কলকাতা

লাল ফিতের ফাঁসে আটকে প্রকল্প, শহরে আবর্জনা সাফাইয়ের ভবিষ্যৎ ঘিরে সংশয়

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ধাপার মতো জঞ্জালের পাহাড় নয়, পরিবেশবান্ধব আধুনিক বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রকল্প গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। তার জন্য বাসন্তী হাইওয়ের ধারে ৭৩ হেক্টর জমি চিহ্নিতও করা হয়েছে। জমিটি পুরসভার মালিকানাধীন হলেও সেখানে চাষাবাদ হয়। রয়েছে মাছের ভেড়িও। ওই জমির উপর যাঁদের জীবন-জীবিকা নির্ভর করে, তাঁদের তাই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এর জন্য প্রয়োজন ৫৫ কোটি টাকা। কাদের টাকা দেওয়া হবে, সেই তালিকাও তৈরি। কিন্তু পুরসভা সূত্রে খবর, গত এক বছরের বেশি সময় ধরে প্রশাসনিক দীর্ঘসূত্রিতায় থমকে রয়েছে গোটা প্রক্রিয়া। ফাইল পড়ে রয়েছে অর্থদপ্তরে। ক্ষতিপূরণের অর্থ বরাদ্দ না হাওয়ায় পুরসভার প্রস্তাবিত প্রকল্পের কাজও শুরু হয়নি। অথচ, জঞ্জালের ‘বোঝা’ আর বইতে পারছে না ধাপা। সেখানে এখনই প্রায় ৮৫ লক্ষ মেট্রিক টন অতিরিক্ত আবর্জনা রয়েছে। প্রতিদিন উঁচু হচ্ছে জঞ্জালের পাহাড়। এই অবস্থায় কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, পূর্ব কলকাতা জলাভূমি আইনের নিয়ম অনুসারে ২০২৫ সালের পর ধাপা ও সংলগ্ন এলকায় নতুন করে জঞ্জাল ফেলার জন্য জমি কেনা যাবে না। এমনকী আগের জমিতে জঞ্জাল ফেলার ক্ষেত্রেও নানা বিধিনিষেধ রয়েছে। তাই সময় থাকতে থাকতে বিকল্প ব্যবস্থা না করা গেলে শহরের জঞ্জাল সাফাই থেকে তার প্রক্রিয়াকরণ—গোটা ব্যবস্থাপনা নিয়ে সংশয় তৈরি হবে। 
কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, পুরসভার ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডে বাসন্তী হাইওয়ের ধারে খানাবেড়িয়া এবং দুর্গাপুর গ্রামে রয়েছে চিহ্নিত জমিটি। মোট ৮৮৩ জন কৃষক ও মৎস্যজীবীকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এক পুরকর্তা বলেন, ‘অর্থদপ্তর এই ফাইলের প্রেক্ষিতে নানা ব্যাখ্যা চেয়েছিল। সব উত্তর আমরা দিয়েছি। কিন্তু বছর ঘুরলেও বরাদ্দ আসেনি।’ ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত ‘ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ল্যান্ডফিল্ড’ আবশ্যিক। পরিবেশবিধি মেনে ধাপায় বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের একাধিক ইউনিটও তৈরি হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, বর্তমানে ধাপায় জঞ্জাল ব্যবস্থাপনার জন্য ৬০ একর জমি রয়েছে। বেশ কয়েক বছর আগে ২০ একর জমির আবর্জনা ‘বায়ো মাইনিং’ করে খালি করা হয়। সেখানে সবরকম জঞ্জাল ফেলা যাবে না। একমাত্র যে আবর্জনা মাটিতে বা ভূগর্ভস্থ জলে মিশলে পরিবেশের ক্ষতি হবে না কিংবা যা থেকে কোনও গ্যাস বেরবে না, এমন জঞ্জালই ফেলা যেতে পারে। রয়েছে আরও কিছু শর্ত। পাশাপাশি, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে প্রায় ৪০ লক্ষ মেট্রিক টন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের দায়িত্ব একটি সংস্থাকে দেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত মাত্র ১৫ লক্ষ মেট্রিক টন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ হয়েছে। ইতিমধ্যে ধাপায় জঞ্জালের চাপ আরও বেড়েছে। কলকাতা ছাড়াও বিধাননগর, এনকেডিএ, নবদিগন্ত ও পানিহাটির আবর্জনা নিত্য পড়ছে সেখানে। তাই প্রস্তাবিত প্রকল্পের বাস্তবায়ন জরুরি হয়ে পড়েছে। পুরসভার পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই ৭৩ হেক্টর জমি পাওয়া গেলে সেখানে সার কারখানা, বিদ্যুৎ উৎপাদন, বায়ো সিএনজি প্লান্ট তৈরি হবে। কিন্তু জমি না মেলায় সবটা থমকে। আধিকারিকরা জানান, ২০২৫-এর মাধ্যে ওই জমি হাতে না পেলে বিপাকে পড়বে পুরসভা। 
2d ago
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.৯৬ টাকা৮৬.৭০ টাকা
পাউন্ড১০৪.৫৩ টাকা১০৮.২৪ টাকা
ইউরো৮৬.৫১ টাকা৮৯.৮৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা