ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ
তল্লাশিতে ওই বৈঠকখানার কাছে একটি আন্ডারগ্রাউন্ড রিজার্ভারের খোঁজ পান তদন্তকারীরা। তা ঘিরেও তৈরি হয় রহস্য। কুলতলির সাদ্দামের বেডরুমে খাটের তলায় সুড়ঙ্গের খোঁজ মিলেছিল। সেই সূত্রে জামালের প্রাসাদের এই রিজার্ভার ঘিরেও নানা জল্পনা তৈরি হয়। জামালের অবশ্য দাবি, জল ধরে রাখার জন্যই এটি তৈরি করা হয়েছিল। প্রায় ১৫০০ লিটার জলধারণ ক্ষমতা এটির। পুলিসের সন্দেহ হওয়ায় সেই রিজার্ভারের মুখ ভেঙে ফেলা হয়। ভিতরে ঢুকে অবশ্য সন্দেহজনক কিছু পাননি তদন্তকারীরা। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি। বৈঠকখানার সিসিটিভির হার্ডডিস্ক, কিছু নথি নিয়ে জামালের অট্টালিকা থেকে বেরিয়ে যায় পুলিস। বারুইপুর পুলিস জেলার সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি বলেন, ‘জামালের বাড়িতে একটি জলের ট্যাঙ্কের হদিশ মিলেছে। তবে সন্দেহজনক কিছু মেলেনি। দেখে মনে হয়েছে, জল রাখার জন্যই সেটি ব্যবহার করা হতো।’ এক পুলিস আধিকারিক বলেন, ‘যাঁরা জামালের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন, তাঁরা আদৌ সেখানে গিয়েছিলেন কি না, তা জানতেই সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।’
এদিকে, পুলিসের অভিযানের পর বিস্ফোরক দাবি করেন এক মহিলা। তিনিও জামালের সালিশি সভায় নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন বলে জানান। মহিলা বলেন, ‘ওই বাড়িতে জামাল অনেক আগ্নেয়াস্ত্র রেখেছে। সেসব দেখিয়েই ভয় দেখাতেন সালিশি সভায়।’ পুলিসের তল্লাশি অভিযানে কেন ওই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হল না, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তবে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, কোনও আগ্নেয়াস্ত্র থাকার প্রমাণ মেলেনি।