কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হালিশহর পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার কল্পনা বিশ্বাস অন্যান্য দিনের মতো রাত ১১টা নাগাদ পরিবারের সঙ্গে রাতের খাবার খেয়ে বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত দু’টা নাগাদ আচমকা বিস্ফোরণের তীব্র আওয়াজে ঘুম থেকে উঠে পড়েন তারা। কিছুটা ধাতস্থ হওয়ার পর তাঁরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখেন দুষ্কৃতীরা বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়েছে। তার মধ্যে একটি বোমা সদর দরজার কাছে ফেটেছে। অপর একটি বোমা ফাটেনি। এই ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত নৈহাটি থানার পুলিস ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাঝরাতে এলাকায় তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়। ক্ষুব্ধ শাসক দলের কর্মীরা বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয়। এই ঘটনায় শহরাবাসী নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। অনেকেই বলছেন, কাউন্সিলারের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কি আছে?
এই বিষয়ে কল্পনাদেবী বলেন, রাত ২টা নাগাদ ব্যাপক আওয়াজে ঘুম থেকে জেগে যাই। এরপর পুলিসকে সমস্ত ঘটনা জানানোর পর দ্রুত পুলিস আসে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বোমাও পাওয়া গিয়েছে। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রাতের অন্ধকারে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এলাকাকে অশান্ত করতে ওরা আমাকে ও আমার স্বামীকে টার্গেট করেছে। বিজেপির উচ্চ নেতৃত্ব পরিকল্পনা মাফিক এই ঘটনা ঘটিয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ করার পাশাপাশি দলের উচ্চ নেতৃত্বকে সমস্ত ঘটনা জানিয়েছি। বিজেপির বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেন, বিজেপি এই ধরণের রাজনৈতিক দর্শনে বিশ্বাসী নয়। আমাদের দলের কেউ কাউন্সিলারের বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনায় জড়িত নয়। আসলে হালিশহরে তৃণমূল গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে ভুগছে। যদুবংশ ধ্বংস হওয়ার মতোই নিজেরাই নিজেদের মারার চেষ্টা করছে। এই ঘটনা একেবারেই শাসক দলের কোন্দলের ফলশ্রুতি। পুলিস নিরপেক্ষ তদন্ত করলে আসল ঘটনা প্রকাশ্যে আসবে।