বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা

শীতলা দেবীর স্নানযাত্রায় থিকথিকে  ভিড়, দণ্ডি কাটলেন কয়েক হাজার

নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: শিকলে বাঁধা ছোট মা, হাজার হাজার ভক্তের দণ্ডি কাটা, ষোল আনা পুজো, বিপুল জনস্রোত। মাঘী পূর্ণিমায় শুধু উত্তর হাওড়া নয়, শীতলা মায়ের স্নানযাত্রাকে কেন্দ্র করে গোটা জেলা উৎসবে মেতে ওঠে। সঙ্গে রয়েছে প্রায় শত বছরের অবাধ ভক্তির নির্যাস ও ইতিহাস। মঙ্গলবার এই উৎসব উপলক্ষ্যে বিকেল থেকেই সালকিয়া, বেলগাছিয়া, ঘুসুড়ি সহ উত্তর হাওড়ার রাস্তায় তিল ধারণের জায়গা ছিল না। মাধ্যমিক পরীক্ষার দ্বিতীয় দিন হওয়ায় প্রশাসনিক কড়াকড়ি ছিল অনেকটাই। নির্বিঘ্নে পরীক্ষা পর্ব মিটতেই শীতলা মায়ের স্নানযাত্রায় অংশ নিতে ভিড় করেন কয়েক লক্ষ পুণ্যার্থী। 
সালকিয়ার সব থেকে প্রসিদ্ধ বড় শীতলা মায়ের মন্দির। লৌকিক বিশ্বাস অনুযায়ী, এখানকার শীতলা দেবীরা সাত বোন। তাঁদের মধ্যে হরগঞ্জ বাজারের পাশে অরবিন্দ রোড এলাকায় প্রতিষ্ঠিত মন্দিরের শীতলা দেবী হলেন বড় বোন। এছাড়াও রয়েছেন মেজ, সেজ ও ছোট শীতলা মা। রীতি অনুযায়ী, প্রতি বছর মাঘী পূর্ণিমার এই দিনে প্রত্যেক দেবীকে মন্দির থেকে বের করে শোভাযাত্রা সহকারে নিয়ে যাওয়া হয় গঙ্গাস্নানের জন্য। সালকিয়ার ক্ষেত্রমোহন মিত্র লেন, মুরগিহাটা, কালীতলা, সীতানাথ বোস লেন, জিটি রোড, অরবিন্দ রোড হয়ে বাঁধাঘাটের দিকে যায় বিশাল শোভাযাত্রা। পা মেলান কয়েক লক্ষ ভক্ত। তবে এই স্নানযাত্রায় ব্যতিক্রম কেবল ছোট মা। কথিত আছে, ছোট শীতলা মাকে মন্দির থেকে বাইরে বের করে নিয়ে গেলেই তিনি নাকি হারিয়ে যান। একবার মা নিজের বোনদের সঙ্গে স্নান করতে গিয়েছিলেন। আচমকা গঙ্গা গর্ভে হারিয়ে যান তিনি। দেবীকে অনেক অনুরোধের পর ফেরানো গিয়েছিল। সেজন্য ক্ষেত্রমোহন মিত্র লেনের মন্দিরে আজও দেবীকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। মন্দিরের ঘট গঙ্গায় নিয়ে এসে স্নান করানো হয়। প্রথা মেনে স্নানযাত্রার আগে প্রত্যেক বোন ছোট মায়ের মন্দিরে এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করে যান। হাওড়া বাদেও এই বিশাল স্নানযাত্রায় অংশ নেয় হুগলির বিভিন্ন এলাকার শীতলা মায়েরাও। শোভাযাত্রায় ব্যান্ডপার্টি, সং, আদিবাসী নৃত্য আজও ধরে রেখেছে উৎসবের পুরনো ঐতিহ্যকে।
ভক্তদের বিশ্বাস, বসন্তের বিভিন্ন রোগ থেকে তাঁদের শত শত বছর ধরে রক্ষা করে আসছেন বড় মা। মায়ের স্নান শেষে তাঁকে মন্দিরে নিয়ে আসার পর রাতভর চলে পুজো। এরপর ভোরের আলো ফুটতেই ‘ষোলো আনার পুজো’ হওয়ার পর ব্রত সম্পূর্ণ হয়। উৎসবের এই দিনে উপবাসীরা নতুন জামাকাপড় ও গামছা পরে মায়েদের বাঁশের পালকিতে কাঁধ দেন। মনষ্কামনা পূরণ করতে বাঁধাঘাট থেকে বড়মার মন্দির পর্যন্ত কয়েক হাজার ভক্তকে দণ্ডী কাটতে দেখা গেল এদিন। অন্যান্য বছর দুপুর থেকেই স্নানযাত্রার পর্ব শুরু হয়। তবে এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা থাকার কারণে দুপুরের পর তা শুরু করা হয়েছিল। হাওড়া সিটি পুলিসের তরফে বিভিন্ন রাস্তায় বাহিনী মোতায়েন করে, এমনকী ড্রোন উড়িয়ে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হয়।-নিজস্ব চিত্র
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

নিজের বা পরিবারের কারও আকস্মিক রোগবৃদ্ধিতে বিচলিত হতে পারেন। কাজকর্ম কমবেশি এগবে। মানসিক  বিক্ষিপ্ততা।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৫.৯৩ টাকা৮৭.৬৭ টাকা
পাউন্ড১০৫.৪১ টাকা১০৯.১৩ টাকা
ইউরো৮৭.৭৪ টাকা৯১.১২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা