Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

গুপ্ত রাজধানী: সিরি ফোর্ট
সমৃদ্ধ দত্ত

সাবধানে পা ফেলতে হবে। দেখে তো মনে হচ্ছে মাটি। ঘাস। পাথর। অনায়াসে পা রেখে রেখে এগিয়ে চলা যায়। একটি ধ্বংসস্তূপ থেকে অন্য একটি ধ্বংস চিহ্নে যাওয়ার জন্য যে ব্যাসল্ট পাথরের অমসৃণ টুকরোয় সতর্কভাবে পা রাখতে হয়, সে সতর্কতা নিছক পিছলে পড়ে যাওয়ার জন্য? নাকি অন্য কিছু?  সাবধান। এত তাড়াহুড়ো নয়। ওই যেখানে পা রাখছি আমরা, সেটা নিছক এবড়ো খেবড়ো একটি পাথর ভূমিতে প্রোথিত রয়েছে, এমন নাও হতে পারে। ওই ঘাসের নীচে...ওই পাথরের নীচে...ওই মাটির নীচে...ওই নুড়িবিছানো পথের নীচে কিছু নেই তো! কী থাকবে? যদি খনন করা যায় বিস্তীর্ণ ৫ কিলোমিটার জুড়ে হারিয়ে যাওয়া এক দৈত্যাকার শহরের রাজধানী। কী পাওয়া যাবে? নিছক মাটির পরে মাটি? আরাবল্লী পাহাড়শ্রেণির পাদদেশ জুড়ে পাথরের সভ্যতা? অনেক খননের পর জল? তারপর পাতালসাম্রাজ্য? এসবই স্বাভাবিক। তাহলে এই স্থানের বৈশিষ্ট্য কী?
এই হল সিরি ফোর্ট। রাজধানী দিল্লির অভিজাত পাড়া। একদিকে পঞ্চশীল। অন্য প্রান্তে হৌস খাস। একদিকে অরবিন্দ মার্গ। আর অন্যদিকে খেল গাঁও মার্গ। খেল গাঁও কেন? কারণ, ১৯৮২ সালের এশিয়ান গেমসের আসর বসেছিল এখানেই। সেই থেকে এই এলাকার একটি অংশের নাম গেমস ভিলেজ এরিয়া। সিরি ফোর্ট মানে কি কোনও কেল্লা? ছিল। এখন ধ্বংসাবশেষ। প্রাচীন সেই দুর্গ-রাজধানীর প্রায় অবলুপ্ত প্রাচীনত্বের পাশেই গড়ে উঠেছে আধুনিকতম প্রেক্ষাগৃহ। সিরি ফোর্ট অডিটোরিয়াম। 
শীতের কুয়াশাঘেরা নির্জনতা। গ্রীষ্মের দহনকালের নীরবতায়। বসন্তের আগমনধ্বনির সুবাতাস যাপন। যে কোনও মরশুমে একাকী অথবা যুগল পদচারণার দৃশ্য দেখা যায় এই সিরি ফোর্টে। ৭০০ বছর পুরনো এই ধ্বংসপ্রাপ্ত নগরীর বাতাসে ৮ হাজারের বেশি অলীক দীর্ঘশ্বাস কি আজও নেই? কাদের দীর্ঘশ্বাস?
জালালউদ্দিন খিলজি তাঁর ভাইপো আলাউদ্দিনকে শুধুমাত্র যে নিজের অন্যতম সেনাপতি করেছেন তাই নয়। আগেই বিয়ে দিয়েছেন নিজের কন্যার সঙ্গে। অর্থাৎ এখন তিনি আলাউদ্দিনের কাকা এবং শ্বশুর দুইই। শ্বশুর সদয় হলেও শাশুড়ি নয়। আলাউদ্দিনের শাশুড়ি অর্থাৎ সুলতান জালালউদ্দিনের বেগম সাহিবা মোটেই পছন্দ করতেন না এই জামাইকে। কারণ সে স্বভাবতই খল, দুশ্চরিত্র, নিষ্ঠুর স্বভাবের ও স্বার্থান্বেষী। অবশ্য তিনিও স্বীকার করতেন, একমাত্র যে গুণ ও বৈশিষ্ট্য জামাইয়ের মধ্যে রয়েছে, সেটি অতুলনীয়। সেটি হল বীরত্ব। এরকম বীর যোদ্ধা আর নেই। সুলতান জালালউদ্দিনের সেনাবাহিনীতে একজন আলাউদ্দিন খিলজি থাকলেই যথেষ্ট।
