কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
মঙ্গলবার বিকেলে কথা হচ্ছিল ব্যাঙ্কশাল স্ট্রিটে বসা টাইপিস্ট অলোককুমার হাইত, অমিত মুখোপাধ্যায়দের সঙ্গে। কথা প্রসঙ্গে তাঁরা বললেন, এখন ইলেকট্রনিক্স টাইপরাইটার, কম্পিউটার সহ নানা আধুনিক যন্ত্রপাতি এসে গিয়েছে। মান্ধাতার আমলের টাইপরাইটার নিয়ে আমাদের কাজ করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। আধুনিকতার সঙ্গে কিছুতেই তাল মেলাতে পারছি না। ফলে সমস্যা হচ্ছে। আর কতদিন এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারব, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। ওই চত্বর ঘুরে দেখা গেল, বেশ কয়েকটি টাইপরাইটার ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তা দিয়েই কোনওভাবে চলছে কাজকর্ম। সেখানেই দেখা হল টাইপিস্ট মানিক সাহার সঙ্গে। তাঁর মেশিন অত্যন্ত পুরনো। বলেন, এই মেশিন দিয়েই তো দিব্যি চলছে। জীবনে বড় কোনও আশা নেই। বাকি জীবনটা এভাবে চলে গেলেই হল। ভগবানের কাছে এই আশাই রাখি।
আলিপুর কোর্ট চত্বরে দেখা গেল বেশ কিছু টাইপিস্টের সঙ্গে। তাঁদের চোখে মুখেও দুশ্চিন্তার ছাপ। কয়েকজন টাইপিস্ট বলেন, প্রতিযোগিতার বাজারে আমরা হেরে যাচ্ছি। আমাদের কাছে আধুনিক টাইপ মেশিন নেই। তাই আমাদের কাছে বিশ্বকর্মা ব্রাত্যই।