কলকাতা

বাড়ছে তীব্র গরম, ঠান্ডা, বন্যার প্রকোপ, পাল্লা দিচ্ছে মৃত্যুও, বিষ-গ্যাসে ‘চরম’ আবহাওয়া ভারতের

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দেশে ‘চরম আবহাওয়া’ যুক্ত দিনের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চরম আবহাওয়ার কারণে মৃতের সংখ্যা এবং অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও। গোটা দেশের সঙ্গে এই প্রবণতা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। সম্প্রতি প্রকাশিত সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের (সিএসই) একটি রিপোর্টে বিষয়টি তথ্য-পরিসংখ্যানসহকারে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। তাতে মোদ্দা বক্তব্য, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণেই এটা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বিষাক্ত গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমন বৃদ্ধির কারণে বিশ্বের উষ্ণতা বাড়ছে। এতে জলবায়ুর চরিত্রগত পরিবর্তন ঘটছে। বাড়ছে চরম আবহাওয়া যুক্ত পরিস্থিতির সংখ্যা। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানান, আবহাওয়া দপ্তরও এই সংক্রান্ত অনেক সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতেও দেখা গিয়েছে, ভারীবৃষ্টি, ঝড়, ঘূর্ণিঝড়, বজ্রপাত, তাপপ্রবাহ, শৈত্যপ্রবাহ, ধস-নামা—আবহাওয়ার এইসকল চরম পরিস্থিতি আগের তুলনায় এখন অনেক বেশিই হচ্ছে।  
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি এজেন্সি এবং অন্যান্য সূত্র থেকে তথ্য-পরিসংখ্যান নিয়ে সিএসই বিস্তারিত রিপোর্টটি তৈরি করেছে। এতে বলা হয়েছে, গত জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর, মোট ২৭৪ দিনের মধ্যে ২৫৫ দিন (৯৩ শতাংশ) দেশের কোথাও-না-কোথাও চরম আবহাওয়ার দিন গিয়েছে। অর্থাৎ ঘটে গিয়েছে কোনও-না-কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এতে মোট ৩,২৩৮ জনের মৃত্যুও হয়েছে। গত দু’বছরে একই সময়ের মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের দিন ও মৃতের সংখ্যা এবার অনেকটাই বেড়েছে। সেই তুলনায় চরম আবহাওয়া পেরিয়েছে ২০২২ সাল ২৪১ দিনের এবং ২০২৩ সাল ২৩৫ দিনের। চরম আবহাওয়ার কারণে দেশে ২০২২ সালে ২৭৫৫ জন এবং ২০২৩ সালে ২৯২৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ফসলের ক্ষতিরও বহর। ২০২২ সালে দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ১০ লক্ষ ৮৪ হাজার হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়। এবছর তা বেড়ে হয়েছে ৩০ লক্ষ হেক্টর। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে কৃষিজমির পরিমাণ প্রায় ২ লক্ষ হেক্টর। 
পশ্চিমবঙ্গে, গত জানুয়ারি-সেপ্টেম্বরের মধ্যে চরম আবহাওয়ার কারণে মৃত্যু হয়েছে মোট ৬৪ জনের। ২০২৩ সালে পশ্চিমবঙ্গে চরম আবহাওয়া পেরিয়েছে ৮৬ দিন। রাজ্যে এবছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এরকম দিনের সংখ্যা গিয়েছে ৮৩। পশ্চিমবঙ্গে এবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃতদের মধ্যে ৪৮ জনের মৃত্যুর কারণ ঝড় ও বজ্রপাত। তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বন্যা, ভারীবৃষ্টি, ধস প্রভৃতির কারণে। ঘূর্ণিঝড়ে মৃতের সংখ্যা ১৩। 
গোটা দেশের নিরিখে এবছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবশ্য সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ভারীবৃষ্টি, বন্যা ও ধসের কারণে। এই তিনটি কারণে মৃতের মোট সংখ্যা ছিল ১,৯১০। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে কেরলে (৫৩৪)। বজ্রপাত ও ঝড়ের জন্য দেশে মৃত্যু হয়েছে ১,০২১ জনের। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ প্রভৃতি রাজ্যে শতাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে ঝড় ও বজ্রপাতে। সেখানে ঘূর্ণিঝড়ের জন্য গোটা দেশে মারা গিয়েছেন মোট ৫৭ জন। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট সাতটি ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। ঘূর্ণিঝড়ের সবচেয়ে মৃত্যু হয়েছে মিজোরামে (৩০)। আবহাওয়া দপ্তরের কর্তাদের দাবি, ঘূর্ণিঝড়ের সঠিক পূর্বাভাস দেওয়ার বিশেষ ব্যবস্থা নিতে পারার কারণে মৃত্যু অনেকটাই কমানো গিয়েছে। 
2d ago
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

উত্তম বিদ্যালাভের যোগ আছে। কাজকর্মে উন্নতি ও কাজে আনন্দলাভ। অর্থাগমের উত্তম যোগ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৫৭ টাকা৮৫.৩১ টাকা
পাউন্ড১০৬.৬৭ টাকা১১০.৪৩ টাকা
ইউরো৮৮.২৪ টাকা৯১.৬২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা