Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

বিধ্বংসী 
সব ঝড়

ফণী, উমপুন, যশের দাপট আমরা দেখেছি। ঝড় যে কী ভয়ঙ্কর হতে পারে তা আমরা জানি। কেন আসে এমন ঝড়? কীভাবেই বা তৈরি হয়? খোঁজ নিয়ে লিখলেন সুপ্রিয় নায়েক।

একটা বিশালকায় জানোয়ারের মতো ফুঁসছে আকাশটা। ভয়ঙ্কর কালো মেঘপুঞ্জটা একটা বুনো জন্তুর মতো দ্রুত বেগে ছুটে আসছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আকাশ থেকে একটা প্রকাণ্ড ফানেলের মতো মেঘের ঘূর্ণি পাক খেতে খেতে নেমে এল মাটিতে। তারপরেই শুরু হল তাণ্ডব। বাতাসের গর্জনে, বিদ্যুৎ-চমকে আর সেই মাতালের মতো আকাশ থেকে নেমে আসা ঘূর্ণির দাপাদাপিতে চোখের সামনে সবকিছু তছনছ হতে শুরু করল। চোখের সামনে আলোকিত পৃথিবীটায় নেমে এল নিকষ রাত! বড় বড় বাড়ি, গাড়ি, গাই-বাছুর বাতাসে ছিটকে গিয়ে পড়ল বহু দূরের প্রান্তরে! প্রকাণ্ড সেই ঘূর্ণিটার নাম টর্নেডো! ভয়াবহ টর্নেডোর পিছু নিতে শুরু করল বিল হার্ডিং আর ডঃ জো হার্ডির লাল গাড়িটা। গাড়ির মাথায় রাখা আছে টেনিস বলের আকৃতির কতকগুলো সেন্সর বল! কোনওভাবে গাড়িটাকে টর্নেডোর কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারলেই সেন্সর বলগুলো টর্নেডোর ফানেলের সঙ্গে ঘুরতে শুরু করবে। আর তখনই বোঝা যাবে টর্নেডোর মতিগতি, তার গতিপথ! বিষয়টা শুনতে যত সহজ, ব্যাপারটা তত সহজ নয়। টর্নেডোর অত কাছে যাওয়ার আগেই হয়তো গাড়ি ছিটকে যাবে দূরে কোথাও! দেখতে দেখতে বিশালকায় টর্নেডোটা একটা খ্যাপা ষাঁড়ের মতো ঢুকে পড়ল ভুট্টার খেতে! আবহাওয়াবিদ বিল আর জো নিজেদের গাড়িটাও ঢুকিয়ে দিল ভুট্টা খেতে। তারপর ইঞ্জিন চালু রেখেই তারা ঝাঁপ দিল গাড়ি থেকে! কিছুক্ষণের মধ্যে টর্নেডো গাড়িটিকেও টেনে নিল নিজের দিকে! ঝড়ের মধ্যে গাড়িটা হারিয়ে গেলেও সেন্সরগুলো ঘুরতে শুরু করল টর্নেডোর সঙ্গে! আনন্দে লাফিয়ে উঠল ওরা দু’জনে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই ওরা বুঝল একটা গণ্ডগোল হয়েছে। ওই সেন্সরগুলোর কারণেই ধরা গেল, বিশালাকায় টর্নেডো আসলে ধেয়ে আসছে বিল আর জো এর দিকেই। বিপদ বুঝে ভুট্টা খেতের মধ্যে দিয়ে ছুটতে শুরু করল জো আর বিল...
দৃশ্যটা ১৯৯৬ সালের বিখ্যাত হলিউড ছবি ট্যুইস্টার-এর। চাইলে তোমরাও ছবিটি ডাউনলোড করে দেখে নিতে পারো। আজও ছবিটি দেখলে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। আবহাওয়াবিদরা ঠিক কতখানি কাজ পাগল হন তা বোঝা যায় ছবিটি দেখলে! ঝড় নিয়ে পরে আরও অনেক ছবি হয়েছে। তবে ঝড় নিয়ে সবচাইতে আলোচিত ছবি ছিল বোধহয় ‘দ্য ডে আফটার টুমোরো’ নামে হলিউড ছবিটি। সেই ছবিতে দেখা যায় পৃথিবীতে গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর প্রভাব। এক বিরাট হ্যারিকেনের দাপটে সারা বিশ্বে ফিরে আসে তুষার যুগ! ২০০৯ সালেও ‘ইনটু দি স্টর্ম’ নামে ছবিটিও যথেষ্ট আতঙ্ক জাগানো ছিল। অতএব, বোঝাই যাচ্ছে, যুগ যুগ ধরে ঝড় নিয়ে মানুষের মনে রয়েছে নানা জিজ্ঞাসা। প্রশ্ন হল কীভাবে তৈরি হয় বিধ্বংসী ঝড়?
ডেরেচো ঝড়
এই ঝড়ের ধ্বংস করার ক্ষমতা মারাত্মক। তবে এই ধরনের ঝড়ে হ্যারিকেন বা টর্নেডোর মতো এলোমেলো বাতাস বয় না। এই ঝড়ে বায়ু বয়ে যায় সোজা পথে। বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৫৯ মাইল থেকে ১৩০ মাইল পর্যন্ত! আসলে ডেরেচো শব্দটি স্প্যানিশ। শব্দের অর্থ ‘সোজা পথে’। সাধারণত গরমকালেই এমন ঝড় দেখা যায়। বজ্রবিদ্যুৎ পূর্ণ মেঘ থেকে বৃষ্টি পড়ে নীচের দিকে। এই ধরনের মেঘ তার আশপাশে থাকা শুকনো বাতাসের সংস্পর্শে আসে। শুকনো বাতাসের মধ্যে থাকা জল বাষ্পীভূত হয়ে যায়। ফলে সেই বাতাস ঠান্ডা হয়। ঠান্ডা বাতাস ভারী। তাই সেই বাতাস উপর থেকে মাটির দিকে নেমে আসে ও ফের সামনের দিকে দ্রুত বেগে ছুটে যায়। অনেকটা জলপ্রপাতের জল যেমন ওপর থেকে নীচে পড়ে সামনের দিকে বয়ে যায়, তেমনই। এই ঠান্ডা বাতাস আসলে আরও শুকনো বাতাসকে ঠেলে ওপরের দিকে উঠে যেতে সাহায্য করে। শুকনো বাতাস বজ্রবিদ্যুৎ ভরা মেঘের সংস্পর্শে আসে। বাতাসের জলীয়বাষ্প থেকে মেঘ আরও বড় হয়। আরও বেশি মাত্রায় ঠান্ডা বাতাস নীচের দিকে নামে। বড় ঝড়ের সৃষ্টি হয়। এভাবে বিরাট বড় এলাকা জুড়ে ডেরেচোর দাপট চলতে পারে। কমপক্ষে মোটামুটি ২৪০ মাইল এলাকা জুড়ে চলতে পারে ডেরেচোর তাণ্ডবলীলা! 
মধ্য ও পূর্ব আমেরিকায় এমন ঝড় বেশি হতে দেখা যায়। ঘরবাড়ির বেশ ক্ষতি করে ডেরেচো। বাতাসের ধাক্কায় বড় বড় গাছও পড়ে যায়। তবে উপগ্রহের পাঠানো ছবি দেখে এই ঝড় সম্পর্কে আগাম সতর্ক হওয়া যায়।
তুষারপাত ও ঝড়
সকালে উঠেই দেখলে চারিদিকে পড়ে আছে বরফ! বাড়ির ছাদে, জানলার গ্রিলে জমে আছে সাদা তুষার! কেমন হয়? ব্যাপারটা বেশ মজার। আসলে চারিদিকে তুষার জমে যাওয়ার মূল কারণ হল তুষার ঝড় ও তুষারপাত! কীভাবে হয় তুষারপাত? তুষারপাতে আসলে বৃষ্টির বদলে পড়ে তুষার! এক্ষেত্রে যে অঞ্চলে তুষারপাত হবে, সেখানকার তাপমাত্রা হতে হবে শূন্যের নীচে। মোট কথা মাটি থেকে মেঘ পর্যন্ত অংশে তাপমাত্রা থাকতে হবে শূন্যের নীচে! তুষারপাতও আসলে বৃষ্টি হওয়ার প্রক্রিয়া মেনেই চলে। মূলত জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু বায়ুমণ্ডলের উপরের দিকে উঠতে শুরু করে। সেখানে পৌঁছে জলীয়বাষ্প ধূলিকণাকে আশ্রয় করে জলকণায় পরিণত হয়। তবে সেখানে তাপমাত্রা এতটাই কম থাকে যে সেই জলকণা বরফের কেলাসে পরিণত হয়। এই কেলাসের সংস্পর্শে আরও জলকণা আসে ও কেলাসের আকার বড় হতে থাকে। এরপর তা খুব ভারী হয়ে গেলে তুষারকণা হিসেবে পড়তে থাকে মাটির দিকে। তবে মাটির দিকে তাপমাত্রা শূন্যের বেশি হলেই তুষার গলে বৃষ্টি আকারেই মাটিতে পড়তে থাকে! সাধারণত তুষারপাত হয় শীতপ্রধান দেশে ও পার্বত্য অঞ্চলে। কারণ সেখানকার তাপমাত্রা সবসময় শীতল থাকে। তুষার ঝড়ের ক্ষেত্রে বাতাস খুব দ্রুত বইতে থাকে। ফলে বাতাসের সঙ্গে তুষার উড়তে থাকে ও চোখে কিছু দেখা যায় না। 
হ্যারিকেন-টাইফুন-সাইক্লোন
হ্যারিকেন, টাইফুন ও সাইক্লোন মোটামুটি একই ধরনের ঝড়। সবকটি ঝড়ই তৈরি হয় ট্রপিকাল এরিয়া বা পৃথিবীর গ্রীষ্মমণ্ডলে। অর্থাৎ পৃথিবীর যে অংশে সূর্যের আলো সরাসরি পড়ে সেখানে। তাহলে ঝড়ের তিনটে আলাদা নাম কেন! আসলে ঠিক কোন জায়গায় ঝড় তৈরি হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে সেই ঝড়কে কোন নামে ডাকা হবে। উত্তর-পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগরে তৈরি হওয়া ঝড়কে বলে হ্যারিকেন। উত্তর পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে তৈরি হওয়া ঝড়কে বলে টাইফুন। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর ও ভারত মহাসাগরে তৈরি হওয়া ঝড়কে বলে সাইক্লোন। তিনটি ক্ষেত্রেই মোটামুটি ঝড়ের গতিবেগ থাকে কমপক্ষে প্রতি ঘণ্টায় ১১৯ কিলোমিটার। উমপুন, যশ, তাউতে সবই সাইক্লোন। 
কীভাবে তৈরি হয় ঝড়? 
সাধারণভাবে বোঝার জন্য বলা যেতে পারে, এই ধরনের ঝড় তৈরি হওয়ার জন্য বিরাট অংশ জুড়ে অন্তত ৫০ মিটার গভীর সাগরের জলের উষ্ণতা হওয়া উচিত ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সাগরের জলের তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে সেখানকার উষ্ণ বায়ু উপরে দিকে উঠতে থাকে। ফলে সেখানে একটা ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়। এবার সেই ফাঁকা জায়গা দখল করার জন্য চারপাশ থেকে ছুটে আসে অপেক্ষাকৃত  শীতল আর্দ্র বাতাস। নানা দিক থেকে বাতাস ছুটে এসে সেই উষ্ণ ফাঁকা জায়গাকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকে (বাতাসের এভাবে ঘোরার কারণ হল কোরিওলিস এফেক্ট। সহজভাবে বললে, পৃথিবী নিজের অক্ষের চারিদিকে ঘোরে পশ্চিম থেকে পূর্বে। এভাবে ঘোরার কারণে উত্তর ও দক্ষিণ মেরু থেকে যে ঠান্ডা বাতাস পৃথিবীর উষ্ণ মণ্ডলের দিকে ছুটে আসে তা সোজাসুজি না এসে বেঁকে যায়। এভাবে বেঁকে যাওয়া বাতাস উষ্ণ ফাঁকা জায়গার দিকে ছুটে আসার কারণেই তৈরি হয় ঘূর্ণি)।  শীতল বাতাস কেন্দ্রে এসে উষ্ণ হয়ে উপরে উঠে যেতে থাকে। সঙ্গে বাতাসের জলীয়বাষ্প উপরে গিয়ে তৈরি করতে থাকে মেঘ। এই প্রক্রিয়া ক্রমাগত চলতে চলতে তৈরি হয় বিরাট মেঘপুঞ্জ এবং সাইক্লোন ঘূর্ণি। কমপক্ষে ১০০ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে তৈরি হতে থাকে এমন ঘূর্ণি। তিন থেকে সাতদিন এমন ঝড় বইতে পারে। সাগরে তৈরি হওয়া ঝড় উপকূলে বা ডাঙায় ঢোকার পর ধীরে ধীরে থেমে যায়। কারণ তখন আর ঝড়ের যে মূল উৎস অর্থাৎ সাগরের গরম জল, তা আর থাকে না। সাগরে এইভাবে হ্যারিকেন, টাইফুন বা সাইক্লোন তৈরি হলে তার ছবি উপগ্রহ মারফত বিজ্ঞানীদের কাছে পৌঁছয়। ফলে আগে থেকেই এই ধরনের ঝড় সম্পর্কে তথ্য জানা যায়। সাইক্লোনের মতো ঘূর্ণিঝড়গুলির নামকরণ করে এশিয়ার ১৩টি দেশ। 
টর্নেডো
টর্নেডো তৈরি হয় বজ্রবিদ্যুৎপূর্ণ মেঘ থেকে। তবে সাধারণ মেঘ নয়। উল্লম্ব বা বিরাট লম্বা মেঘ থেকে তৈরি হয় টর্নেডো। এই ধরনের মেঘকে বলে সুপার সেল। অন্তত ৫০ হাজার কিলোমিটার লম্বা হতে পারে এমন মেঘপুঞ্জ। এমন বিরাট উচ্চতাবিশিষ্ট মেঘপুঞ্জের ভিতরে বাতাস নানা দিকে বইতে থাকে। ফলে মেঘের ভিতরে একটা শোওয়ানো সিলিন্ডারের মতো বাতাসের ঘূর্ণি তৈরি হয়।
এখন সূর্যের তাপে মাটি খুব উষ্ণ হয়ে ওঠে। ফলে মাটির কাছকাছি থাকা বাতাসও খুব উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ও তা দ্রুতবেগে উপরের দিকে উঠতে থাকে। উপরের দিকে ওঠা এই বাতাসের বেগ বেশি থাকলে তা মেঘের ভিতরে সিলিন্ডারের মতো ঘূর্ণিকে ধাক্কা মেরে শোওয়ানো অবস্থা থেকে দাঁড় করিয়ে দিতে পারে। মেঘের ভিতরে থাকা ঠান্ডা বাতাস এই ঘূর্ণিকে নীচে নেমে আসতে সাহায্য করে। ফলে মেঘ থেকে ফানেলের মতো ঘূর্ণি নেমে আসে জমির দিকে। পৃথিবীর জমি স্পর্শ করলেই জন্ম হয় টর্নেডোর। টর্নেডোর গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে! ঘূর্ণি থেমে যাওয়ার আগে পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার অবধিও পাড়ি দিতে পারে। যশ সাইক্লোন আসার আগে হুগলিতে এমন টর্নেডো দেখা গিয়েছিল! উত্তর আমেরিকা মহাদেশ হল টর্নেডোপ্রবণ মহাদেশ। টর্নেডো আসবে কি আসবে না তা আগে থেকে বলা মুশকিল। তবে ডপলার রেডারের মাধ্যমে মেঘপুঞ্জ কীভাবে তৈরি হচ্ছে তা বোঝা যায়। এভাবে সতর্ক বার্তা জারি করা যায়।
সব শেষে একটা কথাই বলা যায়। সব ঝড়ই মানুষের ক্ষতি করে।  পরিবেশবিজ্ঞানী থেকে আবহাওয়াবিদ— সকলেই বলছেন, গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর প্রভাবে ভবিষ্যতে ঝড় আরও মারাত্মক রূপ নেবে। আমাদের ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে হলে গ্লোবাল ওয়ার্মিং রুখতে হবে। গ্লোবাল ওয়ার্মিং রুখতে হলে বায়ুদূষণ বন্ধ করতে হবে। বিশেষ করে কলকারখানা, গাড়ির জ্বালানির জন্য আমাদের নির্ভর করতে হবে সূর্যের আলো, বায়ুর শক্তি থেকে তৈরি বিদ্যুতের উপর। এভাবেই রোখা যাবে বায়ুদূষণ। 
তথ্য ও ছবি : সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
 
06th  June, 2021
ওয়াটারহোল : আফ্রিকা’জ 
অ্যানিম্যাল ওয়েসিস

পূর্ব আফ্রিকার তানজানিয়ায় রয়েছে বিখ্যাত মিবা ওয়াল্ডলাইফ রিজার্ভ। এটি প্রায় ৫৩ হাজার হেক্টর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এবং প্রাণীদের জন্য একটি সুরক্ষিত অঞ্চল হিসেবে পরিচিত।
বিশদ

13th  June, 2021
কিশোর গল্প সংকলন

সব সময় সত্যি কথা বলা উচিত। এমন শিক্ষাই ছোট থেকে পেয়ে এসেছি। কিন্তু বিনতা রায়চৌধুরীর ‘কিশোর গল্প সংকলন’ বইয়ের একটি গল্প ‘নোবল লাই’ পড়ে দেখলাম সব সময় সত্যি না বললেও চলে!
বিশদ

13th  June, 2021
আমাদের সবুজ পৃথিবী

প্রভাতে পাখির কূজন, চাষিদের লাঙল নিয়ে মাঠে যাওয়ার দৃশ্য এখন আর গ্রামে দেখা যায় না। খোলা মাঠে গ্রামের ছোটরা খেলে না। পুকুরের সংখ্যা ক্রমশ কমছে। তালগাছের সারি আর তেমন চোখে পড়ে না।
বিশদ

13th  June, 2021
জানা অজানা
ইঁদুর যখন সাহিত্যের প্রেরণা

ইঁদুর।  ছোট্ট দুষ্টু একটি প্রাণী। যার উৎপাতে  হ্যামলিন শহর অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। যার উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠি আমরাও। ইঁদুর নিধনের কত পরিকল্পনাই না আমরা করে থাকি তার ইয়ত্তা নেই । অথচ তোমরা শুনলে অবাক হয়ে যাবে যে, এই ইঁদুরই লেখার প্রেরণা হয়েছিল একজন সাহিত্যিকের। বিশদ

06th  June, 2021
আমাদের ছুটি ছুটি...

গরমের ছুটির সেই মজা আর নেই। কারণ টানা দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ। ক্লাস চলছে অনলাইনে। তবুও গরমের ছুটি বললেই মনটা কেমন নেচে ওঠে। তোমাদের বন্ধুরা কে কীভাবে কাটাচ্ছে এবারের গরমের ছুটি তারই পরিকল্পনা ফাঁস করা হল। বিশদ

30th  May, 2021
ম্যাজিকে লেখাপড়া 

ম্যাজিক মানে শুধুই খেলা? পড়ার লেশমাত্র নেই? মোটেও না, ম্যাজিকে এবার লেখাপড়ার বিষয়গুলোও ভরে দেওয়া হল। পড়াশোনার বিভিন্ন বিষয়ের ওপর দারুণ ম্যাজিক দেখাবেন থিম ম্যাজিশিয়ান সোমনাথ দে। এখন থেকে প্রতি মাসের একটা করে রবিবার তোমাদের জন্য থাকবে ম্যাজিকে লেখাপড়া। এবার জীববিদ্যা। ম্যাজিশিয়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন কমলিনী চক্রবর্তী।  বিশদ

30th  May, 2021
সবার প্রিয়
কাঠবিড়ালি

 

