কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
গত ১৩ জুলাই, শনিবার সন্ধ্যায় পাতাল পথে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল। পার্ক স্ট্রিট স্টেশন থেকে শেষ মুহূর্তে ট্রেনে উঠতে গিয়ে দরজায় হাত আটকে গিয়েছিল সজল কাঞ্জিলাল নামে এক যাত্রীর। চলন্ত ট্রেন থেকে লাইনে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনার পর চারদিকে ব্যাপক হইচই পড়ে যায়। এর জের গড়ায় দিল্লি পর্যন্ত। জোর করে দরজা আটকে ট্রেনে ওঠার প্রবণতা বন্ধ করতে ঘটনার কয়েক দিনের মাথায় জরিমানার দাওয়াই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ঠিক হয়, এই ঘটনায় ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে।
মেট্রো সূত্রের খবর, সিদ্ধান্ত মতো গত ১৫ জুলাই পার্ক স্ট্রিট স্টেশনেই এক যাত্রীর থেকে প্রথম এই ঘটনায় জরিমানা আদায় করা হয়। সেই দিক থেকে জরিমানা আদায়ের এক মাস পূর্ণ হতে চলেছে। এক মাসে কত যাত্রীকে জরিমানা করা হল? মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, গত প্রায় এক মাসে ১৬ জন যাত্রীর থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। তার মধ্যে ১২ জন যাত্রীর থেকে ৫০০ টাকা করে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। বাকিদের জরিমানা করা হয়েছে এক হাজার টাকা করে। তার মধ্যে গত মাসেই ময়দান স্টেশনে তিনজনকে জরিমানা করা হয়। চলতি মাসে কালীঘাট স্টেশনে দু’জনকে জরিমানা করা হয়েছে। মেট্রো রেলের নিরাপত্তা বিভাগের এক কর্তা বলেন, চলতি মাসে এখনও পর্যন্ত আটজনের থেকে জরিমানা নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে সাত জনের থেকে ৫০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। একজনকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তবে, জরিমানার পাশাপাশি বিভিন্ন স্টেশনে চলছে প্রচারও। কিন্তু, তাতেও যাত্রীদের এই প্রবণতা বন্ধ হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে মেট্রো রেলের মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আসলে জরিমানা করা হচ্ছে যাত্রীদের সচেতন করতেই। ওই একই উদ্দেশ্য চলছে প্রচারও। ১৫ দিনের একটি বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। তার জন্য ছ’জনের দল গঠন করা হয়েছে। দলের সদস্যরা বিভিন্ন স্টেশনে ঘুরছেন। যাত্রীদের সতর্ক করছেন। একটি ভিডিও-ও তৈরি করা হয়েছে। তা বিভিন্ন স্টেশনে দেখানো হচ্ছে। ওই ভিডিওটি আগামী সপ্তাহ থেকে বেশ কিছু সিনেমা হলে দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সামগ্রিক প্রচেষ্টায় যাত্রীরা আরও সতর্ক হয়ে ট্রেনে চড়বেন বলেই আমাদের বিশ্বাস।