দক্ষিণবঙ্গ

কথাকলি নৃত্যশৈলী এবার থিমে তুলে ধরছে রামপুরহাটের তরুণের আহ্বান

বলরাম দত্তরণিক, রামপুরহাট: বিশ্বায়নের যুগে মুঠোফোনের দাপটে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের পুরনো শিল্প ও সমস্ত নৃত্যশৈলী। একদিকে যেমন হারিয়ে যেতে বসেছে এরাজ্যের ছৌ নৃত্য, তেমনই বিলুপ্তির পথে কেরলের কথাকলি নৃত্য। সেই ‘কথাকলি’ নৃত্যশৈলীকেই থিম আকারে মণ্ডপে নিয়ে আসছে রামপুরহাটের তরুণের আহ্বান পুজো কমিটি। তাদের এবারের স্লোগান ‘কথাকলি ছন্দে, মাতিব আনন্দে’। স্লোগানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ।
কথাকলি হল ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের একটি অন্যতম প্রধান ধারা। যেখানে প্রথাগতভাবে অভিনেতা, নৃত্যশিল্পীরা বিভিন্ন রকমের রূপসজ্জা, পোশাক ও মুখোশ পরেন। কথা শব্দের অর্থ কাহিনি আর কলি শব্দের অর্থ অভিনয়। কেরলের সংস্কৃতিতে অন্যতম হল কথাকলি নৃত্য। ৬৮ অর্থ বর্ষে সেই কথাকলি শিল্পকর্ম তুলে ধরার প্রয়াস নিয়েছে তরুণের আহ্বান। মণ্ডপে প্রবেশের ১৫০ ফুট গলিজুড়ে থাকবে কেরলের অঙ্কন ও কথাকলি নৃত্যকলা। মণ্ডপে ঢুকলেই আপনার মনে হবে কেরলে চলে এসেছেন।
পুরো পরিকল্পনাটি সম্পাদক কৃষ্ণ চৌধুরীর মস্তিষ্কপ্রসূত। তাঁর এই পরিকল্পনার বাস্তব রূপ দেওয়ার জন্য মণ্ডপের মধ্যে তৈরি করা হচ্ছে কথাকলি নৃত্যের ভঙ্গিমায় শতাধিক মুখোশ। এছাড়া নাচের ভঙ্গিমায় ২০টি পূর্ণাবয়ব কথাকলির মূর্তি। তাঁর ভাবনার এই রূপ দিচ্ছেন শিল্পী ভুবন মণ্ডল। তিনি বলেন, মণ্ডপজুড়ে থাকবে কেরলের কথাকলি সংস্কৃতি। হাতে আঁকা কথাকলির মুখোশ পরা দুর্গার প্রতিকৃতি ও দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন আঙ্গিকে কথাকলির নৃত্যানুষ্ঠান প্রদর্শিত হবে। কেরলের সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি হাতি ও নারকেল গাছ রাখা হবে। মণ্ডপটি কেরলেরই একটি ভগবতী মন্দিরের আদলে তৈরি হচ্ছে।  এই পাড়াতেই বাড়ি বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই পুজোর সঙ্গে ওতপ্রতোভাবে জড়িত তিনি। পুজোর ঘট ভরা থেকে নিত্যদিন মণ্ডপে উপস্থিত থাকেন। একটা সময় দোলা কাঁধে ঘট ভরতে যেতেন। এখন শুধু ঘট ভরে নিয়ে আসেন। বিসর্জনেও একই রূপে দেখা যায় তাঁকে। প্রতিবছরই নিত্যনতুন চিন্তাভাবনা নিয়ে আড়ম্বরে পুজোর আয়োজন করে আসছে এই কমিটি। একাধিকবার সরকারি ও বেসরকারিভাবে জেলার সেরা পুজোর শিরোপাও তাঁরা পেয়েছেন। প্রতিবছরই কমিটির আয়োজন দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে।
চতুর্থীতে পুজোর উদ্বোধন করবেন আশিসবাবু। এরপর পুজোর দিনগুলিতে থাকবে ঠাসা সাংস্কৃতিক ও সেবামূলক অনুষ্ঠান। তবে এবার অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে এই কমিটি। যা হয়তো আগামীদিনে অন্যান্য পুজো উদ্যোক্তাদের পথ দেখাবে। কৃষ্ণ চৌধুরী বলেন, পুজোর দিনগুলিতে আমরা সবাই পরিবারের সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠি। কিন্তু দূর থেকে ঢাকি ও ঢুলিরা পরিবার ছেড়ে আসেন। তাই এবার আটজন ঢাকি ও ঢুলিদের সঙ্গে তাঁদের পরিবারকে এখানে রাখা এবং খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছি। তাঁদের পোশাক ও শাড়ি দেওয়া হবে। এবার পুজোর বাজেট প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা। কমিটির সহ সম্পাদক অভিজিৎ সাহা, মিশান মিত্র, শুভম প্রসাদরা বলেন, ১৪ ফুটের প্রতিমার সাবেকিয়ানার সঙ্গে মণ্ডপের কারুকার্য এবারও নজর কাড়বে জেলাবাসীর। আমরা শুধু পুজো নয়, উৎসবেও শামিল হচ্ছি। - নিজস্ব চিত্র
20d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

ধর্মকর্মে সঞ্চীয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১৩ টাকা৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড১০৮.৫০ টাকা১১২.০৬ টাকা
ইউরো৯১.০৪ টাকা৯৪.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
5th     October,   2024
দিন পঞ্জিকা