েছে। এই খাবারগুলিতে অতিরিক্ত পরিমাণে সিনথেটিক কালার (কৃত্রিম রং) মেশানো হয়েছে বলেও রিপোর্টে উঠে এসেছে। এই রং মানব শরীরে প্রবেশ করলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে বলে অভিমত চিকিৎসকদের। বেশ কিছু খাবারের দোকানের রান্না ঘরের পরিবেশও পরীক্ষা করে দেখেছেন আধিকারিকরা। নিয়মানুযায়ী মাথায় হেড ক্যাপ পরে রান্না বা আনুষাঙ্গিক কাজ করতে হয় কর্মীদের। তার ফলে মাথার চুল খাবারে পড়ে না। খাদ্যে চুল গেলে বিষাক্রিয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু হেড ক্যাপ বা অন্যান্য নিয়ম মানা হয়নি রান্নাঘরে বলেও জানা গিয়েছে। সবমিলিয়ে চূড়ান্ত অব্যবস্থা এবং অস্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে রান্না করা হয়েছে মানুষের জন্য তৈরি খাবার।