শাশুড়ির এই স্বভাব নিজের পত্নীর মধ্যেই দেখতে পান আলাউদ্দিন। সুলতান জালালউদ্দিনের আদরের কন্যা মালিক-ই-জাহান। যখন আলাউদ্দিনের হাতে কোনও ক্ষমতাই নেই, সেই ১২৯০ সালেই জালালউদ্দিন তাঁর সঙ্গে মেয়ের বিবাহ দিয়েছিলেন। আর আলাউদ্দিন নিজেই জানেন যে, মালিকা-ই-জাহান তাঁর জীবনে সৌভাগ্য নিয়ে এসেছে। কারণ সলতনতে তাঁর যা কিছু উন্নতি ঘটেছে, সবই বিয়ের পর। 
কিন্তু হলেই বা কী? যা দম্ভ ও উন্নাসিকতা এই মালিকা-ই-জাহানের মধ্যে? তাঁর মায়ের মতোই সেও অত্যন্ত বলিষ্ঠ চরিত্রের। আমার পিতার জন্যই তোমার এই উন্নতি। সুতরাং আমার কথা মতোই চলতে হবে তোমাকে। এই ছিল মালিকা-ই-জাহানের মনোভাব। আলাউদ্দিনের কোনও ক্রোধ, অভিযোগ, ধমককে  গ্রাহ্যই করে না মালিকা। আলাউদ্দিন নিজেকে সরিয়ে নিলেন মানসিকভাবে। বিয়ে করলেন মাহরুকে। সে আবার বিপরীত। স্বামীর অনুগত ও নম্র। অন্যতম সেনাপতি আলপ খানের বোন। যতই চরিত্রগতভাবে উন্নাসিক ও অহংকারী হোক কোনও নারী, স্বামীকে ছিনিয়ে নিচ্ছে অন্য এক নিছক কোমল স্বভাবা কন্যা, এটা কে সহ্য করবে? অতএব জ্বলে উঠলেন মালিকা। 
একসঙ্গে বৈকালিক ভ্রমণের উদ্দেশে কেল্লার উদ্যানে মাহরুকে ডেকে নিলেন মালিকা। একথা সেকথার পর আচমকা আক্রমণ। কোমরে ছিল ছুরি। মাহরু আতঙ্কে পড়ে গেল। কণ্ঠ থেকে বেরিয়ে এল আর্তনাদ।  ছুটে এল প্রহরীরা। সর্বনাশ। আলাউদ্দিনের প্রিয়তমা ছোট বেগমকে হত্যার চেষ্টা করছে বড় বেগম?  প্রহরী আর দাসদাসীদের চরম ধর্মসঙ্কট। একদিকে আলাউদ্দিনের রোষ। অন্যদিকে স্বয়ং সুলতানের কন্যা হলেন বড় বেগম। সুতরাং তাঁর বিরুদ্ধে কোনও নালিশ তোলা মানেও তো প্রাণ যাবে! কিন্তু সংবাদ তো চাপা থাকবে না। কারণ মাহরু অচেতন। আহত।