কাঠবিড়ালিকে আমরা সবাই ভালোবাসি। খুব সুন্দর দেখতে। এরা অত্যন্ত আদরের হয়। এদের দেখতে দেখতে অনেকটা ভালো সময় কেটে যায়। কাঠবিড়ালিকে অনেক কার্টুন শো-এর পাশাপাশি জনপ্রিয় সিনেমাতেও দেখা যায়। বিশদ

30th  May, 2021
বিপ্লবী রাসবিহারী বসু-এর ছেলেবেলা

আমাদের এই দেশকে গড়ে তোলার জন্য অনেকে অনেকভাবে স্বার্থত্যাগ করে এগিয়ে এসেছিলেন। এই কলমে জানতে পারবে সেরকমই মহান মানুষের ছেলেবেলার কথা। এবার বিপ্লবী রাসবিহারী বসু। লিখেছেন চকিতা চট্টোপাধ্যায়। 
বিশদ

23rd  May, 2021
মিবা ওয়াইল্ডলাইফ
রিজার্ভ নিয়ে বিশেষ শো 

পূর্ব আফ্রিকার তানজায়াতে একটি বহুলচর্চিত বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এর নাম মিবা ওয়াইল্ডলাইফ রিজার্ভ। এটি প্রায় ৫৩০০০ হেক্টর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। শুধু তাই নয়, মিবা ওয়াইল্ডলাইফ রিজার্ভ বন্যপ্রাণীদের জন্য একটি সুরক্ষিত অঞ্চল বলে বিখ্যাত।  
বিশদ

23rd  May, 2021
সহজ রান্না শিখে
তোমরাও হও খুদে শেফ 

রান্না করতে ভালো লাগে অথচ আগুনে ভয়? তাহলে আজ এমন কিছু রেসিপি শিখে নাও যাতে আগুন লাগে না। বঁটি, ছুরিরও ব্যবহার নেই। বিশেষজ্ঞ শেফদের সঙ্গে কথা বলে রান্নার গল্প সহ পাঁচটি সহজ রেসিপির সন্ধান দিলেন কমলিনী চক্রবর্তী। 
বিশদ

23rd  May, 2021
ছোটদের রান্নাঘর

করোনার দাপটে স্কুল বন্ধ। সুতরাং বাড়ি থেকে বেরিয়ে এটা ওটা খাওয়ারও জো নেই। তাই বলে কি কোনও ভালো খাবারই চেখে দেখার সুযোগ হবে না? চিন্তা নেই, ছোটদের রান্নাঘরে শুধু তোমাদের জন্যই দুটি লোভনীয় রেসিপি দিয়েছেন সিগনেট মাউন্টেন ব্রিজ হোটেলের (নৈনিতাল) এগজিকিউটিভ শেফ সাগ্নিক মজুমদার। এগুলি আগুনের সাহায্য ছাড়াই তৈরি করা যাবে। তোমরাই করে চমকে দাও বড়দের। বিশদ

16th  May, 2021
টুকরো খবর

টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ পাবলিক স্কুল, সোদপুর উদ্‌যাপন করল মাতৃদিবস এবং রবীন্দ্র জয়ন্তী। গত ৯ মে ছাত্রছাত্রীদের জন্য অনলাইনে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। বিশদ

16th  May, 2021
কালবৈশাখীর কত রূপ!

কালবৈশাখীর কত রূপ! প্রকৃতির এত বিচিত্র রূপ বোধহয় একমাত্র এই বাংলাতেই দেখা যায়। এখানে প্রকৃতি কখনও প্রচণ্ড, কখনও আবার শান্ত সমাহিত, মন ভালো করে দেওয়া। গ্রীষ্মকালে কালবৈশাখীর প্রচণ্ডতা আর একইসঙ্গে তার মনোমুগ্ধকর রূপ নিয়ে তোমাদের ক’জন বন্ধু নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিল তোমাদের সঙ্গে। বিশদ

16th  May, 2021
পৃথিবীর কয়েকটি বিধ্বংসী
প্রাকৃতিক বিপর্যয়

 

