ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
কলকাতায় সর্বত্র সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত জল সরবরাহ করা হয়। কিন্তু, এবার চারদিনই (সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী এবং দশমী) পুজোপাট শুরু ভোরের দিকে। তাই পুজোর সময় যাতে জলের সমস্যা না হয়, সেকারণে বৈঠকে সকাল ৬টার পরিবর্তে ভোররাতে জল সরবরাহ চালুর পরামর্শ দেন পুরসভার বস্তি ও পরিবেশ এবং হেরিটেজ বিভাগের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার। এর পরিপ্রেক্ষিতে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জল সরবরাহ বিভাগকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে পুজোর চারদিন ভোর ৩টে থেকে জল সরবরাহ করা যায়।
এদিনের বৈঠকে পুরসভার পাশাপাশি পূর্তদপ্তর, বন্দর, এইচআরবিসি, রেল, মেট্রো সহ বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে শহরের বিভিন্ন অঞ্চলের রাস্তার অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়। কোনগুলি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সারানো হবে, কোন দপ্তর সেই রাস্তা মেরামত করছে, সবটাই পর্যালোচনা করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত মেয়র পারিষদ এবং বরো চেয়ারম্যানদের একাংশ নিজেদের অঞ্চলের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তাঁরা বলেন, এইসব কাজ পুজোর আগেই করা প্রয়োজন। আদিগঙ্গার পাড়ে থাকা শৌচালয়গুলি অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি জানান রত্না সুর। পাশাপাশি, তিনি নিজের এলাকার একটি পুকুরের গভীরতা বাড়ানোর আবেদন করেন। ওই পুকুরে প্রতি বছর ১০০টিরও বেশি প্রতিমা বিসর্জন হয়।
আদিগঙ্গা উপচে যেভাবে কালীঘাট সহ টালিনালার বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়েছে, ঘরে জল ঢোকায় ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন বাসিন্দারা, তা নিয়ে মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ১০ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান জুঁই বিশ্বাস। পুজোর সময় এমন ঘটনা ঘটলে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। এ বিষয়ে পুরসভা ও সিইএসসিকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার অনুরোধ জানান জুঁই।
যাদবপুর-গরফা সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কেইআইআইপির কাজের জেরে রাস্তার হাল খারাপ হয়ে গিয়েছে। পুজোর আগে সেই রাস্তা চলাচলের উপযুক্ত করে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন ১১ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তারকেশ্বর চক্রবর্তী।