কলকাতা

বাড়িতে বসে ভোট দিয়ে আনন্দ নেই, ৯০ ছুঁয়েও বুথমুখী প্রবীণরা

শ্যামলেন্দু গোস্বামী, হাড়োয়া: বয়স সেঞ্চুরি ছুঁই ছুঁই। শরীরে বার্ধক্যের ছাপ। হাঁটা চলার ক্ষমতা নেই। সম্বল লাঠি। দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ। তবুও গণতন্ত্রের উৎসবে শামিল হতে এসেছেন ওঁরা। সকাল সকাল চা খেয়ে নাতি অথবা পরিবারের অন্য সদস্যদের সাহায্যে ভোট দিতে এলেন হাড়োয়ার ছবেদা, রহিমা বিবি, প্রতিমা মাঝিরা। বিধানসভা এলাকায় ১ হাজার ২৩৯ জন প্রবীণ ভোটারের ভোটদানের কথা ছিল বাড়িতে বসেই। তাঁতে রাজি হননি অনেকেই। এত বছরের অভ্যেস বুথে গিয়ে ভোটে দেওয়া। সেই রোমাঞ্চের আকর্ষণে এবারও তাঁরা বুথমুখী। 
পাকদহের ছবেদা বিবি (৯০) ভোট দিতে আসার জন্য কাকভোরে উঠে পড়েন। শাড়ি পরে তৈরি হয়ে যান। কিন্তু বাড়ি থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরের বুথে হেঁটে আসার ক্ষমতা ছিল না তাঁর। কোমরের সমস্যা বেশ কয়েক বছর ধরে। ভ্যানে চেপে বড় নাতি জুলফিকার আলির সঙ্গে বুথের কাছে আসেন তিনি। তারপর ঠাকুমাকে পাঁজাকোলা করে তুলে নিয়ে বুথে আসেন জুলফিকার। হাতের আঙুলে ছাপ দিয়ে কোলে তুলে নাতিই পৌঁছে দেন ইভিএমের সামনে। অশক্ত শরীর নিয়ে ছবেদা অবশ্য নিজেই নিজের ভোটটা দিয়েছেন। বাড়ি ফেরার পথে ছবেদা বললেন, গণতন্ত্রের উৎসব, না এলে হয়! প্রতিবছর এইভাবে ভোট দিতে আসি। 
শাসনের রহিমা বিবির বয়স ৮৯। বাড়িতে হামাগুড়ি দিয়েই টুকটাক কাজকর্ম করেন। কিন্তু বছর চারেক ধরে একেবারেই জবুথবু অবস্থা। শরীরের সঙ্গে মনটাও ভেঙে গিয়েছে তাঁর। কিন্তু ভোটের উৎসবে শামিল হতে বরাবরই আগ্রহী। গত পঞ্চায়েত থেকে লোকসভা এবং বিধানসভাতেও ভোট দিতে গিয়েছিলেন ছোট নাতির কোলে চেপে। এবারও তাই করলেন। বাড়ি থেকে ১ কিলোমিটারের মধ্যেই বুথ। নাতির টোটে চেপে তিনি এলেন ভোট দিতে। ফেরার সময় বললেন, হাত-পায়ে জোর নেই। হাঁটতে পারি না। চোখে কম দেখি। তা সত্ত্বেও প্রতিবার নিজেই ভোট দিয়েছি। এদিনও দিলাম নাতির টোটোতে চেপে। নাতি সিরাজ আলি বললেন, ভোট দেওয়ার জন্যই ঠাকুমা সকালে উঠেই তাগাদা শুরু করেছিল। ইভিএমের সামনে ওঁকে ধরে দাঁড়িয়েছিলাম। নিজের ভোটটা নিজেই দিয়েছেন ঠাকুমা।
এদিকে, কার্তিকপুরের প্রতিমা মাঝির বয়স ৯২। কয়েকমাস আগে তাঁর শরীর অসুস্থ হয়েছিল। এখনও তাঁর চিকিৎসা ও ওষুধ চলছে। ভোট বলে কথা! তোয়াক্কা না করেই ইঞ্জিন ভ্যানে করে তিনি এলেন ভোটকেন্দ্রে। ছোট ছেলে দীপকের কোলে চেপে সোজা বুথে। জমা দিলেন কাগজ। ভোট দিয়ে বেরিয়ে আঙুলের কালো দাগ দেখিয়ে বললেন, আমি যে ভারতীয় তার প্রমাণ এই কালি। গর্ব হয় এই বয়সে আমি ভোট দিতে পারলাম। আমার বয়সে অনেকেই বাড়িতে বসে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু বাড়িতে ভোট দিলে সেই আনন্দ কোথায়? বৃদ্ধার চোখে তৃপ্তি, মুখের হাসি চওড়া।
15h 15m ago
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৫৮ টাকা৮৫.৩২ টাকা
পাউন্ড১০৫.৮০ টাকা১০৯.৫৪ টাকা
ইউরো৮৮.০৩ টাকা৯১.৪০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা