সংবাদদাতা বেলদা: ওড়িশার সীমানাবর্তী ঐতিহাসিক দাঁতনে সাড়ম্বরে উদ্বোধন হল তৃতীয় বর্ষের ‘দাঁতন মেলা’। বৃহস্পতিবার এই মেলার উদ্বোধন করেন পুলিস সুপার ধৃতিমান সরকার। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহা, জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি তথা বিধায়ক অজিত মাইতি, বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান, বিধায়ক সূর্যকান্ত অট্ট, বিধায়ক পরেশচন্দ্র মুর্মু,  বিধায়ক দীনেন রায়, মহকুমা শাসক পাতিল যোগেশ অশোক রাও প্রমুখ।দাঁতনের আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মেলা মাঠ পর্যন্ত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হয়। শোভাযাত্রায় বাংলার বাড়ি থেকে শুরু করে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের ট্যাবলো বের হয়। ছিল বাউল গান, ছৌ-নৃত্য, মহিলা ঢাকি। আগমী ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত মেলা চলবে। প্রতিদিন নানা ধরনের অনুষ্ঠান হবে। 
মেলা কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্বোধনের দিনটিকে উচ্ছ্বাস দিবস, দ্বিতীয় দিন জনশিক্ষা চেতনা দিবস, তৃতীয় দিন কৃষি চেতনা দিবস, চতুর্থ দিন স্বাস্থ্য চেতনা দিবস হিসেবে পালিত হবে। এভাবেই প্রত্যেকদিনের একটি করে নাম দেওয়া হয়েছে। সেই হিসেবে থাকছে নানা অনুষ্ঠান। ২০জানুয়ারি  বিজ্ঞান চেতনা দিবসে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী প্রয়াত সূর্যেন্দু বিকাশ করমহাপাত্রকে নিয়ে থাকছে বিশেষ আলোচনা সভা। এভাবেই মেলায় দিনের বেলা প্রতিদিন আলোচনা সভা, সন্ধ্যায় স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও রাতে বাইরের শিল্পীদের নিয়ে বিচিত্রা অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে। প্রথম দিন থেকেই মেলা ঘিরে উন্মাদনা দেখা যায়। মেলা কমিটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক দাঁতনের বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান বলেন, দাঁতন মেলা আমাদের ইতিহাস সমৃদ্ধ দণ্ডভুক্তি তথা দাঁতনের কৃষ্টি সংস্কৃতির পরিচায়ক। যেমনভাবে ঐতিহাসিক স্থান শরশঙ্কা দিঘি, মোগলমারী বৌদ্ধবিহার রাজ্যের ইতিহাসে নাম করে নিয়েছে, তেমনই আমাদের এলাকার কৃষ্টি সংস্কৃতির পরিচয় বহন করছে এই মেলা। মেলা কমিটির সম্পাদক জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ প্রতুল দাস বলেন, ওড়িশা সীমানাবর্তী দাঁতনে বাংলা, ওড়িশার সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটায় আমাদের এই দাঁতন মেলা। দাঁতনের ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি দাঁতনের লোহার তৈরি জিনিস দা, কাটারি, কোদাল প্রভৃতির কুটির শিল্পকে আরও বেশি করে তুলে ধরা হয়। মেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক দেবেশ দাস ও সুশান্ত চন্দ বলেন, আমাদের মেলা জেলা রাজ্যের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সমাদৃত। ১১ দিন ধরে চলা মেলায় সবাইকে জানাই সাদর আমন্ত্রণ।-নিজস্ব চিত্র