ছোট ও মাঝারি ব্যবসার প্রসার ও বিক্রয় বৃদ্ধি। অর্থাগম ক্রমশ বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা। ... বিশদ
পরিবার ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্যমগ্রাম থানার উল্টোদিকের মার্কেটে পার্থসারথির একটা দোকান রয়েছে। স্ত্রী ও ন’বছরের এক ছেলেকে নিয়ে তাঁর সংসার। গত ৫ ফেব্রুয়ারি তিনি দোকানটি ভাড়া দিয়েছিলেন। প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা ভাড়া ঠিক হয়। প্রথম তিনমাস ভাড়া দিয়েছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, এরপর থেকেই ভাড়া পাচ্ছিলেন না পার্থসারথি। পরিবারের দাবি, ওই ভাড়ার টাকাটা সংসার চালানোর জন্য খুব প্রয়োজন ছিল। পার্থ ভাড়ার টাকা চাইতে গেলেও ভাড়াটেরা তা দিতে চাননি। কয়েকদিন আগে শেষবার ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ভাড়াটেরা পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। এরপরেই টাকা পাঠানোর ব্যাঙ্ক লেনদেন নিয়ে ভাড়াটেরা পার্থসারথির বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইমে মামলা করেন। তার ফলে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যায় বলেই দাবি পরিবারের। এতে লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে, অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে সংসার চালাতে বেজায় সমস্যায় পড়েছিলেন তিনি। ভাড়াটেদের কাছে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য একাধিকবার অনুরোধ করেও সুরাহা মেলেনি বলেই অভিযোগ পরিবারের। গোটা ঘটনার বিবরণ জানিয়ে পার্থসারথি মধ্যমগ্রাম থানায় অভিযোগও করেছিলেন।
মৃতের স্ত্রী শাশ্বতী মিত্র বলেন, ভাড়াটেরা ভাড়া ঠিকমতো দিচ্ছিলেন না। ফলে সংসার চালাতে খুব সমস্যা হচ্ছিল। ভাড়ার টাকা নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে মানসিক নির্যাতন ও মিথ্যা মামলায় অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ায় মানসিক চাপে স্বামীর হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে। আমরা চাই পুলিস ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। এদিকে, মধ্যমগ্রাম থানার পুলিস জানিয়েছে, ভাড়া নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে মৃত্যু হয়েছে দোকান মালিক পার্থসারথি মিত্রের। ওঁর স্ত্রী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিস বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তবে, ভাড়াটেদের এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া মেলেনি।