শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
প্রত্যাশার চাপ
মনোজ কোনও ছবি বা সিরিজে থাকা মানেই দর্শকের একরাশ প্রত্যাশা থাকে। এই প্রত্যাশা মনোজকে কি চাপে ফেলে? অভিনেতার স্বতঃস্ফূর্ত জবাব, ‘দর্শকের প্রত্যাশার থেকে বেশি আমি নিজের কাজে মনোনিবেশ করি। ছবি বা সিরিজ রিলিজ হওয়ার পর তা দর্শকের হাতে চলে যায়। তার উপর তখন আমাদের নিয়ন্ত্রণ আর থাকে না।’
স্ট্রাগল চলছে
বিহারের এক গ্রাম থেকে উঠে আসা ছেলেটি আজ হাজার হাজার তরুণের অনুপ্রেরণা। বলিউডে টিকে থাকতে একসময় স্ট্রাগল করতে হয়েছে মনোজকে। আজকের মনোজ ৩০ বছর আগের সেই স্ট্রাগলার মনোজকে কী পরামর্শ দেবেন? ‘আমি এখনও নিজেকে স্ট্রাগলার মনে করি। মানুষের স্ট্রাগল কখনও শেষ হয় না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শুধু তার ধরন আর কারণ বদলে যায়। নিজের জীবনের ফোকাস স্থির রাখতে হবে। তার থেকে সরে গেলে চলবে না। পরিশ্রম করতে হবে। আর কোনও কাজকে হালকা ভাবে নিলে চলবে না। সফল হতে গেলে জীবনে সব ক্ষেত্রেই নিয়মানুবর্তিতা অত্যন্ত জরুরি’, স্পষ্ট জবাব দিলেন অভিনেতা।
অভিনয়ই চ্যালেঞ্জ
যত কঠিন চরিত্রই হোক না কেন, তা অত্যন্ত সাবলীল ভাবে পর্দায় উপস্থাপিত করেন মনোজ। এখনও কি নতুন চরিত্র মানেই তাঁর কাছে চ্যালেঞ্জ? মনোজ বললেন, ‘নিশ্চয়ই। অভিনয় অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। অভিনয় এই দুনিয়ার সবচেয়ে কঠিন কাজ। কারণ আমরা অন্য এক চরিত্রকে পর্দায় তুলে ধরি। অভিনয় আসলে ২৪ ঘণ্টার কাজ।’
যদি বেঁচে থাকি
পেশাদার অভিনয়ের পাশাপাশি আত্মজীবনী লেখার পরিকল্পনা করছেন মনোজ। তাঁর কথায়, ‘আমি নিজের বায়োপিক দেখতে চাই না। বরং আজ থেকে আট-দশ বছর পর যদি আমি বেঁচে থাকি, প্রতিদিন নিজের জীবন নিয়ে একপাতা করে লিখব। বলতে পারেন আমার আত্মজীবনী।’
শুধুই বিস্ময়
হিন্দি ছবির জগতে ৩০ বছর পার করে ফেলেছেন মনোজ। নিজের এই দীর্ঘ সফর নিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে বললেন, ‘এই সফর আমার কাছে শুধুই বিস্ময়ের। এখনও বিশ্বাস হয় না, ১৮ বছরের যে তরুণ নিজের গ্রাম ছেড়েছিল, আজ সে এই জায়গায় দাঁড়িয়ে। দর্শকের ভালোবাসার প্রতি সুবিচার করতে আমার জীবনের প্রতিটা মুহূর্তকে কাজে লাগাতে চাই।’
অনুশোচনা
জীবনে বহু সাফল্য পেলেও আজও একটা অনুশোচনা তাড়া করে মনোজকে। ‘আমি বাবা-মায়ের সঙ্গে লম্বা সময় কাটাতে পারিনি। গ্রাম ছাড়ার পর আমি ওঁদের সঙ্গে বছরে একবার মাত্র দেখা করতে যেতাম। বাবা-মাকে যদি আরও একটু সময় দিতে পারতাম...। এই একটাই অনুশোচনা আমার’, মাথা নিচু করে বললেন মনোজ।