দক্ষিণবঙ্গ

বড়জোড়া ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়, ডিভিসির জল ছাড়ায় বন্যার আতঙ্ক

নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: ডিভিসির ছাড়া জলে বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ওই ব্লকের মানাচর, পখন্না, ঘুটগোড়িয়া অঞ্চলের একাধিক এলাকা কার্যত জলের তলায় চলে গিয়েছে। দামোদর নদের জলস্তর এদিন দ্রুত বাড়তে থাকে। গত কয়েকবছরে দামোদরের এত ভয়াল রূপ দেখা যায়নি বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে ওই ব্লকে খোলা চারটি ত্রাণ শিবিরে উপদ্রুত এলাকা থেকে ২৫০জন দুর্গতকে উদ্ধার করে রাখা হয়েছে। বড়জোড়ার পাশাপাশি সোনামুখী ব্লকের তিনটি পঞ্চায়েত এলাকাতেও দামোদর নদের জল ঢুকতে শুরু করেছে। ওই নদের তীরবর্তী শালতোড়া, মেজিয়া, পাত্রসায়র ইন্দাসে ব্লকের পরিস্থিতির উপর প্রশাসন কড়া নজর রেখেছে।
জেলাশাসক সিয়াদ এন বলেন, বন্যা কবলিতদের উদ্ধারের জন্য স্পিড বোটের ব্যবস্থা, সিভিল ডিফেন্স, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের জওয়ানদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্গতদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দামোদর নদ সংলগ্ন প্রতিটি ব্লকের বিডিওদের ২৪ ঘণ্টার জন্য উপদ্রুত এলাকায় নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত আমরা সাড়ে ১০ হাজার উপদ্রুত মানুষকে উদ্ধার করেছি।       
মুকুটমণিপুর জলাধার থেকেও জল ছাড়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এদিন ৪৫ হাজার কিউসেক জল কংসাবতী নদীতে ছাড়া হয়। সোমবার রাত পর্যন্ত ধাপে ধাপে জলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ৪০ হাজার কিউসেক করা হয়েছিল। এদিন ওই ড্যাম থেকে আরও পাঁচ হাজার বাড়িয়ে তা ৪৫ হাজার কিউসেক করা হয়। মুকুটমণিপুরের ছাড়া জল কংসাবতীর নিম্ন উপত্যকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে বলে প্রশাসনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন।   
এদিন সকালে স্থানীয় বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায় পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে স্পিড বোটে বড়জোড়ার বন্যাকবলিত এলাকা ঘুরে দেখেন। তিনি বলেন, বন্যায় দুর্গত মানুষের পাশে থাকার জন্য রাজ্য সরকার বলেছে। তাই এদিন সকাল থেকে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও অধিকারিকদের নিয়ে আমি উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শন করেছি। দুর্গতদের প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী বিলি করা হয়েছে। এদিন রাতে ফের নতুন নতুন এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে। বুধবার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পখন্না, বরিশালপাড়া, সীতারামপুর, চকবাজার, বিহারীপাড়া মানা সহ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় দামোদরের জল ঢুকতে শুরু করেছে। 
বড়জোড়ার বিডিও কার্তিকচন্দ্র রায় বলেন, আমরা উপদ্রুত এলাকা থেকে ২৫০ জনকে উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে রেখেছি। আরও কিছু মানুষকে উদ্ধার করতে হবে। ত্রাণ শিবিরে খাবার, ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 
স্থানীয় বাসিন্দা রাজেন হালদার, স্বপন মণ্ডল বলেন, বড়জোড়ায় দামোদর কার্যত দু’কুল ছাপিয়ে বইতে শুরু করেছে। নদের গর্জনে আমাদের রাতের ঘুম উবে গিয়েছে। ঝাড়খণ্ড থেকে আসা জলে যে কোনও সময় তীরবর্তী একাধিক গ্রাম ভেসে যেতে পারে।  
এদিন বাঁকুড়ায় নতুন করে আর বৃষ্টি হয়নি। তবে নিম্নচাপের জেরে টানা বর্ষণে জেলায় আড়াই হাজার মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারমধ্যে দু’হাজার বাড়ি আংশিক এবং প্রায় পাঁচশো বাড়ি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে জেলার ২২টি ব্লকের মোট ১৬০ গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলায় ২০৪টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। সেখানে মোট ৩৩২৪ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। দুর্গতদের মধ্যে প্রশাসনের তরফে ১৪ হাজার ৯৬৪টি ত্রিপল ও ১৭ মেট্রিক টন চাল বিলি করা হয়েছে।
19d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

ধর্মকর্মে সঞ্চীয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১৩ টাকা৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড১০৮.৫০ টাকা১১২.০৬ টাকা
ইউরো৯১.০৪ টাকা৯৪.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
5th     October,   2024
দিন পঞ্জিকা