ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
লোকসভা নির্বাচনে ২৯টি আসন জয়ের সাফল্য সত্ত্বেও আত্মতুষ্টিতে না ভুগে মমতা যে ‘কড়া পদক্ষেপ’ নিয়েছেন, দলের মধ্যে সেটাই সবথেকে আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে। সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের নির্যাস ছড়িয়ে পড়েছে জেলায় জেলায় দলের সমস্ত কর্মীর কাছে। দলের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত পদাধিকারী থেকে জনপ্রতিনিধিরা কোথায়, কী কাজ করছেন, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ খবর আছে তৃণমূল সুপ্রিমোর কাছে। আর সেই খবরই ফাঁস করে দিয়েছেন তিনি। এতে উজ্জীবিত দলের সকলেই। সেই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, নির্ভীক চিত্তে দলনেত্রী যেকথা বলেছেন, তা নরেন্দ্র মোদিও বলতে পারবেন না।
মূলত, মঙ্গলে মমতার ভোকাল টনিক গোটা দলকে একটা ঝাঁকুনি দিয়েছে। সর্বত্র আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে, এবার থেকে তোলাবাজির আগে নেতারা দু’বার ভাববেন, তাঁদের উপর স্বয়ং নেত্রীর নজর রয়েছে। অনৈতিক কাজ করলে কড়া শাস্তিভোগ করতে হবে। এলাকার মানুষের সঙ্গে বছরভর সংযোগ রাখা, সাধ্যমতো নাগরিক পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া জনপ্রতিনিধিদের অবশ্য পালনীয় কর্তব্য। দলের এক শীর্ষ নেতা বলেছেন, নেত্রীর নির্দেশ বুঝিয়ে দিয়েছে, মানুষের স্বার্থ আগে দেখতে হবে। কেউ যদি নিজের স্বার্থ দেখতে যান, তাহলে দল যে তাঁকে ছেঁটে ফেলতে সময় নেবে না, সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তথা রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ব্যক্তির থেকে দল বড়। দলের থেকে মানুষ বড়। এই আপ্ত বাক্য দলের সমস্ত নেতা-কর্মীর মেনে চলা উচিত। নেতা-কর্মীদের এমন কোনও আচরণ হওয়া উচিত নয়, যাতে দল বিড়ম্বনায় কিংবা অস্বস্তিতে পড়ে। কেননা তার প্রভাব গিয়ে পড়ে ভোট বাক্সে। নিজের স্বার্থসিদ্ধি না করে মানুষের পাশে সারা বছর থাকলে, মানুষও ভোটের সময় মনে রাখেন। পাশাপাশি ছয়বারের বিধায়ক ও দীর্ঘদিন পুরসভার দায়িত্ব সামলানো কাটোয়ার রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, নেত্রীর নির্দেশ সকলের মেনে চলা উচিত। কেউ যদি তা লঙ্ঘন করেন, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে দলগতভাবে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এরজন্য সবসময় মনিটরিং হোক। - ফাইল চিত্র