ঘটনার কথা জানতে পেরে সর্বসমক্ষে মালিকা-ই-জাহানকে চড় মারলেন আলাউদ্দিন। গোটা কেল্লা স্তব্ধ। আলাউদ্দিন আর বিন্দুমাত্র অপেক্ষা করবেন না। তিনি বেরিয়ে পড়লেন রাজ্য থেকে রাজ্যে সাম্রাজ্য বিস্তারে। একমাত্র ক্ষমতা এবং আরও ক্ষমতাই দিতে পারে তাঁকে এমন শক্তি যে, একদিন এই সুলতান জালালউদ্দিন আর তাঁর দুর্বিনীত কন্যাকে শায়েস্তা করা যাবে। যত বেশি দেশীয় রাজ্য঩কে নিজের পদানত করবেন আলাউদ্দিন, তত বেশি শক্তিসঞ্চয় হবে। তারপর করবেন বিদ্রোহ। তাঁর এই শক্তিবৃদ্ধিতে সবথেকে বেশি চিন্তিত হলেন বেগম সাহিবা। আলাউদ্দিনের শাশুড়ি। তিনি বুঝতে পারছেন জামাইয়ের মনে কোনও এক পরিকল্পনা আছে। এভাবে নয়তো দিগ্বিজয়ে বেরনোর অর্থ কী? তিনি সুলতানকে বললেন, আলাউদ্দিনকে দিল্লিতে ফিরতে বলুন। আর সাম্রাজ্য বিস্তারের দরকার নেই। 
ফিরলেন আলাউদ্দিন। জালালউদ্দিন বললেন, আমি আসছি তোমার কাছে। তোমাকে স্বাগত জানাতে। এভাবে খিলজি সুলতানতকে বৃদ্ধি করার জন্য তোমাকে সংবর্ধনা দিতে হবে। কিন্তু বেগম সাহিবা এত আবেগাপ্লুত নন। তিনি ভয় পাচ্ছেন। ওই জামাইকে বিশ্বাস নেই। যদি মনে কোনও চক্রান্ত থাকে! অতএব জালালউদ্দিন যেন সম্পূর্ণ অস্ত্রশস্ত্র নিয়েই তৈরি হয়ে যান। 
সেকথা কানে যেতেই আপত্তি তুললেন আলাউদ্দিন। বললেন, না। সুলতান নন। একজন শ্বশুর আসবেন আমার কাছে। একজন কাকা আসবেন আমার কাছে। কিন্তু রণসাজে সজ্জিত সুলতান নন। জালালউদ্দিন আর কী করেন। নিরস্ত্র হয়েই আলাউদ্দিনের কাছে গেলেন। আলাউদ্দিনের ব্যক্তিগত রক্ষীদের আগে থেকেই মন্ত্রণা দেওয়া ছিল। তারা সুলতান জালালউদ্দিনকে হত্যা করল টুকরো টুকরো করে। 
সিংহাসনে বসেই আলাউদ্দিন স্থির করলেন নতুন রাজধানী করব। শুরু করলেন আলাই দরওয়াজা দিয়ে। যা কুতুব মিনার কমপ্লেক্সের মধ্যেই। কিন্তু নিজের ছাপ রাখতে হবে তো! অতএব বেছে নিলেন নতুন স্থান। নতুন কেল্লা। নতুন রাজধানী। কিন্তু তাঁর রাজধানীর দিকে কেউ  যেন চোখ তুলে তাকানোর সাহস না পায়! বিশেষ করে তুর্কি আর মুঘলদের স্বভাব আছে, যখন তখন হিন্দুস্তানে হামলা করা। অতএব আলাউদ্দিন অভিনব পন্থা নিলেন সকলকে আতঙ্কের বার্তা দিতে। তাঁর বন্দিশিবিরে বন্দি থাকা আট হাজারের বেশি  মুঘল সেনার শিরশ্ছেদ করার নির্দেশ দিলেন। 
সেইসব ধড়হীন মস্তক ফেলা হল কেল্লার ভিতে। সেই ভিতের উপর গড়ে উঠল আলাউদ্দিন খিলজির নতুন রাজধানী ও দুর্গ। সিরি ফোর্ট। অতএব সাবধান! যেখানে পা ফেলছেন আজকের সিরি ফোর্টের ধ্বংসাবশেষ দেখতে এসে, সতর্ক থাকতে হবে। কে বলতে পারে সেই মাটির নীচে কোন মুঘল সেনার মস্তক রয়েছে! 
19th  January, 2025
ডক্টর মিশ্র
নন্দিনী নাগ

সল্টলেকে ঝাঁ-চকচকে চেম্বার, একতলা একটা ফ্ল্যাটের পুরোটা নিয়ে। সাদা পাথরের তিন ধাপ সিঁড়ি ডিঙিয়ে কাঠের জাঁকালো সদর দরজা। সেই দরজা পেরিয়ে ভেতরের হলঘরে সোফার মধ্যে শরীর ছেড়ে দেওয়ার পর মিসেস দত্তের মনে ডাক্তারবাবুর প্রতি বেশ সমীহ জন্মাল। বিশদ

12th  January, 2025
অস্তরাগ
সঞ্জয় রায়

অস্তগামী সূর্যের রক্তিম আভা নদীর জলে গলে গলে যাচ্ছে। বসন্ত বাতাসে চরাচর জুড়ে গোধূলির অদ্ভুত বর্ণচ্ছটায় প্রকৃতি যেন মায়াময়। চিত্রপটে স্যিলুট হয়ে বসে আছে দু’টি নরনারী। জীবনের প্রান্তদেশে পৌঁছে দু’টি মন পরস্পর খুঁজে পেয়েছে তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের অদ্ভুত মিল। বিশদ

05th  January, 2025
অতীতের আয়না: সাহেবি বড়দিন ও নিউ ইয়ার
অমিতাভ পুরকায়স্থ

কাজকর্ম শিকেয় তুলে পাঁচ দিন ধরে বাঙালির দুর্গোৎসব পালন যাঁরা বাঁকা চোখে দেখেন, তাঁদের আঠারো শতকের কলকাতা থেকে ঘুরিয়ে আনতে পারলে বেশ হতো। সে সময় শহরের সাহেব-মেমদের বড়দিন উপলক্ষ্যে খানা-পিনা-নাচ-গান ও কেনাকাটার হুল্লোড়ের মরশুম চলত দিন দশেক। বিশদ

05th  January, 2025
গুপ্ত রাজধানী: ইন্ডিয়া গেট
সমৃদ্ধ দত্ত

গরিব ও মধ্যবিত্তদের কাছে সেই আর্থিক শক্তি কোথায়! রবিবার অথবা ছুটির দিন কিংবা ন্যাশনাল হলিডে হলেই কোনও বৃহৎ শপিং মল অথবা মাল্টিপ্লেক্সে যাবে! অনেকক্ষণ মেনুকার্ড দেখার পর শেষ পর্যন্ত বরাবরের মতোই ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন অর্ডার করার বিলাসিতাও যাদের থাকে না, তারা যাবে কোথায়? বিশদ

05th  January, 2025
কেউ দেখেনি
প্রদীপ আচার্য

নিরাপদর নিরাপদে থাকার সুখ উবে গেল। গ্রামের নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে থাকার একটা আলাদা সুখ আছে। সেই সুখের মুখে আজ ঝামা ঘষে দিল একটা জানোয়ার। সবাই সাপের ভয় দেখিয়েছে। বিশদ

29th  December, 2024
গুপ্ত রাজধানী: হোলি ট্রিনিটি চার্চ
সমৃদ্ধ দত্ত

দিল্লি মানেই ইতিহাসের গল্প। এর আনাচকানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ঐতিহাসিক স্থাপত্য। এরমধ্যে বেশ কয়েকটির খোঁজ এখন আর রাখেন না পর্যটকরা। ইতিহাসের সাক্ষ্য হয়ে গোপনেই পড়ে রয়েছে সেইসব স্থাপত্য। তারই খোঁজে গুপ্ত রাজধানী। বিশদ

29th  December, 2024
আজও রহস্য: রেস কোর্সের অশরীরী
সমুদ্র বসু

ভূত মানুন আর না মানুন, ভূত-প্রেত নিয়ে আগ্রহ কিন্তু সবার। আমাদের আশপাশের গ্রাম, শহর, মফস্‌সল থেকে শুরু করে খোদ কলকাতা শহরে এমন অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে ব্যাখ্যার অতীত বিভিন্ন ঘটনা আজও ঘটে। সেই তালিকায় আছে কলকাতা রেস কোর্সেরও নাম। বিশদ

29th  December, 2024
চোর  মিনার

গম্বুজ। সমাধি। শহিদ স্তম্ভ। এসবই তো ইতিহাসের চিহ্ন হিসেবে সর্বত্রই  দেখা যায়।  কখনও মসৃণ বহিরঙ্গ। কখনও চিত্রাঙ্কন। আবার কোনও সময় ভাস্কর্যের নমুনা থাকে বহির্গাত্রে। কিন্তু এই মিনারের স্তম্ভগাত্রে এত গর্ত কেন? মাটি থেকে সোজা উঠে গিয়েছে আকাশের দিকে। বিশদ

22nd  December, 2024
কলকাতা এক পরীর দেশ

আসলে আমরা খেয়াল না করলেও আমাদের চারপাশের হাওয়ায় এখনও দিব্যি নিঃশ্বাস নেয় আঠেরো-উনিশ শতকের কলকাতা। আর সেই পুরনো কলকাতার স্মৃতিকে ধরে রাখার অন্যতম প্রতীক হল— পরী।
  বিশদ

15th  December, 2024
লাল মন্দির

সমৃদ্ধ দত্ত
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে লালকেল্লা ও লাল মন্দির। একটি জগৎ বিখ্যাত। অন্যটি স্বল্প খ্যাত। লাল মন্দিরের উচ্চতা তো কম নয়। লালকেল্লার সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে চাঁদনি চকের দিকে তাকালেই চোখে পড়ার কথা। অথবা সেভাবে পর্যটকদের দৃষ্টিগোচরই হয় না।
বিশদ

15th  December, 2024
ডাক দিয়েছে কোন সকালে
বিজলি চক্রবর্তী

হরি হে তুমি আমার সকল হবে কবে...।’ গলা ছেড়ে গানটা গাইতে গাইতে বিশ্বরূপ রান্নাঘরের দরজায় এসে দাঁড়াল। হাতের কাজ বন্ধ করে নবনীতা বিশ্বরূপের মুখোমুখি হল। বিশ্বরূপ গান বন্ধ করল না। নবনীতার চোখের মুগ্ধতা তাকে উৎসাহিত করে। বিশ্বরূপের গানের ভক্ত নেহাত কম নয়। বিশদ

15th  December, 2024
আদরের পিউ
কৌশানী মিত্র

অনির্বাণের কাল নাইট ছিল। সারারাত দুর্দান্ত পরিশ্রম গিয়েছে। জুনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে এই অদ্ভুত একটা আধা গ্রাম-আধা শহর মতো জায়গাটায় এসে থাকতে শুরু করেছে ও। এখানে আসার পর থেকেই সকাল-দুপুর-রাত কেমন গুলিয়ে যায় অনির্বাণের। বিশদ

08th  December, 2024
প্রতিশোধ
সাবিনা ইয়াসমিন রিঙ্কু

মাত্র ছ’মাসেই যে ফল পেয়ে যাবে ভাবতে পারেনি জয়তী! প্রদীপ্ত কি নিজেও ভাবতে পেরেছিল বাষট্টি থেকে চুরানব্বই হবে! বেশ লম্বা বলে বাইরের লোকরা পার্থক্যটা অতটা ধরতে না পারলেও জয়তী জানে পুরনো প্যান্টগুলো আর কোমর পর্যন্ত উঠতে চাইছে না। বিশদ

01st  December, 2024
বনের মানুষ

—মাস্টার, আজ ডিম বাদ দে, হামাদিগের ছেলে-মেয়েগুলান কেউ খাবেকনি রে!
—কেন?
—হামার সঙতে আসে ওই শর্বরী টুডুটা আছে না? উয়ার ছেলেটোর গায়ে ‘মায়ের দয়া’ বের হইচে। উয়ার লিগে হামাদের পাড়ার সবার মাছ-মাংস-ডিম খাওয়াটো বারণ আছে।
বিশদ

17th  November, 2024
একনজরে
ঘরে বসে নয়, রাস্তায় নেমে কাজের হাল দেখতে হবে। এবার আলোক বিভাগের কর্মীদের রোস্টার ডিউটি চালু হল কলকাতা পুরসভায়। ...

অবশেষে ঘুম ভাঙল মোদি সরকারের। শম্ভু ও খানাউরি সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। ...

