কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের ভূমিকা সম্পর্কে কটাক্ষ করে বেঞ্চ এদিন বলেছে, বৃষ্টি পড়লে কি ছাতা কিনব? নাকি আগে থেকেই তা সঙ্গে রাখা উচিত! এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বেঞ্চ বলেছে, এই দপ্তর সম্পর্কে তাদের পরিকল্পনা কী, তা হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। ২০০৫ সালের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট-এর ২৩ ধারা অনুযায়ী বর্তমান ব্যবস্থা যথোপযুক্ত কি না, তাও সেখানে উল্লেখ করতে হবে। উল্লেখ্য, কলকাতা পুরসভাকে এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলায় এদিন যুক্ত করতে বলেছে বেঞ্চ।
মেট্রো রেলের তরফে আইনজীবী রঞ্জন বাচওয়াত এদিন আদালতকে বলেন, বিপর্যয়ের পর সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে ৬৮৮ জনকে অন্যত্র সরানো হয়েছে। ৭৮টি বাড়ি খালি করা হয়েছে। প্রায় ৬৮টি পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। মাটির নীচের জলভাণ্ডার থেকে জল আসা আটকানো গিয়েছে। যদিও আইআইটি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়েই দিনরাত কাজ চলছে সেখানে। গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে এলাকার বিদ্যালয়গুলি বন্ধ। তা খোলার চেষ্টা চলছে। বেশ কিছু গয়নার দোকানও খোলার ব্যবস্থা করা গিয়েছে। যেসব বাড়ি অল্পবিস্তর ক্ষতি হয়েছে, সেগুলি মেরামত করা হচ্ছে। এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মামলাকারীর আইনজীবী ঋজু ঘোষাল বলেন, মেট্রো কর্তৃপক্ষ যা বলছে, সবই মৌখিক। কোনও লিখিত বা প্রামাণ্য নথি পেশ করেনি তারা। এই সওয়ালের পরিপ্রেক্ষিতেই মেট্রো কর্তৃপক্ষ কেএমআরসিএল-কে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেয় বেঞ্চ।
রাজ্যের আইনজীবী তালে মাসুদ সিদ্দিকি বেঞ্চকে জানান, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য একটি কোর কমিটি গঠন করেছে। বেঞ্চ বলেছে, আদালতের অনুমতি ছাড়া যেন নতুন করে সুড়ঙ্গের কাজ শুরু না হয়। ক্ষতির বহর যাতে না বাড়ে, দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফেরানো যায়, মেট্রো কর্তৃপক্ষকে সেই প্রসঙ্গে সদর্থক পদক্ষেপ করে যেতে হবে। আর রাজ্যের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ করেছে, তা পরবর্তী শুনানির দিন জানাতে হবে।