ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
সোমবার সন্ধ্যাতেই কলকাতা পুলিস হাতিবাগান, পার্ক স্ট্রিট এলাকার ফুটপাত দখলমুক্ত করতে এক দফা অভিযান চালিয়েছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকে লালবাজারের নির্দেশে প্রতিটি থানা তাদের এলাকার রাস্তাঘাট ও ফুটপাত থেকে দখলদার সরাতে নেমে পড়ে। পিজি হাসপাতালের সামনে ত্রিপল খাটিয়ে চলা খাবারের দোকানগুলি সরিয়ে দেয় ভবানীপুর থানার পুলিস। যদুবাবু বাজার, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোডের একাধিক জায়গায় অভিযান চালানো হয়। দুপুরে নিউ মার্কেট, গড়িয়াহাট ও বিকেলে হাতিবাগান অঞ্চলের হকারদের ফুটপাত ছেড়ে উঠে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেয় প্রশাসন। ফুটপাত দখল করে যাঁরা দোকান চালাচ্ছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিসকর্তারা। সাফ জানিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। হকাররা বলেন, ‘এত কম সময়ের মধ্যে কীভাবে বিকল্প ব্যবস্থা করব?’ ব্যবসা চালানোর বিকল্প ব্যবস্থা করে দেওয়ার আর্জিও জানান ব্যবসায়ীরা।
সল্টলেকে জবরদখলকারীদের রমরমা নিয়ে বৈঠকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মমতা। কে বি ব্লকের যে এলাকা দখল হয়ে যাওয়া নিয়ে মমতা উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন, এদিন সকালে সেখানে জেসিবি নিয়ে হাজির হয় বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিস। ভেঙে দেওয়া হয় ২০টি অবৈধ দোকান। হালিশহর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাগমোড়ে রাস্তার ধারের একটি হোটেল পুরসভা ভেঙে দেয়। ডায়মন্ডহারবার পুরসভা জানিয়ে দিয়েছে, ফুটপাত এবং নয়ানজুলির ধারে যেসব সরকারি জমি দখল হয়ে গিয়েছে, সেগুলি উদ্ধার করা হবে। সিঙ্গুরে জবরদখলকারীদের সরে যাওয়ার জন্য নোটিশ দিয়েছে পূর্তদপ্তর।
দক্ষিণবঙ্গের বর্ধমান শহর, বীরভূমের দুবরাজপুরে বেআইনি পার্কিং, ফুটপাতের দখলদারদের হটানোর নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁচ পুরসভা এলাকায় অবৈধ গুমটি, স্টল বা দোকানঘর সরিয়ে দেয় পুলিস। ঝাড়গ্রাম পুরসভা এলাকার রাস্তাঘাট ও ফুটপাত দখলমুক্ত করতে সক্রিয় হন কাউন্সিলাররা। নদীয়ার কৃষ্ণনগরে দখলদারদের সরে যাওয়ার জন্য তিন দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
বাদ যায়নি উত্তরবঙ্গ। শিলিগুড়িতে সেভক রোডের ফুটপাত দখল করে চলা দোকান থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলেরই একাংশের বিরুদ্ধে। নবান্নের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, প্রশাসন যেন কাউকেই রেয়াত না করে। সেই নির্দেশ ঘোষণা করে দখলদার হটানোর কাজ শুরু হয়। ময়নাগুড়িতে ফুটপাত থেকে সরে যাওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে পুলিস ও পুরসভা। কোচবিহার, দিনহাটা, আলিপুরদুয়ার শহরেও পুলিসি অভিযান সংগঠিত হয়।