ব্ল্যাকবোর্ড

বিদ্যাধর ও জয়পুর শহর

রাজস্থানের জয়পুর। নামটা শুনলেই প্রথমে মাথায় আসে—‘পিঙ্ক সিটি অব ইন্ডিয়া’। গোলাপি শহরের পরতে পরতে ছড়িয়ে রয়েছে রাজা-মহারাজার ইতিহাস, রাজপুত সংস্কৃতি আর যন্তর-মন্তর, আমের দুর্গের মতো নজরকাড়া স্থাপত্য। আর এইসব কিছুতে রয়েছে এক বাঙালির ছোঁয়া। হ্যাঁ,দেশের অন্যতম সুন্দর এই শহর গড়ার নেপথ্যে রয়েছেন নৈহাটির বাসিন্দা বিদ্যাধর ভট্টাচার্য। তাঁর হাতেই তৈরি হয়েছিল ভারতের প্রথম পরিকল্পিত শহর জয়পুরের রূপরেখা। সম্প্রতি পালিত হল জয়পুরের প্রতিষ্ঠা দিবস।
১৬৯৩ সালে নৈহাটির এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম বিদ্যাধরের। পরে কর্মসূত্রে চলে আসেন রাজস্থানে। ১৭২৭ সালে আমেরের রাজদরবারে জুনিয়র অডিটরের চাকরি পান। কোষাগার সামলানোর পাশাপাশি বিদ্যাধরের স্থাপত্যজ্ঞান, প্রাচীন বাস্তুশাস্ত্রের প্রতি অনুরাগ তৎকালীন রাজা দ্বিতীয় সওয়াই জয় সিংয়ের নজর কাড়ে। এদিকে মুঘল আমলে সুজাউদ্দিন খাঁ সিংহাসনে বসার পর আমেরের উপর আক্রমণের পরিকল্পনা করেন। শহরটির উপর নজর পড়ে মারাঠাদেরও। বাইরের শত্রু ও রাজ্যের অন্দরে জলাভাব, দুর্ভিক্ষ সহ নানা সমস্যার জেরে রাজ্যপাট স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেন জয় সিং। সেই সূত্রেই নতুন রাজধানী সাজানোর ভার পড়ে বিদ্যাধরের কাঁধে। প্রায় চার বছরের প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠে সওয়াই জয়পুর। পরে সেই নাম বদলে হয় জয়পুর। প্রথমে মোট ন’টি ক্ষেত্রে ভাগ করা হয় পুরো শহরকে। দু’টি ক্ষেত্র রাখা হয় রাজাদের বাসস্থান ও প্রশাসনিক কার্যালয়ের জন্য এবং বাকি সাতটি বরাদ্দ করা হয় সাধারণ মানুষের জন্য। শহরের নিরাপত্তায় চারদিকে তৈরি হয় উঁচু পাঁচিল। প্রাচীন বাস্তুশাস্ত্রের গ্রিড মডেলের অনুকরণে তৈরি করা হয় জয়পুরের রাস্তাঘাট। শোনা যায়, পরে বিদ্যাধরকে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দিয়েছিলেন রাজা দ্বিতীয় সওয়াই জয় সিং।
3d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৬৭ টাকা৮৫.৪১ টাকা
পাউন্ড১০৪.৫৫ টাকা১০৮.২৭ টাকা
ইউরো৮৬.৮৯ টাকা৯০.২৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
23rd     November,   2024
দিন পঞ্জিকা