শিল্প -বাণিজ্য

সোনার চড়া দরেও ভাটা নেই কেনাকাটায়, নিশ্চিত রিটার্নের আশায় চাঙ্গা ধনতেরস

বাপ্পাদিত্য রায়চৌধুরী, কলকাতা: সোনার দাম ঊর্ধ্বমুখী। তবু এবারের ধনতেরসে সেসবের তোয়াক্কা করতে চাইছেন না ক্রেতারা। প্রাক ধনতেরস পর্বে যেভাবে কেনাকাটা শুরু হয়েছে, সেই প্রবণতা দেখে এমনটাই দাবি দোকানিদের। শুধু বড় শহর নয়, ছোট শহরেও এবার ভালো বিক্রিবাটার আশা তুঙ্গে। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সোনার চাহিদার অন্যতম কারণ এর দীর্ঘমেয়াদী ‘রিটার্ন’। গত ১০ বছর আগে সোনার দর যা ছিল, এখন তা আড়াই গুণেরও বেশি। এমনকী, যদি বিগত কয়েক মাসের দাম বৃদ্ধির পরিসংখ্যান তো রীতিমতো চমকে যাওয়ার মতো! গত জুলাই মাসের শেষে কলকাতায় ১০ গ্রাম সোনার দাম যেখানে ৬৯ হাজারের কাছাকাছি ছিল, তা এখন ৭৯ হাজার টাকা ছুঁইছুঁই। অর্থাৎ তিন মাসে হলুদ ধাতুর দর বেড়েছে প্রায় ১০ হাজার টাকা।
সেনকো গোল্ড লিমিটেডের এমডি ও সিইও শুভঙ্কর সেনের কথায়, ‘খুব বেশি পিছনেও তাকাতে হবে না। যদি করোনার ঠিক আগের সময়কে ধরা যায়, সেই সময় সোনার দর ছিল ১০ গ্রাম পিছু ৪০ হাজার টাকার আশপাশে। এখন তা ৮০ হাজার ছুঁইছুঁই। অর্থাৎ এই চার বছরে সোনার দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ফলে যাঁরা গয়না কিনছেন, তাঁরা এটুকু ভরসা পাচ্ছেন যে ভবিষ্যতে আরও বেশি রিটার্ন পাবেন।’ একই যুক্তি স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি সমর দে’রও। তিনি বলেন, ‘এখন বহু ক্রেতাই পুরনো সোনার গয়না নিয়ে আসেন নতুন গয়না গড়াবেন বলে। তাঁরা দেখছেন, এককালে যা অল্প দামে কিনেছিলেন, তার মূল্য এখন অনেক। অর্থাৎ তাঁরা যে মোটা রিটার্ন পাচ্ছেন, তা বোধগম্য হচ্ছে। এই মানসিকতা তাঁদের নতুন করে সোনা কিনতে উৎসাহিত করছে।’ বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগরচন্দ্র পোদ্দারের দাবি, যাঁদের বাজেট কম, তাঁরা ঝুঁকছেন হাল্কা সোনার দিকে। কম ক্যারেটের চাহিদা তাই বেশি। 
দাম বৃদ্ধি সত্ত্বেও সোনার বাজার যে বাড়ছে, তা বলছে আন্তর্জাতিক ধাতু রিসার্চ সংস্থা মেটাল ফোকাস। তাদের বক্তব্য, বড় শহরগুলিতে সোনার বাজার স্থিতিশীল। অর্থাৎ, সেখানে আচমকা দারুণ বিক্রিবাটা না হলেও, বাজার নীচে নামবে না। আবার গ্রামীণ বড় জুয়েলার সংস্থাগুলি তুলনামূলক ছোট শহরে নতুন শোরুম খুলছে। চলতি শোরুমগুলিকে আরও বড় পরিসরে নিয়ে আসার প্রবণতাও বাড়ছে। রিসার্চ সংস্থাটির দাবি, চলতি আর্থিক বছর, অর্থাৎ ২০২৪-২৫ সালে অন্তত ১০ শতাংশ শোরুম বাড়বে ছোট শহরগুলিতে। ওজনের নিরিখে সোনা বিক্রি বাড়বে গড়ে ১৩ শতাংশ। বিক্রিবাটায় সদর্থক ভূমিকা নেবে রিটেল চেন সংস্থাগুলি। ২০১৫ সালে ওই সংস্থাগুলি খুচরো সোনা বাজারের ৩০ শতাংশ দখল করে রেখেছিল। ২০২৩ সালে তা বেড়ে ৪০ শতাংশে পৌঁছে যায়। রিসার্চ মেটাল ফোকাসের আশা, চলতি আর্থিক বছর শেষে সার্বিকভাবে স্বর্ণবিপণিগুলিতে বিক্রির হার ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়তে পারে।
5d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

লাগাতার প্রচেষ্টার পর কর্মে অগ্রগতি। বিশেষ কোনও ক্ষেত্র থেকে বড় বরাত প্রাপ্তির যোগ আছে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৬১ টাকা৮৪.৭০ টাকা
পাউন্ড১০৭.৫২ টাকা১১০.৪৫ টাকা
ইউরো৮৯.৯৯ টাকা৯২.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
1st     November,   2024
দিন পঞ্জিকা