হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
বারাকপুর মহকুমার সিঁথি মোড় থেকে খড়দহ পর্যন্ত দীর্ঘ রাস্তায় ফাঁকা ফুটপাত দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হবে। সিঁথির মোড়ের দু’দিকে দোকানের সারি। সার্কাস ময়দানের গায়ে আবার ফুটপাত দখল করে তৈরি হয়েছে নার্সারি। এরপর ডানলপের দিকে যত এগনো যাবে, ততই দোকান, গাড়ির গ্যারাজ, ইমারতি দ্রব্য ফেলে ব্যবসা নজরে আসবে। ডানলপ মোড়ে ফুটপাতের অবশিষ্ট বলে কিছু নেই। এখানে বিটি রোড, পিডব্লুডি রোডের দুই দিকে সামান্য জায়গাও ফাঁকা নেই। পথচারীরা বাধ্য হন রাস্তা দিয়ে হাঁটতে। এরপর ডানলপ ব্রিজ পেরিয়ে যতই কামারহাটির দিকে এগনো যাবে, ততই ফুটপাত চুরির চিত্র চোখে পড়বে। রথতলা মোড়ের পর থেকে কামারহাটি মোড় পর্যন্ত ফুটপাত বলে কিছু নেই। রাস্তার দুই দিকে পুরনো ও নতুন ফার্নিচারের দোকান। কোথাও আবার গ্যারাজ গজিয়ে উঠেছে। শুধু ফুটপাত নয়, পাশের সার্ভিস রোড দখল করে সার দিয়ে রাখা হয়েছে গাড়ি। সেখানেই চলছে গাড়ি মেরামতির কাজ। সোদপুরের পরিস্থিতি আরও বিচিত্র। বিটি রোডের দু’দিকে নামীদামি রেস্তরাঁর ঝাঁ-চকচকে আউটলেট। সরকারের তৈরি ফুটপাত ও সার্ভিস রোড তাদের দখলে। একটি নামকরা রেস্তরাঁ তৈরি হয়েছে সিংহভাগ ফুটপাত দখল করে। নীচের তলায় রান্না হচ্ছে। দোতলায় কেবিনে খাওয়ার ব্যবস্থা। কিছু ব্যবসাদার আবার তাঁদের দোকানের সামনের ফুটপাত দখল হওয়ার আশঙ্কায় দোকানটির সম্প্রসারণ করেছেন। এমনকী দোকানের দু’দিকের ফুটপাত দেওয়াল তুলে ঘিরেও দিয়েছেন। এছাড়া ফুটপাত দখল করে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে শাসক দলের কার্যালয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারাকপুর মহকুমায় রাজনৈতিক মদতে ফুটপাত দখল হয়েছে। তা নাহলে ফুটপাতের উপর দোতলা রেস্তরাঁ, দেওয়াল তোলা ও পাকা স্থায়ী দোকান হতে পারে না। অনেককেই নির্দিষ্ট মাসোহারা দিতে হয় স্থানীয় মাতব্বরদের। শুধু তাই নয়, বহু জায়গায় নেতারা দোকান দখল করিয়ে রেখেছেন, যা ভাড়ায় দিয়ে নির্দিষ্ট মাসোহারা নেওয়া হয়।
এদিন ডানলপ মোড়ে পথচারী সজল দত্ত, পিনাকী রুদ্র বলেন, প্রথমে বিশ্বাস হয়নি। তারপর ভেবেছিলাম, এবার হয়তো সত্যি ডানলপ মোড়ের ফুটপাত দিয়ে আমরা হাঁটতে পারব। এখন তো দেখছি সবাই ফিরে যাচ্ছেন।