কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
এবার ধর্মতলায় প্রথমবার বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে। কেএমআরসিএল সূত্রের খবর, পুজোর মূল উদ্যোক্তা কাজের বরাতপ্রাপ্ত নির্মাণকারী সংস্থার কর্মী-অফিসাররাই। গত বছর নিউটাউনে ওই সংস্থার ‘কাস্টিং ইয়ার্ড’-এ বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল বেশ জমকালোভাবেই। পুজো ঘিরে কর্মীদের উৎসাহ ছিল বেশ।
মঙ্গলবার ধর্মতলার কন্ট্রোল অফিসের মধ্যে সকাল থেকে পুজোর মণ্ডপ তৈরি, তা সাজানো, আলপনা দেওয়ার কাজ কর্মীরা নিজেরাই করেছেন। লাগানো হয়েছে রঙিন কাগজের সিকলিও। কর্মীদের কথায়, গত বছরের তুলনায় এবার কিছুই করা হচ্ছে না। গত বছরে পুজোয় ১২০০ জন পংক্তি ভোজন করেছিল। কর্মীদের দেওয়া হয়েছিল মিষ্টির প্যাকেট। এবার সেসব কিছুই হচ্ছে না। তবে নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো হবে। কর্মী-অফিসারদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হবে। পুজোর আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত এক কর্মীর কথায়, এতটা পথ সুষ্ঠুভাবে টানেল তৈরির পর বউবাজারে কীভাবে বিপত্তি ঘটল, তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। গত কয়েকদিনের চেষ্টায় নতুন করে মাটির ক্ষয় এড়ানো গিয়েছে। টানেলে জলও আর ঢুকছে না। বলা যায়, ক্রমে স্থিতাবস্থা ফিরছে। বিশ্বকর্মা তো শিল্পের দেবতা। তাঁর কাছে আবেদন, নতুন করে আর যেন বিপত্তি তৈরি না হয়।
‘কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড’ (কেএমআরসিএল)-এর ইঞ্জিনিয়ারদেরও বক্তব্য, যাবতীয় পরীক্ষা করিয়ে সমস্ত আটঘাট বেঁধেই টানেলের কাজ করা হচ্ছিল। বিপর্যয়ের কারণ এখনও বোঝা যাচ্ছে না। তবে ক্রমে সার্বিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। আপাতত বিপর্যয় সুষ্ঠুভাবে সামাল দেওয়াই এখন মুখ্য কাজ। সেই পর্ব মিটলে সমস্ত অনুমোদন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ফের টানেল কাটার কাজ শুরু করা হবে। সেই সময়ে বউবাজার এলাকায় মাটির নীচে থাকা টানেল বোরিং মেশিনটি পরীক্ষা করানো হবে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে। তাতে টানেলে জল ঢোকার ‘রহস্য’ কাটতে পারে।
সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, বউবাজার এলাকায় বাড়িগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখতে সমীক্ষা করছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। সেই কমিটি আজ, বুধবার তাদের রিপোর্ট জমা দিতে পারে। সংস্থার এক কর্তার কথায়, সেই রিপোর্ট পেলেই বোঝা যাবে, কতগুলি বাড়ি ভাঙতে হবে আর কতগুলি বাড়ি মেরামত করলেই আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। কতগুলি বাড়িতে প্রথম পর্যায়ে বাসিন্দাদের ফেরানো সম্ভব হবে, সেই ইঙ্গিতও মিলবে ওই রিপোর্টে। ওই এলাকায় কয়েকটি বাড়িতে ফাটল না ধরলেও বাসিন্দাদের সরানো হয়েছে স্রেফ সুরক্ষার স্বার্থে। ওই বাড়িগুলিতে বাসিন্দাদের আগে ফেরানো হবে। ওই এলাকায় এখনও পর্যন্ত মোট ১০৭টি পরিবার ক্ষতিপূরণের অর্থ পেয়েছে। বাকি আবেদনপত্রগুলি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। একইসঙ্গে ওই এলাকার দোকানদারদেরও পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।