কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
গেরুয়া শিবিরের প্রতি তাঁর এই সখ্যতা নিয়ে টানাপোড়েন অনেকদিন ধরেই চলছে। লোকসভা ভোটের আগে এনিয়ে দলের অন্দরে প্রবল প্রতিবাদ তৈরি হয়েছিল। তারপরে দলের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত বিষয়টি তখনকার মতো মিটে যায়। কিন্তু, লোকসভা ভোটের পর থেকেই একের পর এক বিতর্কের সঙ্গে সব্যসাচীবাবুর নাম জড়িয়ে যায়। যদিও তাতে খুব একটা হেলদোল দেখা যায়নি সব্যসাচীবাবুর মধ্যে। তার বদলে তিনি প্রত্যেকবারই অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গেই নিজের অবস্থানের সপক্ষে যুক্তি দিয়ে গিয়েছেন। যদিও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, সব্যসাচীবাবুর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের দূরত্ব ইতিমধ্যে তৈরি হয়ে গিয়েছে। যদিও সব্যসাচীবাবু এবিষয়ে একবারও সরাসরি কিছু বলতে চাননি। এমনকী মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করে যে যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছিল, তাতে হাজির থাকা নিয়ে সব্যসাচীবাবুর দাবি, নিমন্ত্রণ পেয়ে গিয়েছিলেন। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে এই যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছিল। দেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্য এই আয়োজন। তাতে যাওয়ার ক্ষেত্রে, তাঁর কোনও আপত্তিও ছিল না। তাই তিনি যজ্ঞ মঞ্চতে হাজির হয়েছিলেন।
একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে এই যজ্ঞের নেপথ্যে ছিল বিজেপির একটি শিবির। যদিও বিজেপির এই কর্মীরা প্রচ্ছন্নে সব্যসাচীবাবুরই মদতে এই যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন বলে রাজনৈতিক সূত্রের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে সব্যসাচীবাবুর গণেশ পুজোর উদ্বোধনে বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ একাধিক নেতা হাজির হয়েছিলেন। তা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। সেবারও বিজেপি নেতা তথা দল, প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে সব্যসাচীবাবুর গলাতে সুসম্পর্কের বিভিন্ন কথা শোনা গিয়েছিল। এবারও তাঁর ব্যতিক্রম হল না। তাই এরপরে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় কি না? তা নিয়েও রাজনৈতিক মহলের আলোচনা তুঙ্গে। এবিষয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ও এরকম করছে। তাঁরা এনিয়ে কিছু ভাবতে রাজি নন। তাঁরা দলের বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। এ নিয়ে তৃণমূলের পুরদলের নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন, ও কী করছে তাতে আমরা গুরুত্ব দিতে চায় না। কেউ দুনৌকোয় পা দিয়ে চললে তার ভরাডুবি নিশ্চিত।