দক্ষিণবঙ্গ

ভিড়ে আওয়াজ একটাই দুর্ভোগ মিটবে কবে

নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: ডোমকল থেকে স্বামীর চোখের অপারেশন করার জন্য মেডিক্যালে এসেছেন এক বৃদ্ধা। বৃহস্পতিবার সকালে আউটডোরে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে টিকিট করার পর অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে আউটডোর বিল্ডিংয়ে এক চিকিৎসককে দেখাতে পেরেছেন ওই বৃদ্ধা। এদিন চোখের গুরুতর অবস্থা দেখে চিকিৎসক তাঁকে ভর্তি নিয়েছেন। এর আগে দু’বার স্বামীকে নিয়ে এসে ফিরে যেতে হয়েছে। চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে ওই দু’দিন চিকিৎসা মেলেনি। এদিনও চিকিৎসা মিলবে কি না তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন ওই বৃদ্ধ দম্পতি। শেষবেলায় হাসপাতালের বাইরের রাস্তার ধারে বসে ওই বৃদ্ধা বলেন, অনেকদিন ধরে চোখ নিয়ে ভুগছে। ডাক্তার তো আমাদের কাছে ভগবান। কিন্তু যেভাবে তাঁরা কাজ বন্ধ রেখে আমাদের সমস্যায় ফেললেন, তাতে আমাদের শ্রদ্ধা ভক্তি অনেক কমল। 
মেডিক্যাল কলেজের আউটডোরে এখনও পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে চিকিৎসা পরিষেবা মিলবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বারবার চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে গিয়েছেন বহু রোগী। দূর-দূরান্তের গ্রাম থেকে অনেকেই তাই মেডিক্যাল কলেজের দিকে পা বাড়াচ্ছেন না। কিন্তু দূরারোগ্য রোগীদের উপায় নেই। তাঁরা ভোগান্তিকে নিত্য সঙ্গী করে প্রতিদিনই লাইনে দাঁড়াচ্ছেন মেডিক্যাল কলেজের আউটডোরে। সেখানে চিকিৎসক দেখলে ভালো। তা না হলে তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ইমার্জেন্সির সামনে অস্থায়ী অভয়া ক্লিনিকে। সেখানে কয়েকজন জুনিয়র চিকিৎসক এক নাগাড়ে রোগী দেখছেন। সেখানে এসে আবার নতুন করে লাইন দিয়ে ঘণ্টা তিনেক ঠায় রোদে দাঁড়ানোর পরে ডাক্তার দেখাতে পারছেন রোগীরা। সেখানে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় বেশ ক্ষুব্ধ।
যে সমস্ত জুনিয়র চিকিৎসক মেডিক্যাল কলেজের আউটডোরে পরিষেবা দিচ্ছেন না, বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যভবনের কাছে তাঁদের পরিসংখ্যান পাঠিয়েছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল অমিতকুমার দাঁ বলেন, জুনিয়র চিকিৎসকরা প্রতীকী ক্লিনিক করছেন। সেখানে প্রতিদিন ভিড় হচ্ছে। কিন্তু রোগীদের দীর্ঘক্ষণ ওই রোদে লাইনে দাঁড়িয়ে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে বেশ সমস্যা হচ্ছে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওপিডি বিল্ডিং এত সুন্দর থাকা সত্ত্বেও সেখানে রোগী দেখছেন না জুনিয়র চিকিৎসকরা। আমরা বারবার তাঁদের অনুরোধ করা সত্ত্বেও তাঁরা কোনও কথাই কর্ণপাত করছেন না। রোগীদের ভোগান্তি দিনের পর দিন বাড়ছে। স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ অনুসারে আমরা আজ ওপিডি না করা চিকিৎসকদের সংখ্যাটা পাঠিয়ে দিয়েছি। 
এদিকে এই পরিস্থিতিতে সিনিয়র চিকিৎসকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। সিনিয়র ডাক্তাররা দিনের পর দিন জুনিয়রদের সমস্ত কাজে লাগিয়ে তাঁরা বাইরে নার্সিংহোম বা প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগী দেখেন। যখন জুনিয়র চিকিৎসকরা লাগাতার কর্মবিরতি করছেন, তখন সিনিয়র চিকিৎসকদের আরও কিছুটা দায়িত্ব নেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করছে মেডিক্যাল কলেজের শীর্ষ আধিকারিকরা। দিনের অধিকাংশ সময়ে ওপিডি বিল্ডিংয়ে সিনিয়র চিকিৎসকরা থাকছেন না। তাঁরা বরাবর যেমন জুনিয়রদের দিয়ে কাজ করান, এখনও একইভাবে ওপিডি বিল্ডিং থেকে অভয়া ক্লিনিকে রোগী পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে মারাত্মক অভিযোগ উঠছে। প্রিন্সিপাল বলেন, জুনিয়রদের কর্মবিরতি চলাকালীন সিনিয়রদের যে পরিমাণ দায়িত্ব নেওয়া উচিত ছিল, তাঁদের মধ্যে সেই দায়বদ্ধতা দেখছি না। জুনিয়রদের দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়া তাঁদের যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এখনও ওপিডি থেকে অনেক রোগীকে নীচে অভয়া ক্লিনিকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।  ফাইল চিত্র
7d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পেশা ও ব্যবসায় উন্নতির বড় কোনও সুযোগ প্রাপ্তি। ধর্মভাব শুভ। স্বাস্থ্য গড়বড় করতে পারে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৮৩ টাকা৮৪.৫৭ টাকা
পাউন্ড১০৯.৩৫ টাকা১১২.৯২ টাকা
ইউরো৯১.৯২ টাকা৯৫.১২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা