ছোট ও মাঝারি ব্যবসার প্রসার ও বিক্রয় বৃদ্ধি। অর্থাগম ক্রমশ বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা। ... বিশদ
নিউ মার্কেটের হকার সঞ্জীবকুমার দাস বলছিলেন, ‘দেখুন, এখনও পুজোর মাস পড়েনি। আজ বৃষ্টি নেই। তার উপর শনিবার। তাই বাজারে ভিড় হয়েছে। বিক্রিও ভালো হচ্ছে। অক্টোবর শুরু হয়ে গেলে বাজার আরও জমবে।’ তাঁর মতো অজস্র হকার, ছোট-মাঝারি ব্যবসায়ীদের আপাতত একটাই প্রার্থনা, রবিবারটাও যেন এমন রোদ ঝলমলে থাকে। তবে মিটিং-মিছিল নিয়ে আর দুশ্চিন্তা করতে রাজি নন ব্যবসায়ীরা। গড়িয়াহাটের এক হকারের কথায়, ‘যে যা-ই বলুক না কেন, বছরে একবার পুজো আসে। সকলেই পুজোয় মাতবে। এ বছর পুজোর কেনাকাটা একটু দেরিতে শুরু হয়েছে ঠিকই। কিন্তু মানুষ উত্সবেই রয়েছে। মেতে উঠেছে।’
তাঁর এই বক্তব্য যে অত্যুক্তি নয়, চারপাশে কান পাতলেই মিলছে তার প্রমাণ। এসি বাসে একদল তরুণীর আলোচনা কানে এল—‘তাহলে সপ্তমীতে নীল ড্রেসটা পরব। অষ্টমীতে কালো শাড়ি। নবমী আর দশমীরটা তো আগেই কেনা আছে।’ বাগুইআটি থেকে এসেছিলেন কৃতিকা বিশ্বাস। তিনি বললেন, ‘এক মিনিট দাঁড়ান! এত ভিড়ের জন্যই বোধ হয় ইন্টারনেটে সমস্যা হচ্ছে। জামা পছন্দ করে মাকে ছবি পাঠিয়েছি। কিন্তু রিপ্লাই আসছে না। মা হ্যাঁ বললেই কিনে নেব।’ চন্দননগরের সুদর্শনা সাহা বলছিলেন, ‘মাসের শেষ তো, একটু টানাটানি আছে। তাই প্রথমে কসমেটিক্স কিনে ফেললাম। দু’দিন বাদে এসে জামা-কাপড় কিনব।’
হাতিবাগানেও এদিন তিল ধারণের জায়গা ছিল না। ফুটপাত ছেড়ে বিধান সরণির উপর উঠে এসেছে কেনাকাটার ভিড়। বাজার ফেরত সবার হাতে রং-বেরংয়ের একাধিক ব্যাগ। বিকেল যত সন্ধ্যার দিকে গড়িয়েছে, হাতিবাগান ও গড়িয়াহাটে ভিড় তত ঘন হয়েছে। সেই ভিড় ঠেলে এগতে যথেষ্ট কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে প্রতিটি যানবাহনকে। ভিড়ের চাপে এদিন রাসবিহারী মোড় থেকে গড়িয়াহাট আসতে সময় লেগে গিয়েছে প্রায় আধ ঘণ্টা। কেন এত যানজট? তার উত্তর মিলেছে গড়িয়াহাট মোড়ে আসতেই। সেখানে তখন আক্ষরিক অর্থেই জনসমুদ্র। বিক্রেতাদের হাঁকডাক আর ক্রেতাদের দর কষাকষিতে জমজমাট পুজো বাজার।