ব্ল্যাকবোর্ড

যাত্রা শুরু মেট্রোরেলের

সেপ্টেম্বর, ১৯১৯। তৎকালীন ব্রিটিশ জমানা। সিমলায় চলছে একটি জরুরি বৈঠক। সেই বৈঠকে গৃহীত হল একটি প্রস্তাবনা। দেশের তদানীন্তন রাজধানী শহর কলকাতার জন্য একটি র‌্যাপিড ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম প্রয়োজন। সেই সময় ওই প্রকল্প খরচের পরিমাণ নির্ধারিত হয়েছিল প্রায় ৩৬ কোটি টাকা। ফলে বাধা হয়ে দাঁড়াল অর্থাভাব। আর এগনো সম্ভব হল না তা নিয়ে।
দেশ স্বাধীন হয়েছে বছরদু’য়েক আগে। বাংলার ‘প্রিমিয়ার’ পদ দাপটের সঙ্গে সামলাচ্ছেন ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়। আবারও নাড়াচাড়া শুরু হল শহরের সেই র‌্যাপিড ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম নিয়ে। ১৯৪৯ সালে ফরাসি মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের এক প্রতিনিধি দলকে কলকাতায় আনার ব্যবস্থা করলেন ডাঃ রায়। তাঁরা এলেন, দেখলেন এবং ফিরে গিয়ে ইতিবাচক রিপোর্টও দিলেন। অর্থাৎ, কলকাতায় মেট্রো রেল সম্ভব।
১৯৬৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওই টিম কলকাতার জন্য একটি হাই-ক্যাপাসিটি র‌্যাপিড ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম চালুর সুপারিশ করল। বলা হল, দমদম থেকে টালিগঞ্জ—১৬.৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রো রেলপথের সূচনার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হোক। কিন্তু কীভাবে? জায়গা কোথায়? হকার উচ্ছেদ করতে হবে। বাস রুট, ট্রাম রুট ঘুরিয়ে দিতে হবে। ভবানীপুর এলাকার ব্যবসায়ীরা তো মামলাই ঠুকে বসলেন হাইকোর্টে। যদিও তা গ্রহণযোগ্য হল না। অবশেষে কাটল জট। কাজও শুরু হল। এর শিলান্যাস করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। উত্তাল সাতের দশক। জরুরি অবস্থা। তারই মধ্যে এগিয়ে চলল কাজ। ১৯৭৭ সালে বদলে গেল রাজ্যের সরকার। ক্ষমতায় এসে জ্যোতি বসুর যুক্তফ্রন্ট সরকারও অবশ্য বাধা কাটিয়ে এগিয়ে নিয়ে গেল কলকাতা মেট্রোর কাজ। ২৪ অক্টোবর, ১৯৮৪। ভবানীপুর (হালের নেতাজি ভবন) থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত প্রথম চলল মেট্রো রেল। সূচনা হল নতুন ইতিহাসের।
10d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৬৭ টাকা৮৫.৪১ টাকা
পাউন্ড১০৪.৫৫ টাকা১০৮.২৭ টাকা
ইউরো৮৬.৮৯ টাকা৯০.২৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
23rd     November,   2024
দিন পঞ্জিকা