ছোট ও মাঝারি ব্যবসার প্রসার ও বিক্রয় বৃদ্ধি। অর্থাগম ক্রমশ বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা। ... বিশদ
অন্যদিকে, মৃতার পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতাল চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তুমুল বিক্ষোভ দেখান চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। রঞ্জনার মা কিরণ সাউ অভিযোগ করে বলেন, মেয়ের সাধারণ জ্বর হয়েছিল। এত খারাপ কিছু হওয়ার প্রশ্নই আসে না। ও বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছে। অবস্থা যখন সঙ্কটজনক ছিল, কোনও সিনিয়র ডাক্তার ছিলেন না। শোকসন্তপ্ত পরিবার হাসপাতাল চত্বরে জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্নামঞ্চের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। মৃতদেহ নিতেও রাজি ছিলেন না তাঁরা। শেষে পুলিসি হস্তক্ষেপে সন্ধ্যার পরে সৎকারের জন্য পরিবার দেহ নিয়ে যায়। এদিকে চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বারাকপুর আদালতে পেশ করা হলে বিচারক চারদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন।
খবর পেয়ে তড়িঘড়ি হাসপাতালে আসেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম, কার্যনিবাহী দুই স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ স্বপন সোরেন ও ডাঃ অনিরুদ্ধ নিয়োগী, জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদী, পুলিস কমিশনার অলক রাজোরিয়া প্রমুখ। তাঁরা আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক করে কাজে যোগ দিতে বারবার অনুরোধ করেন। সচিব বলেন, এখানে ২৫০ সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। রেস্ট রুম, চেঞ্জিং রুমের পরিকাঠামোর উন্নতি হবে। পাশাপাশি চিকিৎসার গাফিলতি ও সিনিয়র ডাক্তারদের না থাকা— দুই অভিযোগও তদন্ত করে দেখা হবে। পুলিস কমিশনার জানিয়েছেন, চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের ধরা হবে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণীকে শুক্রবার বিকেলে জ্বর, শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ভর্তি করা হয়। মায়ের দাবি, অবস্থা যখন আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে, এক স্বাস্থ্যকর্মী অক্সিজেন দেওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু পারেননি। রোগিণীর মৃত্যুর পর হাসপাতালেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পরিজনরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিযোগ, বাড়ির লোকজন পুলিসের নাকের ডগায় ঝামেলা শুরু করে। চিকিৎসক-নার্সদের মারধর করার পাশাপাশি ফের আর জি কর করে দেওয়া হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়।
প্রতিবাদে রাত ১১টা থেকেই শুরু হয় কর্মবিরতি। জুনিয়র ডাক্তাররা আউটডোর, ইন্ডোর, ইমার্জেন্সি সর্বত্র পরিষেবা বন্ধ করে দেন। অসংখ্য রোগী ও পরিবার চিকিৎসা করাতে এসে ফিরে যান। অনেককেই দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়। পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের (ডব্লিউবিজেডিএফ) ডাঃ অনিকেত মাহাতো, ডাঃ কিঞ্জল নন্দরা হাসপাতালে আসেন। জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষে ডাঃ তীর্থঙ্কর বসাক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, কর্মস্থলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমরা। ঘটনার সময় হাসপাতালে পুলিস ও বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীরা কী করছিলেন? স্বাস্থ্যসচিব মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন। লিখিত না দিলে কর্মবিরতি চলবে। নার্সরাও জানান, তাঁরা আন্দোলনে থাকলেও
কাজের মাধ্যমেই প্রতিবাদ
জানাবেন।
এদিকে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের আইসিইউতে রোগী ভর্তি ও সেন্ট্রাল প্যাথলজি ল্যাবের যন্ত্রপাতি কেনা নিয়ে অসাধু চক্র সক্রিয় রয়েছে বলে সরব হন জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। অধ্যক্ষ ডাঃ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানিয়েছেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে