হিমাচলের কিন্নরে

অয়ন গঙ্গোপাধ্যায়: এই গ্রীষ্মে চলুন যাই হিমাচল প্রদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্বর্গরাজ্য কিন্নর জেলায়। কিন্নরের বিউটি স্পট সাংলা উপত্যকা দিয়েই এই ভ্রমণপর্ব শুরু করুন। তাই সিমলা থেকে গাড়ি নিয়ে পাড়ি দিন ২৪০ কিলোমিটার দূরের সাংলার পথে। পথ গিয়েছে কুফরি, নারকান্ডা, রামপুর, জিওরি, কারছাম হয়ে সাংলায়। সবুজ পাহাড়ি প্রকৃতির কোলে ২ হাজার ৬৮০ মিটার উচ্চতায় ছড়িয়ে আছে অপরূপ জনপদ। উপত্যকার বুক ধুইয়ে বয়ে   চলেছে বাসপা নদী। এই নদী কারছামে গিয়ে মিশেছে শতদ্রুর সঙ্গে। কিন্নর   জেলার সব পর্যটন কেন্দ্রই শীতে বরফের চাদরের তলায় মুখ লুকোয়। সাংলা উপত্যকা জুড়ে ছড়িয়ে আছে প্রচুর আপেল বাগান।
সাংলায় পাহাড়ের মাথায় রয়েছে প্রাচীন কামরু দুর্গ। পাকদণ্ডী পথ বেয়ে হেঁটে সেখানে পৌঁছতে হবে। দুর্গের মধ্যে রয়েছে কামাখ্যাদেবী মন্দির ও সংগ্রহশালা। দুর্গ যেন সাংলা উপত্যাকা দর্শনের ভিউপয়েন্ট। সাংলার অন্যান্য দর্শনীয় স্থান— বুদ্ধ মন্দির, বদ্রীনাথ মন্দির, বেরিনাগ মন্দির। পায়ে পায়ে দেখে নিন ছবির মতো সুন্দর বাসপা নদীর তীরের বারসেরি গ্রাম। সাংলায় থাকার জন্য অনেক হোটেল, সুইস ক্যাম্প রয়েছে।
সাংলা থেকে পরবর্তী গন্তব্য ভারত-চীন সীমান্ত গ্রাম ছিটকুল। দূরত্ব ২৪ কিলোমিটার। এই যাত্রাপথের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থেকে চোখ ফেরানো দায়। কিছুটা দুর্গম পাহাড়ি পথ। সাংলা থেকে দিনে দিনে ঘুরে আসা গেলেও ছিটকুলে একরাত কাটানো উপরি পাওনা। বাসপা নদী সাংলা থেকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবে এই নিরালা সীমান্ত গ্রামে। রকছাম, মাসতারাং গ্রাম পেরিয়ে পৌঁছবেন ৩ হাজার ৪৫০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত ছিটকুল গ্রামে। চারপাশে হিমশৃঙ্গের সারি। উপত্যকার গা দিয়ে বয়ে চলেছে বাসপা নদী। পাহাড়ের গায়ে কিন্নরী স্থাপত্যের গ্রাম্য ঘরবাড়ি। ছোট গ্রাম। গ্রামে রয়েছে কাঠের কারুকাজ করা মাতাদেবী মন্দির, প্রাচীন শিবমন্দির। গ্রামের আশপাশে হাতে গোনা কয়েকটি থাকার হোটেল রয়েছে। 
৫০ কিলোমিটার দূরে বর্ডার। তবে সেদিকে যাওয়ার অনুমতি মিলবে না। ভালো লাগবে অচেনা গ্রাম্য পথে ঘুরতে। গ্রামের সরল মানুষজন কৃষিকাজ আর পশুপালনেই দিন কাটিয়ে দেন।
সাংলা থেকে এবার ফেরার পালা। গন্তব্য কল্পা। সেখানে আরও কাছে হিমশৃঙ্গ। দেখা যায় কিন্নর কৈলাস হিমশৃঙ্গকে। ছিটকুল থেকে সাংলা হয়েই কল্পা যেতে হবে। সাংলা থেকে কল্পা ৫২ কিলোমিটার। কিন্নরের পুরনো জেলা সদর কল্পা গড়ে উঠেছে পাহাড়ের ঢালে। চারপাশে আপেল বাগিচার ছড়াছড়ি। এখান থেকে দৃশ্যমান একগুচ্ছ হিমশৃঙ্গ। কল্পার চিনি গ্রামে রয়েছে বৌদ্ধ মনাস্ট্রি আর নারায়ণ-নাগিনী মন্দির। কল্পার ৬ কিলোমিটার দূরে রয়েছে হেরিটেজ গ্রাম রোখি। যাত্রাপথে দেখবেন ইকো পয়েন্ট। ২ হাজার ৯৬০ মিটার উচ্চতায় কল্পা যেন এক স্বপ্নপুরী।
কল্পার পাহাড়ি প্রকৃতির কোলে দিন দুয়েক কাটাতে মন চাইবে। কল্পা থেকে এবার চলুন ১১০ কিলোমিটার দূরের সারাহান। ২ হাজার ১৬৫ মিটার উচ্চতায় এই পাহাড়ি তীর্থক্ষেত্রে প্রধান দ্রষ্টব্য বিখ্যাত ভীমাকালী মন্দির। বুশাহার রাজারা প্যাগোডাকৃতির এই মন্দিরটির নির্মাতা। মন্দিরের অদূরে শান্তিকুঞ্জ প্রাসাদ। পাহাড়ের গায়ে রয়েছে পাখিরালয়। এখানে একরাত কাটান। সারাহান থেকেও হিমশৃঙ্গ দেখা যায়। রয়েছে আপেল বাগান। সারাহান থেকে সিমলা (১৮০ কিলোমিটার) ফেরার পথে রামপুরে থেমে দেখে নিন পদম রাজপ্রাসাদ। কিন্নর বেড়িয়ে ফিরে আসুন সিমলায়। 
ছবি: সুবীর কাঞ্জিলাল
41Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

উপস্থিত বুদ্ধি ও প্রখর অনুমান ক্ষমতার গুণে কার্যোদ্ধার। ব্যবসা, বিদ্যা, দাম্পত্য ক্ষেত্রগুলি শুভ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১৩ টাকা৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড১০৮.৩২ টাকা১১১.৮৭ টাকা
ইউরো৯১.২৫ টাকা৯৪.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
5th     September,   2024
দিন পঞ্জিকা