যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ
চলচ্চিত্র উৎসবকে কেন্দ্র করে শহর জুড়ে সাজ সাজ রব। সোমবার রাত পর্যন্ত নন্দন চত্বরে চলেছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এবছর উৎসবের ট্যাগ লাইন, বিশ্ব সিনেমার বঙ্গ ভ্রমণ। পোস্টারগুলোও সেকথা মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছে। বাংলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানকে ব্যাকড্রপে রেখে বিদেশি ছবির দৃশ্য ব্যবহার করা হয়েছে। কখনও হাজারদুয়ারির সামনে দাঁড়িয়ে ক্লিওপেট্রা। আবার রেড রোডের কার্নিভালে ‘লা লা ল্যান্ড’-এর দৃশ্য। সুন্দরবনের ব্যাকড্রপে ‘লাইফ অব পাই’ সহ আরও অনেক কিছু। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনায় তৈরি উৎসবের থিম সং। অরিজিৎ সিংয়ের গাওয়া সেই গান পছন্দ করেছেন সিনেপ্রেমীরা। এই বছর উৎসব সাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সরকারি প্রেক্ষাগৃহের পাশাপাশি মালিটিপ্লেক্স ও সিঙ্গল স্ক্রিনেও ছবি দেখানো হচ্ছে।
রবীন্দ্র সদন চত্বর সিনেপ্রেমীদের স্বাগত জানাতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। নন্দনের সামনে বসানো হয়েছে ছবির তালিকা। সেখানে দাঁড়িয়ে সিনে প্রেমীরা ছবি তুলে নিচ্ছেন। প্রিয় ছবি যেন কোনওভাবেই মিস না হয়। সোমবার সন্ধেতেও একদিকে স্টল বাঁধার কাজ চলেছে জোর কদমে। তৈরি হচ্ছে একতারা মঞ্চে সিনে আড্ডার মঞ্চ। বাংলার হারিয়ে যাওয়া হাতপাখা, বেতের চেয়ার দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে সেই মঞ্চ। শিল্পীরা শেষ মুহূর্তের তুলির টানে সাজিয়ে তুলছেন নন্দন চত্বর। তার সঙ্গে চমৎকার দেখতে একটি লুডো আর একটি দাবার ঘর তৈরি হয়েছে। বাঙালির প্রিয় চা খাওয়ারও আলাদা জায়গা হয়েছে।
সিনেমা বাঙালির এক অভ্যেসের নাম। তারকাখচিত মঞ্চের জৌলুস প্রতিবছরের মতো এবারও থাকবে। কিন্তু তার সঙ্গে জুড়ে থাকবে দেশি-বিদেশি সিনেমা দেখার মৌতাত। যে অক্সিজেনে ভর করে এগিয়ে যাওয়া যাবে আরও একটা বছর।