ধান কেনায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে বীরভূম জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তর কোনও ত্রুটি রাখতে চাইছে না। গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে এখনও অবধি প্রায় ১লাখ ৬৫হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। ...

বালুরঘাট শহরে জোড়া ব্রিজের কাছে আত্রেয়ী সংলগ্ন খাঁড়ি দখল করে নির্মিত হচ্ছে দোকান। যা নিয়ে সরব হন শহরের মানুষ। সেই খবর ‘বর্তমান’-এ প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসল সেচদপ্তর। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগমের সম্ভাবনা।  সন্তানের কর্ম প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কিছুটা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১২৬৫:  ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়
১৮১৭: হিন্দু কলেজের (বর্তমান প্রেসিডেন্সি কলেজ) যাত্রা শুরু
১৮৭০:  বেঙ্গল গেজেট প্রথম প্রকাশিত হয়
১৮৭১: শিল্পপতি রতনজি টাটার জন্ম
১৮৯২: আমেরিকার স্প্রিং ফিল্ডে প্রথম বাস্কেটবল খেলা হয়
১৯০৫: দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রান্সভালের প্রিমিয়ার খনিতে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হীরা পাওয়া যায়। যার ওজন ছিল ৩.১০৬ ক্যারেট
১৯৩৪: আলোকচিত্র এবং ইলেকট্রনিকস্ কোম্পানী হিসেবে ফুজিফিল্ম কোম্পানীর যাত্রা শুরু
১৯৭২: নতুন রাজ্য হল অরুণাচল প্রদেশ ও মেঘালয়
১৯৮৪: বিশ্বের সেরা সাঁতারু ও টারজান চরিত্রাভিনেতা জনি ওয়েসমুলারের মৃত্যু
১৯৯৩: মার্কিন অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্নের মৃত্যু
১৯৯৫: তাজমহলকে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষাকল্পে ৮৪ টি শিল্প কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়
২০০৯: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম এবং প্রথম আফ্রো-আমেরিকান রাষ্ট্রপতি হিসেবে বারাক ওবামার শপথ গ্রহণ
২০২১: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৯তম উপ রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস এর শপথ গ্রহণ।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৭৮ টাকা ৮৭.৫২ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৬৮ টাকা ১০৭.৩৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৬০ টাকা ৯০.৯৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
19th  January, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৯,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
19th  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

৬ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী ৯/০, দিবা ৯/৫৯। হস্তা নক্ষত্র ৩৮/১৮ রাত্রি ৮/৩০। সূর্যোদয় ৬/২২/৫৭, সূর্যাস্ত ৫/১২/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫ গতে ৮/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১১/২১ গতে ২/৫২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২ গতে ৪/২৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৪ গতে ৯/৫ মধ্যে পুনঃ ২/২৯ গতে ৩/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৯ গতে ১১/৪৮ মধ্যে। 
৬ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী দিবা ৯/১৭। হস্তা নক্ষত্র ৮/১০। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে ও ১০/৪৪ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৪ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ১১/২৫ গতে ২/৫২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৯ গতে ৪/৩৮ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৭ গতে ৯/৭ মধ্যে ও ২/৩০ গতে ৩/৫১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৯ গতে ১১/৪৯ মধ্যে। 
১৯ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

11:47:43 PM

পূর্ণকুম্ভে চলছে লেজার লাইট শো, বিনামূল্যেই দর্শন করতে পারছেন পুণ্যার্থীরা

11:24:28 PM

আমেরিকার স্বর্ণযুগ শুরু হল, শপথ নেওয়ার পরেই দাবি ট্রাম্পের

11:21:00 PM

লটারি এজেন্সির দোকান থেকে কয়েক হাজার টাকা ছিনতাই
পিস্তল দেখিয়ে একটি লটারির এজেন্সির দোকান থেকে কয়েক হাজার টাকা ...বিশদ

09:58:00 PM

ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আসতে শুরু করেছেন অতিথিরা

09:37:00 PM

স্ত্রী মেলানিয়াকে সঙ্গে নিয়ে হোয়াইট হাউসে এলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

09:19:00 PM