ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
তারাতলার ব্রিটানিয়া কারখানার উৎপাদন বন্ধ বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে। সেখানকার স্থায়ী কর্মীদের স্বেচ্ছাবসর চূড়ান্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের সঙ্গেও আলোচনা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে যেভাবে প্রচারিত হচ্ছে ব্রিটানিয়ার বাংলা ত্যাগ নিয়ে, তা ঠিক নয়, দাবি করেছেন অমিতবাবু। তিনি বলেন, আমাকে সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, কলকাতা থেকে তাঁরা অফিস সরাচ্ছেন না। শেয়ারহোল্ডারদের বৈঠকও হবে এখান থেকেই। বাংলার প্রতি ব্রিটানিয়া দায়বদ্ধ। এখানকার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চায় ব্রিটানিয়া, জানিয়েছেন বরুণ বেরি। তিনি বলেন, তারাতলার কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হলেও, এরাজ্যের একাধিক সংস্থার সঙ্গে ব্রিটানিয়ার চুক্তি আছে। সেই চুক্তি অনুযায়ী ব্রিটানিয়ার পণ্য তৈরি করে তারা। সেখানে যেমন ব্রিটানিয়ার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, তেমনই পণ্যের গুণমান ধরে রাখা সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রণ সহ নানাবিধ নিয়ন্ত্রণ থাকে ব্রিটানিয়ার হাতে। তাদের হাত ধরেই বর্তমানে বাংলায় এক হাজার থেকে বারোশো কোটি টাকার বার্ষিক উৎপাদন চালিয়ো যাচ্ছে ব্রিটানিয়া, দাবি ম্যানেজিং ডিরেক্টরের।
২০১৮ সালেই ব্রিটানিয়া জানিয়েছিল, তারাতলার কারখানাটি তাদের কাছে আর্থিকভাবে লাভজনক হচ্ছে না। অমিতবাবুর দাবি, অনেক পুরনো কারখানা হওয়ায় একই কারণে তারা বন্ধ করেছে মুম্বই এবং চেন্নাইয়ের কারখানা। ফলে গোটা সংস্থাটিই বাংলা ছেড়ে চলে যাচ্ছে, এই প্রচার একেবারেই বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করেছেন তিনি। অমিতবাবু জানান, বরুণ বেরি এখন বিদেশে রয়েছেন। দেশে ফিরে তিনি রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। এরাজ্যে ব্রিটানিয়ার উদ্যোগ বাড়াতে কী কী পদক্ষেপ করা হবে, নতুন করে কোনও কারখানা চালু হবে কি না, বা কোনও নতুন লগ্নি হবে কি না, সেসব নিয়ে কথা হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।