পৃথিবীর সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ অপ্রত্যাশিত এবং তাৎক্ষণিকভাবেই ঘটে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাহায্যে মানবসম্পদ, প্রাণী জীবন এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদের ভয়াবহ ক্ষতিও হয়ে থাকে। সবথেকে শক্তিশালী ও ভয়াবহ বিপর্যয়গুলির মধ্যে অন্যতম হল হ্যারিকেন, দাবানল, সুনামি, ভূমিকম্প প্রভৃতি। বিশদ

09th  May, 2021
একনজরে
কাঁথির দেশপ্রাণ মহাবিদ্যালয়ে স্টেট এইডেড কলেজ টিচার নিয়োগ ও বিল্ডিং নির্মাণের ক্ষেত্রে ওঠা অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিশন গঠন করল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। ...

রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলায় লাক্ষাদ্বীপের চিত্রপরিচালক আয়েষা সুলতানাকে এক সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন দিল কেরল হাইকোর্ট। তবে, তাঁকে পুলিসি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ...

ইতিহাসে প্রথমবার জয় দিয়ে ইউরো অভিযান শুরু করেছে ইংল্যান্ড। তাও আবার ২০১৮ বিশ্বকাপের রানার্স ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে। স্বভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে রহিম স্টার্লিংরা। ...

একেই বলে, ভাতে মারার চেষ্টা। সর্বশক্তি নিয়োগ করেও বঙ্গজয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে বিজেপির। তারপর থেকেই একের পর এক রাজ্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের প্রতিহিংসামূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধাবিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৩৬- রুশ সাহিত্যিক ম্যাক্সিম গোর্কির মৃত্যু
১৯৮৭- পরিচালক হীরেন বসুর মৃত্যু
২০০৫- ক্রিকেটার মুস্তাক আলির মৃত্যু
২০০৯- প্রখ্যাত সরোদ শিল্পী আলি আকবর খানের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৮৪ টাকা ৭৪.৫৫ টাকা
পাউন্ড ১০১.৩৯ টাকা ১০৪.৮৯ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৩ টাকা ৮৯.৯৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৯০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭০,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭০,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ আষাঢ় ১৪২৮, শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১।  অষ্টমী ৩৯/১৯ রাত্রি ৮/৪০। উত্তরফল্গুনী নক্ষত্র ৪২/১৩ রাত্রি ৯/৩৭। সূর্যোদয় ৪/৫৬/৫, সূর্যাস্ত ৬/১৯/৩।  অমৃতযোগ দিবা ১২/৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৬ মধ্যে পুনঃ ১২/৪১ গতে ২/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৩১ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৫/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/২৩ গতে ১০/১৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৭ গতে ১১/৩৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৫৮ গতে ১০/১৮ মধ্যে। 
৩ আষাঢ় ১৪২৮, শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১। অষ্টমী অপরাহ্ন ৪/২১। উত্তরফল্গুনী নক্ষত্র সন্ধ্যা ৬/৬। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২২। অমৃতযোগ দিবা ১২/৮ গতে ২/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩০ মধ্যে ও ১২/৪৫ গতে ২/৫৩ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৪/৫৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৪ গতে ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/২৮ গতে ১০/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৭ গতে ১১/৩৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/০ গতে ১০/১৯ মধ্যে। 
৭ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইউরো কাপ: ক্রোয়েশিয়া ০ : চেক রিপাবলিক ১ (হাফটাইম)

10:20:17 PM

ইউরো কাপ: ক্রোয়েশিয়া ০ : চেক রিপাবলিক ১ (৩৭ মিনিট)

10:08:10 PM

ইউরো কাপ: স্লোভাকিয়াকে ১-০ গোলে হারাল সুইডেন

08:22:52 PM

ইউরো কাপ: সুইডেন ১-স্লোভাকিয়া ০ (৭৭ মিনিট)

08:07:38 PM

বৃষ্টির জমা জলে মাছ ধরার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু যুবকের
রাস্তায় বৃষ্টির জমা জলে মাছ ধরাই কাল হল। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ...বিশদ

07:57:16 PM

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল: বৃষ্টির কারণে ম্যাচের প্রথম দিনের খেলা বাতিল ঘোষণা

07:21:48 PM