বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা

নামছে ভূগর্ভের জলস্তর, সরস্বতী নদী 
বাঁচলে বাঁচবে হাওড়ার বিস্তীর্ণ জনপদ

দীপন ঘোষাল, হাওড়া: সচেতনতার অভাবে মৃত্যুর দুয়ারে দাঁড়িয়ে এক রুগ্ন জলধারা। লাগাতার দখল, বেআইনি নির্মাণ, আবর্জনার স্তূপ— কার্যত ভরাট করে ফেলেছে সরস্বতী নদীকে। অষ্টম শতাব্দীর শেষভাগ থেকেই পলি জমতে শুরু করে সরস্বতীর খাতে। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে কমতে থাকে স্রোত। নদী বললে এখন ‘লজ্জা’ পায় সরস্বতী। মজে যাওয়া খালেরও বোধহয় জল ধারণ ক্ষমতা এর থেকে বেশি। হুগলি, হাওড়া ও অবিভক্ত মেদিনীপুরের বড় অংশ জুড়ে এক সময় রাজ করত এই নদী। ভাগীরথীর এই শাখানদী ছিল নৌ-বাণিজ্যের অন্যতম  পথ।
সরস্বতী নদীর জলস্তর শুকিয়ে যাওয়ায় বিপদের মুখে দু’পাড়ের জনপদ। নদীর দু’ধারে হয় চাষের জমি, না হয় কারখানার সারি। কৃষি ও শিল্পের জন্য দরকার প্রচুর জল। নদীতে স্রোত থাকলে সেই জলই কাজে লাগত উৎপাদনে। জলের অভাব মেটাতে তাই বিভিন্ন শিল্প সংস্থা ও কৃষকরা গভীর নলকূপের জলকেই উৎপাদনের মূল উপাদান করে ফেলেছে। ফলে বছরের পর বছর এভাবে ভূগর্ভের জল তোলার ফলে কমতে শুরু করেছে মাটির নীচের জলস্তর। যা ভবিষ্যতে বড় রকমের সমস্যায় ফেলবে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির জনপদকে। ফিকে হতে পারে সবুজ অঞ্চল। এখনই সরস্বতী নদীকে বাঁচাতে না পারলে অনিবার্যভাবেই শুকিয়ে যাবে গ্রাম-শহর। সে কথা মাথায় রেখেই সরস্বতী নদীকে বাঁচাতে উঠেপ঩ড়ে লেগেছে প্রশাসন। এই নদীর খাত দিয়ে যাতে ফের জল প্রবাহিত হতে পারে, তারই চেষ্টা চলছে। 
মৃতপ্রায় এই নদীকে কীভাবে পুনরুজ্জীবিত করা যায়, তা নিয়ে সম্প্রতি কয়েক দফা বৈঠক করেছে প্রশাসন। গত সোমবার হুগলি নদী ও সরস্বতীর সংযোগস্থল অর্থাৎ সাঁকরাইলের যদুনাথ হাতি শ্মশানঘাট এলাকা পরিদর্শন করেছেন সেচদপ্তর ও হাওড়া জেলা প্রশাসনের কর্তারা। এই জায়গায় নদী প্রায় ১৪৪ ফুট চওড়া। কিন্তু সমস্যা তৈরি করেছে জমাট পলি, আবর্জনার স্তূপ আর দখলদারদের বেআইনি নির্মাণ। ফলে জীর্ণ হয়েছে নদী। মনসামঙ্গল কাব্যে কথিত এই নদীর হাওড়ার অংশ সংস্কার করতেই খরচ হবে আনুমানিক ২০০ কোটি টাকা। ডিপিআর জমা পড়লে সেই টাকা পাওয়ার আশায় রয়েছেন সেচকর্তারা। প্রশাসনিক কর্তারা বলছেন, ডোমজুড়ে ও সাঁকরাইল ব্লকে প্রচুর কারখানা ও চাষের জমির কারণে নিত্যদিন তোলা হচ্ছে ভূগর্ভস্থ জল। সেইসঙ্গে রয়েছে গৃহস্থের ব্যবহারের জল। ফলে ভূগর্ভের জল ‘রিচার্জ’ হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না।
হুগলির ত্রিবেণী থেকে হাওড়ার সাঁকরাইল পর্যন্ত নদীর যাত্রাপথে এখন আতসকাচ দিয়ে খুঁজতে হয় জল। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, সাঁকরাইল ও ডোমজুড় ব্লকে প্রায় আট লক্ষ মানুষের বাস। এখানে জলের উৎস বলতে একমাত্র বৃষ্টির জল। সরস্বতী নদী আজ জীবিত থাকলে ভূগর্ভের জলস্তর কখনই নামত না। সাঁকরাইলের বিডিও নাজিরুদ্দিন সরকার বলেন, যে পরিমাণ জল তোলা হচ্ছে, তা রিচার্জ হচ্ছে না। জলস্তর যাতে আর না নামে, সেকারণেই সরস্বতী নদীকে বাঁচানোর উদ্যোগ। নদী বাঁচলে শস্য-শ্যামলা থাকবে এলাকাগুলি। সেচদপ্তরের এক শীর্ষকর্তা বলেন, প্রাকৃতিকভাবে কিছু নদী গতিপথ বদলায়। আমরাও বিভিন্ন জায়গায় খাল কেটে জল নিয়ে যাই ভূগর্ভস্থ জলকে বাঁচানোর জন্য। সরস্বতী নদী ফের স্রোতস্বিনী হয়ে উঠলে বেঁচে যাবে ওই অঞ্চলের জনপদ।
বেহাল নদী। -নিজস্ব চিত্র
25Months ago
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৫.৮৮ টাকা৮৭.৬২ টাকা
পাউন্ড১০৬.০৭ টাকা১০৯.৮১ টাকা
ইউরো৮৮.১৬ টাকা৯১.৫৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা